পুজোর ৫ দিন ঘুরে মেকাপ করে ত্বকের কি বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন? সেই ঝলমলে ত্বক আর নেই?? কিংবা ব্রণ বা পিম্পলের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে চিন্তা না করে আজকের এই প্রতিবেদন মন দিয়ে পড়ুন.. কিছু ঘরোয়া উপায় ফলো করুন যা আপনার সহজেই ত্বকের সমস্ত দাগ উঠিয়ে দেবে…..
1। অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল: অ্যালোভেরা জেলে আছে ভিটামিন সি যা ত্বককে ব্লিচ করে। ত্বকের কোনো অংশে ব্রণ কিংবা পিম্পল হলে সেখানে অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে একটা ত্বকে অ্যাপ্লাই করে ১০ মিনিট রেখে দিন,, সুখিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
2। কাঁচা দুধ ও হলুদ: এই দুটো উপাদান ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা মেটাতেও এটা দারুণ কার্যকরী। মুখের কালো দাগ-ছোপ নিরাময়ে কাঁচা দুধ ও হলুদের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। এ জন্য কাঁচা দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিয়ে তারপর সেটা মুখে লাগাতে হবে।
3। কফি পাউডার ও মধু: কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটা ত্বকের জন্য খুব উপকীরি। এ জন্য প্রথমে কফি পাউডারের সঙ্গে মধু ও বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর মুখে লাগিয়ে ঘষতে হবে আলতো হাতে। এটা শুধু কালো দাগই কমাবে না, ব্ল্যাকহেডসের সমস্যাও মেটাবে।
4। আলুর রস: আলুর রসেও ব্লিচিং উপাদান রয়েছে। আলু থেঁতো করে রস বের করে তাতে এক চিমটে মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এক সপ্তাহ প্রতিদিন এটা ব্যবহার করলে মুখের দাগ দূর হয়ে যাবে।
5। মুসুর ডাল: মুসুর ডাল ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য বেস্ট। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে এই ডাল। অল্প মুসুর ডাল ও চাল পেষ্ট করে মুখে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন ত্বকের যাবতীয় ময়লা দুর হয়ে যাবে।
6। যদি ত্বকের ওপর ট্যান পরে যায়,, তখন এই ট্যান দূর করার জন্য এক চামচ টক দই সাথে হলুদ গুড়ো মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে অ্যাপ্লাই করুন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যেও বেশ বেশ কার্যকরী হয়ে ওঠে। যেখানে যেখানে ট্যান পড়েছে, সেই সব জায়গাতেই লাগিয়ে নিতে পারেন। খুব বেশি ঘষবেন না। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
আরোও পড়ুন,
How To Remove Pimple Marks: পুজোয় ঘুরে ত্বকে ব্রণর দেখা? উপায় কী