ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। পুজোর ৫ টা দিন আমরা রাতভোর ঘুরি – হাজারো মেকাপ প্রোডাক্ট মুখে মাখি,, এর থেকে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়.. আমাদের ত্বকের তৈলগ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় তখন এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে ব্রণ পরিবর্তন করে ব্রণের আকার ধারণ করে। আবার ব্রণ পেকে গেলে কালো দাগ রেখে যায়,, যা কিছুতেই ওঠার নাম নেয় না… যা আমাদের চেহারার সৌন্দর্য একদম শেষ করে দেয়। এর থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন—
১) প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস জল পান করুন। ভাজা পোড়া কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২) প্রতিদিন রাতের খাবারের পর যেকোনও ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে।
৩) সব সময় বাইরে থেকে আসামাত্র মুখ ফেইস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২/৩ বার মুখ ভালো করে ধোবেন।
৪) আমাদের মধ্যে অনেকেরই নখ দিয়ে ব্রণ খোটার বাজে অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এতে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হয় । এর ফলে ব্রণ লাল হয়ে যাবে। এমনকি তা ফেটে গিয়ে মুখে দাগের সৃষ্টি করবে।
৫) ব্রণর দাগ দূর করার কিছু ঘরোয়া ফেসপ্যাক ইউজ করতে পারেন যেমন, মুলতানি মাটি, গোলাপ জল মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে ত্বকে অ্যাপ্লাই করতে পারেন,, এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেলভাব সরিয়ে দেবে।
৬) শশার রসশশার রস খুব উপকারী। এটি ত্বক সতেজ রাখে। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। কিংবা আইস কিউব করে রেখেও ইউজ করতে পারেন।
৭) কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়োকাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। দুটি উপাদান একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। এরপর মুখে মেখে নিতে অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
৮) পেঁপে ও কফি গুঁড়ো ব্রণ যেনো না হয় তার জন্য ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশান কফি গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে স্নান করে ফেলুন। আপনারা চাইলে এটি পুরো শরীরে স্ক্রাবিং করতে পারেন।
আরোও পড়ুন,
Foundation For Diwali Makeup: ফিনিশড গ্লোয়িং লুক পেতে সেরা ৩ ফাউন্ডেশন