“যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের খুব চিন্তা,,তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেইস ওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করবো?”তারা ভেবেই পায়না।। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এসেছি,, আমাদের মধ্যে সাধারণত ৫ ধরনের স্কিন টাইপ দেখা যায়। কারো স্কিন ড্রাই, কারো বা নরমাল, আবার অনেকের স্কিন অয়েলি। কম্বিনেশন এবং সেনসিটিভ স্কিনও রয়েছে। তবে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী দেখা যায় অয়েলি স্কিন ও ড্রাই স্কিন। আজকে তাই আমরা জেনে নিব, তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সেরা ফেইস ওয়াশ,,চলুন তাহলে আর দেরী না করে জেনে নেয়া যাক –
কতবার ফেস ওয়াশ দেবেন?
আগের পোস্ট এ বলেছি আপনার ত্বক অয়েলি হলেও দিনে দু’বারের বেশী ফেস ওয়াশ দেবেনই না। আর যেসমস্ত ফেস ওয়াশে সাবান আছে, সেগুলোকে অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করুন। বেশী কেমিক্যাল যুক্ত ফেস ওয়াশ ব্যবহার করলে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফেস ওয়াশ গুলির নাম –
১। নিউট্রোজিনা অয়েল ফ্রি অ্যাকনে ওয়াশ
এই ফেইস ওয়াশটি আমাদের ত্বকের যে অতিরিক্ত সেবাম প্রোডাকশন হয়ে থাকে তা কনট্রোল করতে এটি দারুণ ভাবে সহায়ক। এতে রয়েছে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড 2%, যা ব্রণের সমস্যার সমাধানে কার্যকরী।
খুব বেশি পরিমাণে নেওয়া লাগেনা। অল্প নিলেই পুরো ফেইসে কাভার হয় ,স্কিন একদমই অয়েল ফ্রি মনে হবে। স্কিনকে ভেতর থেকে ডিপ ক্লিন করে।
এটি অ্যালকোহল ফ্রি একটি ফেইস ওয়াশ।
২। সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ
বন্ধ রোমকূপ আর তেলতেলে ত্বককে দূর করতে সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকে কোমলভাবে কাজ করে গভীর থেকে তেলময়লা আর মেকআপের অবশেষ পরিষ্কার করে ত্বক ডিটক্স করে। এই ফেসওয়াশটি ব্যবহার করলে ত্বক হবে ঝকঝকে পরিষ্কার আর তেলমুক্ত।।
৩। Neutrogena Clear & Soothe Mousse Cleanser ফেইস ওয়াশটিতে আছে হলুদের গুনাগুণ।
ত্বকের মলিনতা এবং ফ্যাকাশে ভাব দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে। যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ বা বলিরেখার সমস্যা রয়েছে তারা নিশ্চিন্তে এই ফেইস ওয়াশটি ব্যবহার করতে পারেন। হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে, যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের কালচে দাগ এবং পিগমেন্টেশন কমাতে হলুদ দারুণভাবে কাজ করে।
৪। বায়োটিক বায়ো নিম পিউরিফাইং ফেস ওয়াশ: গভীর থেকে পরিষ্কার করতে হলে ডার্মালজিস্ট ব্রেকআউট ক্লিয়ারিং হোমিং ফেসওয়াশ এর চেয়ে ভালো আর কিছু নেই।। ফেনাযুক্ত এই ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বকের মৃতকোষ নোংরা দূর হয়।। তাই এই ফেসওয়াশের সালিসাইলিক এসিড রয়েছে যা ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখি ল্যাভেন্ডার ক্যামেলিয়া সিনেন্সিস এর মত আটকে রাখে।
মনে রাখবেন –
মাত্রাতিরিক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না
আপনার মুখে থাকা ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজারও কিন্তু ফেস ওয়াশ দিলে চলে যায়। আর মুখ তখন খানিক ড্রাইও হয়ে যায়। আপনার মুখের স্বাভাবিক অয়েলি ভাবের থেকে সরে মুখ যখনই এক্সট্রা ড্রাই হয়ে যায়, তখনই কিন্তু শুরু হয় সমস্যা।
ব্রণ দূর করার প্রথম ধাপ হচ্ছে সঠিকভাবে মুখ ধোয়া।
তাই বলে আপনাকে দিনে বারবার মুখ ধুতে হবে না। এটি আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
সকালে-দুপুরে-রাতে নিয়ম করে বার তিনেক মুখ পরিষ্কার করলেই চলবে। ঠান্ডা জল ব্যবহার করুণ।। মুখ মুছতে নরম তোয়ালে ব্যবহার করবেন। আর কখনোই ব্রণে নখ দিয়ে খোঁচাখুঁচি করবেন না।
Read More,
Best Fash Wash For Oily Skin – তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো
Tags – Face wash, Skin Care
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
Leave a Comment