Home remedies to increase child immunity : ইমিউনিটি হলো মানবদেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এই প্রক্রিয়া সাধারণত দেহের জন্য উপকারী। ইমিউনিটি ব্যবস্থা তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর উপাদান ধ্বংস করতে গিয়ে দেহের জন্য দরকারী এবং উপকারী উপাদানগুলিকে ধ্বংস করে জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে।এই ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ার নাম হচ্ছে অতিসংবেদনশীলতা বা হাইপারসেন্সিটিভিটি।
মানবদেহে সংক্রমণ এড়ানোর প্রধান উপায় হচ্ছে দেহের ভেতরে জীবাণুর প্রবেশে বাধা দেওয়া। চামড়া, ক্ষত, নাক, মুখ বা অন্য যেকোনো উপায়ে জীবাণু দেহে প্রবিষ্ট হলে শুরু হয় আক্রান্ত জীবাণুর সংক্রমণ থেকে দেহকে বাঁচানোর প্রাণান্তকর প্রয়াস।
আমাদের অজান্তেই কত জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। কিন্তু আমাদের অজান্তেই অধিকাংশ জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। দেহের ভেতরে ও বাইরে রোগ জীবাণু ধ্বংসের এক জটিল ব্যবস্থাপনা রয়েছে যা ইমিউনতন্ত্র নামে পরিচিত। ইমিউনতন্ত্র সচল রাখাকে ইমিউনিটি (Immunity) বলে।
প্রায় ছোট বাচ্চাদের নানারকম অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে। তাই বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সজাগ থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ বাচ্চারা যে কোনও জিনিসই তুলে মুখে দিয়ে দেয় বা সেগুলির সঙ্গে খেলতে শুরু করে। তাদের কোনও কিছু খাওয়ার আগে সাবান দিয় হাত ধোয়ার অভ্যাস করান।
পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে শরীরে সাইটোকিন্স নামক প্রোটিনের উৎপাদন কমে যায়।
কি খাওয়াবেন বাচ্চাদের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্যে –
অ্যান্টিবডির গঠনকে উত্তেজিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। টক ফল, জাম, আলু, লঙ্কা, টমেটো, ব্রকোলি-সহ নানান উদ্ভিজ উৎসে এই ভিটামিন উপস্থিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনে সাহায্য করে প্রোটিন। মাছ, মেদহীন মাংস, পোল্ট্রি, ডিম, বিনস, কড়াইশুঁটি, সোয়া, নুন ছাড়া শুকনো ফল, নানান বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
দুধ
হাড় মজবুত করার জন্য দুধ আবশ্যকীয় একটি পানীয়। দুধে উপস্থিত ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। দুধ খেলে ইমিউনিটি বেড়ে যায়।।
. ডিম
বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ৪৫ থেকে ৫৫ গ্রাম প্রোটিন থাকা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ালে প্রোটিনের জোগান পূর্ণ হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের উন্নতি হয়। এ ছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে।
শাকসবজি খেতে ভালোবাসে না প্রায় সব বাচ্চাই। সেই শাকটি যদি পালং শাক হয় তো কথাই নেই। সবার আগে মুখ ঘুরিয়ে নেয় তারা। কিন্তু এই পালক আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি-র উল্লেখযোগ্য উৎস। বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ও মজবুত হাড়ের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। পালকের ডাল, পালকের পরোটা, ফ্র্যাঙ্কি বা সুপে দিয়ে বাচ্চাদের দিতে পারেন…
নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখলে স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতির পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সবথেকে বেশি প্রয়োজন, তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।স্বাস্থ্যের উপকারে আমন্ড বাদামের তুলনা নেই।
Read More,
How to increase iron levels Quickly – আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা
Tags –Food , Health Tips, Lifestyle
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment