আমরা প্রত্যেকে ভাবি আমাদের একদম দাগছোপহীন সুন্দর ফ্রেশ ত্বক থাকবে…. সবাই আজকাল বেশ স্কিন কেয়ার সচেতন। কিনতু তারই মধ্যে বর্তমানে হাইপারপিগমেন্টেশন ত্বকের ক্ষেত্রে এক অন্যতম বড় সমস্যা। এর ফলে ত্বক অতিরিক্ত কালচে হয়ে যায়। দাগ ছোপ দেখা দেয়। তাই আজকে আমরা হাইপারপিগমেন্টেশন কী, কেন হয় এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানবো।
মুখে পিগমেন্টেশন কেন হয়
✓ হাইপারপিগমেন্টেশনের ধরন এবং কারণ – বিভিন্ন ধরনের হাইপারপিগমেন্টেশন আছে। সাধারণ হল মেলাসমা, সূর্যালোকের প্রভাব এবং পোস্ট-ইনফ্ল্যামেটরি হাইপারপিগমেন্টেশন।
১। মেলাসমা– মেলাসমা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে বলে মনে করা হয় এবং এটি গর্ভাবস্থায় বিকশিত হতে পারে। এটি সাধারণত পেট এবং মুখে হাইপারপিগমেন্টেশনের লক্ষন দেখা যায়।
২। সূর্যালোকের প্রভাব- হাইপারপিগমেন্টেশনের আরেকটি কারণ হতে পারে সূর্যালোক। সূর্যের এর ইউভি এ রশ্মি ত্বকের ভিতর পৌঁছে অতিরিক্ত মেলানিন তৈরি করে। গালে , নাকের ওপরে দাগ ছোপ দেখা যায়।
ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করার উপায়
৩। প্রদাহ-পরবর্তী হাইপারপিগমেন্টেশন– এটি ব্রণ হওয়ার পরেও লালচে, বাদামী বা কালো দাগ হিসাবে এটি প্রকাশ পেতে পারে।ত্বকের পিগমেন্টেশনের কারণ কী?স্কিন পিগমেন্টেশন বা কালো দাগ ত্বকের সাধারণ সমস্যা। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে এলে এটি ত্বকের মেলানোসাইট কোষ দ্বারা উত্পাদিত হয়। শরীরে হরমোনের পরিবর্তনও এই সমস্যার জন্য দায়ী।
বিশেষত গর্ভাবস্থার সময় মহিলাদের মধ্যে যে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে ,, এই হাইপারপিগমেনটেশনের আরও একটি সাধারণ কারণ হল সূর্যালোক। সূর্যালোকের কারণে আমাদের ত্বকে অত্যধিক পরিমাণে মেলোনিন তৈরি হয়, যার ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়।
স্কিন পিগমেন্টশন দূর করার ঘরোয়া উপায়
প্রতিরোধ:
** সুস্থ থাকতে অবশ্যই জীবনধারার পরিবর্তন করা উচিত। যেমন ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই সমৃদ্ধ ফল ও শাক সবজি খান প্রচুর পরিমাণে।
** তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। জল খাবেন বেশি করে।
** ফলের রস পান করুন এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখুন।
** বাড়ির বাইরে বেরনোর আগে ত্বকের ওপর সানস্ক্রিম প্রয়োগ করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা মুখ ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও সেভাবে সানস্ক্রিম প্রয়োগ করিনা, এই ভুলটা ভুলেও করবেন না।
আরোও পড়ুন,
Summer Moisturizer: গরমে ত্বকের সেরা ৩ ময়েশ্চারাইজার