অনেকের প্রশ্ন কি খেলে রক্তে কোলেস্টেরল কমে?? তার উত্তর নিয়ে আজ আমি হাজির,,এমন বেশ কিছু ফুড কম্বো রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা একসঙ্গে খেলে আপনাকে কোলেস্টেরল নিয়ে ভাবতে হবে না।
ব্রেকফাস্টে আমরা সাধারনত রুটি, পরাটা, সবজি, মাখন টোস্ট খেয়ে থাকি। এগুলো হয়ত সুস্বাদু খাবার। তবে এসব খাদ্য আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ থাকলে এসব খাবার সকালের নাস্তায় এড়িয়ে চলুন। প্রোটিন, উচ্চ ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি উপাদানগুলো আপনার সকালের খাবারে রাখার চেষ্টা করুন। যা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের উপর প্রভাব পড়ে। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত তেল, মশলা, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হয়। কিন্তু তাতে সম্পূর্ণরূপে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায় না। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গেলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দিতে হয়। সেগুলো কী-কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক –
১. রসুন ও পেঁয়াজ- এই দুই খাবারই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। রসুনের মধ্যে অ্যালিসিন নামের যৌগ রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে, পেঁয়াজের মধ্যে কুইরসেটিন রয়েছে, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনকে প্রতিরোধ করে।
২. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ফলটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে পরিপূর্ণ। যা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
৩.ওটমিল
ওটস বা ওটমিল স্বাস্থ্যকর খাবার। এটিকে সুস্বাদু ব্রেকফাস্ট রেসিপিতে পরিণত করা যেতে পারে। আম, আপেল, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা কলার মতো আপনার প্রিয় মৌসুমি ফলগুলো যোগ করুন। আবার ওটস ফ্রুট স্মুদিও বানিয়ে নিতে পারেন। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৪. আমন্ড ও দই- আমন্ডের উপকারিতা গুণে শেষ করা কঠিন। আমন্ডের মধ্যে হার্ট-হেলদি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে, রোজ টক দই খেলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা ৫% পর্যন্ত কমতে পারে। ব্রেকফাস্টে টক দইয়ের সঙ্গে আমন্ড মিশিয়ে খেতে পারেন।
৫.গ্রিন টি ও লেবু- ওজন কমাতে অনেকেই গ্রিন টি পান করেন। গ্রিন টিয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে নানা উপায়ে উপকৃত করে, যার মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো রয়েছে। আর লেবুর রসে রয়েছে ফ্ল্যাভনয়েড যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৬. আপনাকে সব ধরনের আইস ক্রিম আর শর্করা যুক্ত মিষ্টি খাবার বাদ দিতে হবে। অতিরিক্তভাবে যোগ করা শর্করা এবং ক্ষতিকর (LDL) কোলেস্টেরল-এর বৃদ্ধিতে যে এক রকমের যোগ-সূত্র রয়েছে তা গবেষণাতেই[1] দেখা গেছে। অতিরিক্তভাবে যোগ করা শর্করা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল-এর মাত্রা HDL[2] কমিয়ে এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
৭.আপনি মাখন খাওয়াও এড়িয়ে চলুন। জলখাবার থেকে প্রাতঃরাশে যা আমরা খাই, যেমন মাখন লাগান সেঁকা পাঁউরুটি, পপকর্ন ইত্যাদি সবেতেই মাখন থাকে। মাখনে উচ্চ পরিমাণে সংশ্লেষিত দুধ জাতীয় চর্বি এবং কোলেস্টেরল থাকে।
আরোও পড়ুন,
How to increase calcium in body – আয়রন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার
Tags – Low Cholesterol Foods , Health Tips
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment