Neem Oil For Skin Benefits – তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার: নিম পাতা একটি ওষুধের মতো কাজ করে,, এই পাতার এতো গুন বলে শেষ করা যাবে না,, জেল্লাদার এবং দাগছোপহীন ত্বক পেতে বিশেষ উপায়ে যত্ন নেওয়া জরুরি। স্কিনকেয়ারে নিম তেল যোগ করলে অনেক উপকার পাবেন,, কারণ এই তেল একাধিক গুণে গুণী।এটি ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান করে, এমনকী মুখে বয়সের ছাপও মলিন করে।
Neem Oil For Skin Care
ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন নিম তেল। এতে লিনোলিক অ্যাসিড, পালমিটিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড ও স্টিয়ারিক অ্যাসিডের মতো প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড আছে।
ত্বকের কোনও ক্ষতি পূরণে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। এই তেলে আছে নিম্বোলাইড ও আজাডিরাকটিন। এটি ফ্রি রাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ত্বকের কোনও রকম সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিম পাতার তেল। ত্বকে নানা কারণে সংক্রমণ দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তুলোয় করে এই তেল সংক্রমণের ওপর লাগান। এতে উপকার পাবেন।
নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
একজিমার মতো সমস্যা দূর হয় নিম তেলের গুণে। একজিমার মতো চর্মরোগের সমস্যা দেখা দেয় প্রায়শই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাতিয়ার করুন নিম তেল। এই তেলে আছে উপকারী উপাদান
Neem Oil Uses Skin benefits
নিম তেল কী?
নিম গাছ অনেকের বাড়িতেই রয়েছে। এই গাছের ডাল থেকে পাতা, প্রায় সব অংশই বেশ উপকারী। নিমের বীজ থেকে যে তেল তৈরি করা হয়, সেটিও স্কিনকেয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।নিমের বীজ থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে এই প্রাকৃতিক তেল তৈরি করা হয়।
নিম তেলের গুণাগুণ
এতে রয়েছে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ট্রাইগ্লিসারাইড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ক্যালশিয়াম। যেমন –
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা মেটায়।
বলিরেখা মলিন করে।
কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
অ্যাকনে সারায়।
ত্বক ভালো রাখে।
নিমপাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়
পরিমাণ মতো নিম তেলে একটি কটন বল ভিজিয়ে নিয়ে মুখে ড্যাব করুন। ২০ মিনিট পরে হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
মুখ ও দাঁতের যত্নে
নিমের অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটোরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুখ ও দাঁতের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর। নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া মজবুত হওয়ার পাশাপাশি মাড়ি থেকে রক্ত পড়াও কমে যায়।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
মুখের দুর্গন্ধেও নিমের কার্যকারিতা রয়েছে। নিম দাঁতের ফাঁকে জন্ম নেয়া ব্যাকটেরিয়া নিধন করে, ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয় না।
কাটাছেঁড়া
শরীরের কোথাও কোনো কারণে কাটাছেঁড়া, ক্ষত বা পুড়ে গেলে নিমপাতার রস ভেষজ হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতস্থানে নিমের রস লাগালে রক্তপড়া বন্ধ হবে।
মুখের উজ্জ্বলতা
নানা কারণে চেহারা অনুজ্জ্বল হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিমপাতার পাউডার বেশ কার্যকর। কিছু নিমপাতা রোদে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে নিন। পরে এগুলো ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চেহারার ক্লান্তিভাব ও অনুজ্জ্বলতা দূর হবে এবং আরও সতেজ দেখাবে।
১ চা চামচ বেসন, ১ চামচ টকদইয়ের সঙ্গে নিম পাউডার দিয়ে ভালো করে মেশান। এই প্যাক মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর করবে।
২. কয়েকটি নিমের পাতা, অল্প হলুদের গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। নিম ও হলুদ ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এ ছাড়া তৈলাক্ততা এবং ব্রণের প্রকোপ কমায়।
৩. এছাড়াও কেরিয়ার অয়েলে নিম তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। জোজোবা, গ্রেপসিড অয়েল বা নারকেল তেলে নিম তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। ত্বক মসৃণ হবে।।
Tags – Skin Care, Skin Tips