Hair Care Tips – চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য একটু সময় বার করতে হবে আপনাকে…., এই সময় ঘামে ভিজে ত্বক ও চুলের অনেক ক্ষতি হয়। এজন্যে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ এবং বাতাসে উপস্থিত দূষিত উপাদান চুলের ক্ষতি করে। এতে চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। পার্লরে গিয়ে এত এত টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই। বরং চুলের যত্ন নিতে কাজে লাগাতে পারেন ঘরোয়া টিপস্।
চুল আঁচড়ানোর সময় এই ভুল করছেন
আসলে চুল আঁচড়ানোর সময় আমাদের উচিত সঠিক ব্রাশ বা চিরুণি বেছে নেওয়া। আমরা অনেক সময়েই তা মেনে চলি না। কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। চুল আঁচড়ানোর সময় একটু সতর্ক থাকুন। খুব জোর দিয়ে চুল আঁচড়াবেন না। জোরে জোরে জট ছাড়াবেন না। এর জন্য মোটা চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন…
চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ব্রাশ চালান। এতে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। চুল ভালো থাকে।
অবশ্যই তেল লাগাতেই হবে…
আমাদের চুল ভালো রাখতে গেলে কিন্তু তেল মালিশ করা খুবই প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত ২দিন ভালো করে তেল মালিশ করা প্রয়োজন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল নিন। আঙুলের ডগায় তেল লাগিয়ে নিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় ভালো করে তেল মালিশ করে নিন। কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেলুন।।
স্ক্যাল্প মাসাজ প্রয়োজন যে কারণে
চুল যাতে ঠিকঠাক করে বাড়ে এবং গোড়া থেকে ভালো পুষ্টি পায়, সেই জন্যই আপনার এই স্ক্যাল্প মাসাজ প্রয়োজন। কখনও এই কাজ বাদ দেবেন না। প্রতিদিন পারলে স্ক্যাল্প মাসাজ করুন। চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে। প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার স্ক্যাল্প মাসাজ করে নিন।
বাড়িতে তৈরি হেয়ারপ্যাক লাগানোর খুবই প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত একদিন হেয়ারপ্যাক লাগানো প্রয়োজন। আপনার চুলের প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি, তাই বাড়িতে বানানোর হেয়ারপ্যাক আপনার চুলে লাগিয়ে নিতেই হবে।
ভিজে চুল বাঁধা উচিত নয়। ভেজা চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় জল জমে থাকতে পারে। যা স্ক্যাল্পের ইনফেকশনের কারণও হয়ে উঠতে পারে। এমনকী এতে চুলের গোড়াও দুর্বল হয়ে পড়ে। চুল ঝরে পড়ে যায়।
চুলে হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার, কার্লার ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না, এতে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যায় ।।
বাইরে বের হলে সুতির স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। খুব কম মানুষই জানেন যে সূর্যের আলো চুলকেও প্রভাবিত করে।
গরমেও চুলের আর্দ্রতা প্রয়োজন। তাই এই মরসুমে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারও ব্যবহার করুন।
চুল কালার করতে অ্যামোনিয়া ফ্রি হেয়ার কালার ব্যবহার করুন। ফলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মিলবে এবং চুল পুষ্টি পায়।
কত দিন পর পর চুলে শ্যাম্পু করা উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে অন্তত ৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত। মাথার ত্বকে উপস্থিত তেল, ময়লা এবং রাসায়নিক সমৃদ্ধ জিনিস দূর করা খুবই জরুরি। মনে রাখবেন চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রথমে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি।
চুলে কেন প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি?
ভিটামিন সি এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই উপাদান আপনার চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কোলাজেন সিন্থেসিস করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এর মধ্য়ে থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা কেরাটিন তৈরি করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
Read More,
Fruits For Hair Growth And Thickness – চুল ঘন ও গজাতে কোন ফল ভালো
Tags – Hair Tips, Hair Care
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
Leave a Comment