মাথার সামনের চুল গজানোর উপায় : একবার যদি চুল পড়া শুরু করে.. ব্যাস ওনাকে আর কে আটকায়… যাঁদের জেনেটিক কারণে চুল পড়ছে, তাঁদের কথা আলাদা। বাকিদের ক্ষেত্রে কিন্তু চুল পড়ার কারণটা খুঁজে বের করতে পারলেই সমস্যার অর্ধেকটা সমাধান হয়ে যায়। আবার এমনও হয় যদি আপনার খাবারে পুষ্টিগুণের অভাব হয়, মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস থাকে, খুশকি বা স্ক্যাল্পের অন্য কোনও সমস্যার কারণে বা কোনও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়তে পারে। সাধারণত এই ধরনের সমস্যাগুলির সমাধান হয়ে গেলেই চুল পড়াও কমে যায়। কিন্তু তার পাশাপাশি যেটা প্রয়োজন, তা হল নতুন চুল গজানো।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন বি, সি ও ই-এর খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি অবশ্যই রাখা উচিত, তা থেকে পাওয়া যায় বায়োটিন। নতুন চুল গজানোর কাজে দারুণ সহায়ক হতে পারে হেয়ার ম্যাসাজ। পছন্দের কোনও তেলের মধ্যে ভিটামিন সি বা ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন। যেমন নারকেল তেল, সরষের তেল, মিষ্টি আমন্ডের তেল বেছে নিন।
আরও কিছু নিয়ম মেনে মাত্র তিন সপ্তাহেই পেতে পারেন নতুন চুল।
নতুন চুল গজাতে ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের রস আঙুলের সাহায্যে পুরো মাথায় ঘষে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের রস এর সঙ্গে অ্যাপ্লাই করতে পারেন নারকেল তেল।।
মধু, ও ক্যাস্টর প্যেল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৪০ মিনিট পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা এই মিশ্রণ দিয়ে হেয়ারপ্যাক বানিয়ে নিন। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এর পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ম্যাসাজ
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন মাথার ত্বক। আঙুলের সাহায্যে ধীরে ধীরে মাথার পেছন থেকে ম্যাসাজ শুরু করুন। শেষে চুল ভালো করে ব্রাশ করে নিন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও নতুন চুল গজায়।
প্রতিদিন চুল ধোবেন না
দুই দিন পর একদিন চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। নয়তো চুলের গোড়া দূর্বল হয়ে যায়।।
নজর দিন খাদ্য তালিকায়
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রাখুন দৈনন্দিন খাবারের তালিকায়। এছাড়া আঁশজাতীয় খাবারও খেতে হবে। শাকসবজি ও তাজা ফল খান প্রতিদিন।
ডায়েটে বায়োটিন শামিল করুন
বায়োটিন অর্থাৎ ভিটামিন বি-৭ আপনার চুলের ক্যারোটিন উৎপাদনে সহায়ক হয় এবং ফলিকল গ্রোথের রেট বাড়াতে পারে। চুলের গ্রোথ বাড়াতে অবশ্যই সহায়তা করে। ডিম, বাদাম, পেঁয়াজ, মিষ্টি আলুতে বায়োটিনের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকে।
পর্যাপ্ত ঘুমোন
যখন আপনি ঘুমোন তখন আপনার শরীর মেরামত হয়। যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন তখন আপনার গ্রোথ হরমোন সেল প্রোডাকশনেকে দ্রুত করতে সাহায্য করে।
Read More,
Tags – Hair Tips , Hair Care
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment