চুলের কারণে যে কোনও মানুষের চেহারা ও আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। কিনতু সকলের এখন একি সমস্যা চুল ঝরে পড়া,,
চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি আদৌও প্রদান করা হচ্ছে সেদিকে নজর রাখা জরুরি,,,স্ক্যাল্প হল চুলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর উপাদান। যা চুলের বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখে।
স্ক্যাল্পের যত্ন নেবেন কীভাবে
স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প মানেই স্বাস্থ্যকর চুল। মাথার ত্বকের যেকোনো সমস্যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিণতি হয়। যার কারণে চুলের খাদের বাইরের স্তরকে প্রভাবিত করে যাকে কিউটিকল বলা হয়।
শ্যাম্প কীভাবে প্রয়োগ করবেন- শ্যাম্পু হল মাথার ত্বক পরিষ্কার করার এবং সুস্থ রাখার প্রাথমিক উপায়। শ্যাম্পু মূলত মাথার ত্বকের জন্য ব্যবহার করা হয়। মাথার ত্বক পরিস্কার করার জন্য প্রথমে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২-৩ মিনিটের জন্য মাসাজ করতে হয়। তারপর হালকা গরম জল গিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হয়। সপ্তাহে ২বার ২-৩ মিনিটের জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
মাথার ত্বতে মাসাজ করা- প্রতি সপ্তাহে মাথার ত্বকে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়, তাই মাথার ত্বক ও এপিডার্মাল অঞ্চলে আরও পুষ্টি যোগান দেয়।
খুশকি ও তার কারণ- খুশকির জেরে মাথার ত্বকে চুলকানি দেখা যায়। মাথার ত্বকে যদি অতিরিক্ত খুশকি থাকে, তাহলে অ্যান্টি-ড্যান্ড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হেয়ার কন্ডিশনার- চুলের গভীর পর্যন্ত ভাল রাখার অন্যতম সেরা উপায়। এগুলি মাথার ত্বকে মাসাজ করার দরকার নেই। আলতো করে গোটা চুলের উপর কন্ডিশনার লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে চুল পুরো ধুয়ে ফেলুন।
সুস্থ চুলের জন্য ডায়েট- স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই, জিঙ্ক, আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এমন পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।
চুল ভালো রাখার জন্য এবং চুলের গ্রোথ ধরে রাখার জন্য এই কাজটি করতেই হবে। যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁরা এই কাজ করেন। আসলে আমাদের প্রতি মাসেই চুল সামান্য ট্রিম করতে হয়। কারণ, দূষণ-ধুলোর কারণে চুলে প্রভাব পড়েই। এতে চুলের বারোটা বাজে।
আপনি না চাইলেও হয়তো চুলের ডগা রুক্ষ হয়ে যায়। চুলের ডগা ফেটে যায়। তখন চুল আর ঠিক করে বাড়ে না। তাই নিয়মিত চুল ট্রিম করুন।
চুল ধোয়ার ভুল পদ্ধতি অনেকে করেন,, তাই বলে দেই আপনার মাথার ত্বকে তেল লাগান, চুলে নয়।
ধোয়ার আগে শুধুমাত্র 1 বা 2 ঘন্টার জন্য তেল প্রয়োগ করুন (এটি রাতারাতি রাখবেন না)।
আপনার নখ দিয়ে আপনার মাথার ত্বক ঘষবেন না..শুধু আঙ্গুলের ডগা ব্যবহার করুন।
চুল ধোয়ার আগে সবসময় আঁচড়ান।
আপনার চুল শুকানোর জন্য তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। সমস্ত বাড়তি জল মুছে ফেলার জন্য আপনার চুল আলতোভাবে চেপে নিন এবং বাতাসে শুকাতে দিন।
আপনার মাথার ত্বকে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। আপনার শ্যাম্পু এক কাপ জলের সাথে মিশ্রিত করুন তারপর আপনার আঙ্গুলের ডগা দিয়ে আলতো করে লাগান।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো ফলো করুন এবং পেয়ে যান সুন্দর লম্বা চুল।।।
Read More,
Which hair colour suits Indian skin – দেখে নিন ভারতীয় ত্বকের চুলে কোন রঙ ভালো লাগে
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment