Spread the love

Double Cleansing Benefits – ডাবল ক্লিনজিং সুবিধা


ত্বকের যত্নের (Skin Care) প্রথম ধাপ হল ত্বককে গভীর ভাবে পরিষ্কার করা। আপনি বাইরে থেকে এসেছেন কিংবা আপনি কোনও অনুষ্ঠানে যাবেন, মেকআপ করবেন,, সবার আগে কিনতু আপনাকে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের মধ্যে থাকা ধুলো, বালি, ময়লা দূর হয়ে যাবে। রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদিও ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বাজারে একাধিক নামী-দামি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট (Skin Care Product) পাওয়া যায়। তার মধ্যে কিছু রয়েছে ফেস ক্লিনজার (Cleanser), আবার কিছু রয়েছে ফেসওয়াশ (Face Wash)।


সময়ের পরিক্রমায় স্কিন কেয়ারের ট্রেন্ডে এসেছে পরিবর্তন। ত্বকের যত্নে ক্লেনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং, সান প্রোটেক্টিং এই স্টেপগুলো সম্পর্কে এখন কম বেশি সবাই জানে। স্কিন কেয়ারের ইম্পর্টেন্ট সবচেয়ে হলো ‘ডাবল ক্লেনজিং’। অনেকেরই কনফিউশন আছে এই ব্যাপারে। ডাবল ক্লেনজিং কী, কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে করতে হয়; এই বিষয়ে বেসিক নলেজ শেয়ার করতেই এই আর্টিকেলটি লেখা।


IMG_20230323_121039-1679553652954 Double Cleansing Benefits - ডাবল ক্লিনজিং সুবিধা

কেন রোজ ডিপ ক্লিনজিং জরুরি


ডাবল ক্লেনজিং কী?

ডাবল ক্লেনজিং হলো একটি ক্লিনিং মেথড, অয়েল বেইজড ক্লেনজার ও ফোম বেইজড ক্লেনজার দিয়ে ফেইসটাকে প্রোপারলি ক্লিন করার একটি পদ্ধতি। এটা আমাদের স্কিন থেকে মেকআপ, ধুলা-ময়লা, এক্সেস অয়েল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।


বছরের পর বছর মেকআপ তুলতে আমরা শুধু সাবান দিয়েই মুখ ধুয়ে এসেছি, কিন্তু জানেন কি যে সাবান ইউজের ফলে আমাদের স্কিন কতটা ড্রাই ও রাফ হয়ে যায়,, যেগুলো ত্বকের রোমকূপ বা পোরস বন্ধ করে দেয়। এখন স্কিন কেয়ার নিয়ে আমরা সবাই সচেতন। বেসিক্যালি এমন অয়েল বেইজড বা ওয়াটার বেইজড ক্লেনজার ইউজ করতে হবে, যেটা পোর ক্লগড করবে না, বরং ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করবে!


ডাবল ক্লিনিং কতবার করা উচিত

কেন প্রয়োজন দুই ধাপে ত্বক পরিষ্কার করার?

আমরা প্রতিদিনই এমন অনেক রকমের মেকআপ প্রোডাক্টস, সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি, যেগুলোতে অয়েল সল্যুবল ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে। ফলে শুধু জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে বা ফেইস ওয়াশ ইউজ করতে সেটা কিন্তু পুরোপুরি ত্বককে পরিষ্কার করতে পারে না। সেইক্ষেত্রে ডাবল ক্লেনজিংয়ে একবার অয়েল বেইজড ক্লেনজার এবং পরে ফোম বেইজড ক্লেনজার দিয়ে যখন আপনি মুখ পরিষ্কার করবেন,, আর তখনি প্রোপারলি ক্লিন হয়ে যাবে।

ডাবল ক্লেনজিং করার নিয়ম-


১) প্রথমে অয়েল বেইজড ক্লেনজার দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে নিন। আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। আই মেকআপ, লিপস্টিক চেপে চেপে মুছে নিন। কটন প্যাড ব্যবহার করলে সহজেই মেকআপ রিমুভ করা যাবে।


২) দ্বিতীয় ধাপে সামান্য ফেইস ওয়াশ হাতে নিয়ে ফোম তৈরি করে মুখে ম্যাসাজ করুন। এবার জলের ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যেকোনো জেল, ক্রিম বা ওয়াটার বেইজড ক্লেনজার আপনি সিলেক্ট করতে পারেন। এভাবে ব্রেক আউটের চান্স থাকবে না, স্কিন সফট ও হেলদি থাকবে।

ডাবল ক্লিনজিং কি ত্বকের জন্য ভালো


কতবার করতে হবে?

দিনে একবার করলেই যথেষ্ট। প্রয়োজন বুঝে দুইবারও করা যেতে পারে। নাইট টাইম স্কিন কেয়ারের প্রথম স্টেপে ডাবল ক্লেনজিং করতে বলা হয়, এতে সারাদিনে যে মেকআপ বা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ করা হয়েছে, সেগুলো রিমুভ হয়ে যাবে।


ছেলে-মেয়ে সবারই উচিত ত্বককে পরিষ্কার রাখা। এটা টিনেজ থেকে শুরু করে সব বয়সের সবার জন্যই প্রযোজ্য। হেলদি ও ফ্ললেস স্কিন পেতে প্রথম শর্তটিই হচ্ছে ভালোভাবে ফেইস ক্লিন করতে হবে!


IMG_20230323_121005-1679553652580 Double Cleansing Benefits - ডাবল ক্লিনজিং সুবিধা
আরও পড়ুন,

ক্লিনজার ব্যবহার করার পর কি মুখ ধোয়া উচিত

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে।।

কেননা বেশিরভাগ সানস্ক্রিন ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট, স্কিনের উপর লেয়ার ক্রিয়েট করে ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। আবার সময়মতো রিঅ্যাপ্লাই করতেও হয়। শুধু জল দিয়ে ধুলে তাতে ত্বক পুরোপুরি ক্লিন হয় না। আপনাকে ডাবল ক্লেনজিং মেথড ফলো করতে হবে।


একনে প্রবলেম থাকলে ডাবল ক্লেনজিং তো বেশি দরকার। কারণ পোরস ক্লগড হলে এবং ত্বকের উপরিভাগে ময়লা জমলে সেটা তো ব্রণের প্রাদুর্ভাব আরও বাড়িয়ে দেয়। ঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করলে অয়েল প্রোডাকশন কন্ট্রোলে থাকে ।।

আশা করছি, ডাবল ক্লেনজিং নিয়ে আপনাদের কনফিউশন কিছুটা হলেও দূর করতে পেরেছি। কাজ শেষে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। সুন্দর থাকুন সুস্থ থাকুন।।। ধন্যবাদ……!!!



Tags – Skin Care, Double cleansing

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *