আমাদের যেমন বেঁচে থাকার জন্যে ভাতের প্রয়োজন তেমনি কিনতু চুলের যত্নে আমাদের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার প্রয়োজন…!! চুলের আর্দ্রতা ফেরাতে ও সিল্কিভাব বজায় রাখতে কন্ডিশনার মাস্ট,, কিনতু আজকাল দেখছি কন্ডিশনাররে এতো পরিমান কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে যে চুল আঁচরালে কিংবা শ্যাম্পু করার সময় মুঠো মুঠো চুল উঠছে,,, তাই আপনি যদি চান রান্নাঘরের টুকিটাকি উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন চমৎকার কন্ডিশনার। এমনই কিছু কন্ডিশনারের খোঁজ থাকছে আজ….. যাদের চুল শুষ্ক ও রুক্ষ তাদের জন্য বেস্ট কন্ডিশনার হতে চলেছে,,,প্রাকৃতিক কন্ডিশনার চুলের কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই এর আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে—-
রুক্ষ চুলের যত্নে ঘরে তৈরি কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
১/ যেসব কারণে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়
✓ আবহাওয়ার শুষ্কতার কারণে চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে যেতে পারে।
✓ সূর্যালোক বেশি পড়ে এমন জায়গায় বেশি থাকার ফলে রুক্ষ হতে পারে।।
✓ খুব ঘন ঘন চুল ধোয়ার ফলে এর প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়। ফলে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে।
✓ স্টাইলিং সামগ্রীর কড়া রাসায়নিক চুলকে রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়।
✓ রাসায়নিক উপাদান যেমন- চুলে রং করা বা ব্লিচ করা ক্ষতিকর। ফলে চুলে জট বাঁধে ও রুক্ষ হয়ে যায়।
✓ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টির ঘাটতি, ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাব চুলের স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে ফেলে।
** এবার দেখে নিন প্রাকৃতিকভাবে চুল ‘কন্ডিশন’ করবেন কীভাবে —-
✓ অ্যালো ভেরার জেল: অ্যালো ভেরার জেল আলাদা করে সরাসরি চুলে ব্যবহার করতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
✓ দই ও ডিম: এক কাপ দইয়ের সাথে একটি ডিম ফেটে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলে মেখে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। চাইলে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।।
আরোও পড়ুন,
Protein-Rich Foods Vegetarian: ওজন কমাতে ডায়েটে রাখুন উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার
✓অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: সামান্য পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সাথে কিছুটা বেশি পরিমাণ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। শ্যাম্পু করার পরে এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ও মাথার ত্বক ভিজিয়ে রেখে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ডিরেক্টলি ইউজ করবেন না।।
✓ রাইস ওয়াটার: শ্যাম্পুর পর চুলে লাগাতে হবে। এটির অ্যাসিটিক অ্যাসিড চুলকে মসৃণ করতে সাহায্য করে।
✓ দই ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল: সম-পরিমাণ দই ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে হবে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কন্ডিশনার বানানো
কতদিন পর পর এই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে?
সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পর পর এই প্রাকৃতিক কন্ডিশনে চুলে ব্যবহার করা যায়।অনেকেই সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশন করে উপকার পায়। কেউ আবার এর চেয়ে বেশিদিন পর ব্যবহারে উপকার পান। এটা মূলত নির্ভর করে চুলের ধরন, পরিবেশ ও জীবনযাত্রার ধরনের ওপর নির্ভরশীল।
Read More,
Face Wash For Winter Dry Skin (শুষ্ক ত্বকের জন্য সেরা ৫ টি ফেসওয়াস)