ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং এই ৩টি জিনিস সবার জন্য একি।। টিনেজারদের পড়াশোনা, সোশ্যাল লাইফ, ক্যারিয়ার, হরমোনাল প্রবলেম সহ বিভিন্ন কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এসব কিছুর মধ্যে কিনতু ত্বকের যত্ন নিতে হবে । ছোট থেকে বড় সকলেরই ত্বকের যত্ন প্রয়োজন হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা বুঝতে পারে না তাদের ত্বকের ধরন। নিখুঁত ত্বকের আশায় ভুল পণ্য বেছে নেন বেশিরভাগ মানুষ। আর এখানেই তৈরি হয় ত্বকের সমস্যা। বেশীরভাগ টিনেজাররা কনফিউশনে ভোগেন যে, কোনটা তাদের স্কিনের জন্য করা উচিত, আর কোনটা উচিত নয়। তাই টিনেজাররা সঠিকভাবে কীভাবে তাদের ত্বকের যত্ন নিবেন, তা জানাটা খুবই জরুরি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই, টিনেজারদের ত্বকের যত্ন কীভাবে নাওয়া উচিৎ –
১. ত্বকের ধরন বোঝা
প্রথমেই যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিতে হবে, তা হচ্ছে নিজের স্কিনটিকে বোঝা। নরমাল, ড্রাই, অয়েলি, নাকি কম্বিনেশন? এটা জানতে পারেন সহজ উপায়েই। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মুখের স্কিনে হাত বুলিয়ে দেখুন। যদি আপনার স্কিন সফট ফিল হয়, ব্লেমিশ বা প্যাচ না থাকে এবং স্কিনে অয়েল ব্যালেন্সড থাকে, তবে আপনার নরমাল স্কিন।
২. ক্লেনজিং
ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক ক্লিন করা খুবই জরুরী। নয়তো, ত্বকে জমে থাকা অয়েল, ঘাম, ময়লা কিন্তু স্কিনের ক্ষতিই করবে।
৩. ময়েশ্চারাইজ
সব ধরনের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার কিন্তু মাস্ট। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন অবশ্যই।।
৪. এক্সফোলিয়েট
সপ্তাহে ২/১ বার ত্বকে স্ক্রাব ব্যবহার করবেন। তবে, দোকান থেকে কেনা স্ক্রাবার ব্যবহার না করে, হোমমেইড স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তবে সবসময় খুব হালকা করে আলতো হাতে স্ক্রাব করবেন।
৫. সানব্লক
হেলদি এবং ট্যান ফ্রি স্কিন পেতে প্রতিদিন সানব্লক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে সানব্লক ব্যবহার করবেন।
৬. ফেইস মাস্ক
স্কিনের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ফেইস মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। তবে আপনি চাইলে ঘোরেই ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্টস দিয়ে মাস্কগুলো বানিয়ে নিতে পারে। যেমন- বেসন এবং হলুদ, মধু এবং লেবু, টমেটো এবং মুলতানি মাটি, চন্দন এবং মধু ইত্যাদি ইনগ্রিডিয়েন্টস মিলিয়ে মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৭. মেকআপ
টিনেজাররা মেকআপ পছন্দ করলেও সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। টিন স্কিনে ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো।
৮. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক
আপনার ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয় তাহলে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ১ টা ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চামচ শসার রস এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ত্বকের উপর প্রয়োগ করুন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে শুকনো হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
১১ বছর বয়সের আগে স্কিন মাস্ক, হেয়ার প্যাক— কোনও কিছুর দরকার নেই। তেল মালিশ, বেবি ক্রিম, লিপ বাম, চুলে তেল-শ্যাম্পু-ই যথেষ্ট। কেমিক্যাল ব্যবহার করে তা নষ্ট করতে দেবেন না।
Read More,
Dermatologist Recommended Sunscreen For Face
Tags – Skin Care, Products
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
Leave a Comment