ডায়াবিটিস এমন একটি রোগ, যা অধিকাংশ সময় হানা দেয় রোগীর অজান্তেই। আমরা বুজতেও পারিনা কখন এটি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে।। যখন ধরা পড়ে, তখন ক্ষতি হয়ে যায় অনেকটা। পাশাপাশি ডায়াবিটিস একা আসে না, ডেকে আনে আরও হাজার রকমের সমস্যা। তাই দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমি মনে করি প্রতি বছর অন্তত এক বার ডায়াবিটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু এখন তো ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন’ বলছে, তিন দশক আগেও শিশু ও তরুণ-তরুণীদের দেহে এই রোগ ছিল অত্যন্ত বিরল।
ব্লাড সুগার কেন হয়
গ্লুকোজ দুটি প্রধান উত্স থেকে আসে: খাদ্য এবং লিভার । চিনি রক্ত প্রবাহে শোষিত হয়, যেখানে এটি ইনসুলিনের সাহায্যে কোষে প্রবেশ করে। লিভার সঞ্চয় করে এবং গ্লুকোজ তৈরি করে। তখনই ব্লাড সুগার এ পরিণত হয়।।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে কি করা উচিত
প্রচুর পরিমাণে চিনি-মুক্ত তরল পান করুন – আপনি যদি ডিহাইড্রেটেড হন তবে এটি সাহায্য করতে পারে। ব্যায়াম করুন – মৃদু, নিয়মিত ব্যায়াম যেমন হাঁটা প্রায়ই আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
টাটকা ফল সবজি খান।।
কোন বয়সে রক্তে শর্করার মাত্রা কত হওয়া স্বাভাবিক?
৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
১৩ থেকে ২০ বছর বয়সিদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
২০ বছরের উপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ফাস্টিং সুগার ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নীচে থাকাই ভালো।।
কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন শরীরে ডায়াবিটিস বাসা বেঁধেছে?
ঘন ঘন প্রস্রাব।। রক্তে শর্করা বাড়লে তা কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে, শরীর থেকে অতিরিক্ত শর্করা বার করে দেওয়ার জন্যই এই চাপ। তাই ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। ও অতিরিক্ত শরীরের জল বেরিয়ে যায়। তাই জল তেষ্টাও পায় প্রবল। এমনকি, রাতে ঘুমের মধ্যেও জিভ শুকিয়ে জল তেষ্টা পায় বার বার। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? হাঁপিয়ে যাচ্ছেন প্রায়ই? খুব অল্পেই হাঁপিয়ে ওঠা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ।
মনে রাখবেন –
এই জিনিসগুলি রক্তে শর্করার স্তরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে –
ঘুম – ঘুমের অভাব ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধকে প্রভাবিত করতে পারে। ঘুমের অভাবের কারণেও আপনাকে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হতে পারে, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
স্ট্রেস – স্ট্রেস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ কারণে অনেক রোগের সম্মুখীন হতে হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে।
শারীরিক মাত্রা- শারীরিক কার্যকলাপ না করা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি ঘটে কারণ নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
ডিহাইড্রেশন– কম জল পান করা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আপনি যখন কম জল পান করেন, তখন তা আপনার শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়, যাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস রোগীদের সর্বোচ্চ পরিমাণে জল পান করা জরুরি।
Read More,
Which Vitamin Helps In Blood Clotting – কোন ভিটামিন রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে
Tags – Blood Sugar Levels , Health Tips
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
Leave a Comment