মিষ্টি কুমড়া হচ্ছে আমিষ জাতীয় সবজি। মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করেনা অনেকেই,, আমার তো ভীষণ ভালো লাগে।। স্বাদের দিক দিয়ে মিষ্টি কুমড়া অতুলনীয়। এই সবজিটি স্বাদে যেমন উপকারেও তেমন। শুধু কুমড়াই নয়, স্বাস্থ্যের জন্য এর বীজও দারুন উপকারী। আর উপকারী হবেই না বা কেন, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ফসফরাস, কপারের মত একাধিক উপাদান। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কুমড়ার বীজের উপকারিতার কথা –
(১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কুমড়ার বীজে রয়েছে অধিক পরিমাণে জিংক, ফাইটোকেমিক্যাল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
(২) হাড়ের সমস্যা নিরাময় করেঃ কুমড়ার বীজে রয়েছে অধিক পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক যা অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে।
(৩)“কুমড়ার বীজ মূল্যবান পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা আমাদেরকে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আঁশ, স্বাস্থ্যকর চর্বির যোগান দেয়।
(৪) ঘুম ভালো করে
ভালো ঘুমে সহায়তা করে কুমড়ার বীজ। “যদি ঘুমের সমস্যা হয় তবে ঘুমানোর আগে কুমড়োর বীজ খাওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
(৫) ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা
“কুমড়ার বীজ ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও উপকারী। এতে কিউকারবিটাসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিকারক এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড।”
(৬) ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
“কুমড়ার বীজ ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়,” অতিরিক্ত চর্বি, ক্যালোরি এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কমানোর জন্য কাঁচা, লবণ-হীন বীজ খাবেন।।
কুমড়ার বীজ খাওয়ার আদর্শ উপায়
কুমড়ার বীজ একটি চমৎকার খাবার যা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য জরুরি। এই সুস্বাদু বীজ খাওয়ার সর্বোত্তম সময় হল সকালের খাবার খাওয়া। প্রতিদিনের সালাদের সঙ্গে সুস্বাদু কুমড়ার বীজ যোগ করা যেতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে ব্লেন্ডারে গুড়ো করে বিভিন্ন ভর্তায় মিশিয়ে, স্যুপে মিশিয়ে অথবা সরাসরি ভর্তা বানিয়ে, সবজি রান্নায় ও মিশিয়ে খাওয়া যায় কুমড়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক আর ম্যাগনেসিয়াম যা অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের যাবতীয় সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
সাধারণত পাকা মিষ্টি কুমড়ার বিচিই খাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট। মিষ্টি কুমড়ার বিচি সংগ্রহ করে ভালভাবে ধুয়ে শুকনো করে তাওয়া বা ফ্রাই প্যানে টেলে মচমচে করে ভেজে (অবশ্যই তেল ছাড়া) কাচের বোয়ামে সংরক্ষণ করা যায়।
কাচা কুমড়োর বীজ খাওয়া যাবে কি
কুমড়ার বীজ কাঁচা উপভোগ করা সম্পূর্ণ নিরাপদ । এখন, আপনি যদি কাঁচা কুমড়ার বীজ খেতে পছন্দ করেন তবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি সেগুলি খোসা সহ বা ছাড়া খেতে চান কিনা।
কুমড়ার বীজের খোসা ফেলা উচিত
কুমড়োর বীজ, পেপিটাস নামেও পরিচিত, তাদের খোসার সাথে বা ছাড়াই খাওয়া যেতে পারে ।
কোন ধরনের কুমড়ার বীজ খাওয়া ভালো
খাওয়ার জন্য সর্বোত্তম কুমড়ার বীজ হল-হীন, পেপিটাস নামেও পরিচিত । এগুলি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং খনিজগুলিতে পূর্ণ।
আরোও পড়ুন,
Tags – Pumkin Seeds , Health Tips
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
Leave a Comment