তেল ছাড়া সব রান্নাই অসম্পূর্ণ….প্রতিদিনের রান্নার কাজে তেল তো লাগেই। সবজি, মাছ, মাংস, ডাল, খিচুড়ি, পরোটা কোনটাই বা তেল ছাড়া হয়! কিন্তু সব তেল যেন স্বাস্থ্যের জন্য সমান উপকারী, তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে উপকারী তেলের তালিকা। সেটি নিয়ে আজ আলোচনা করবো দেখে নিন —-
জেনে রাখা ভালো, তেল কেনার সময় কোন বিষয়গুলো লক্ষ করতে হবে। সব ধরনের তেলেই চর্বি বা ফ্যাট থাকে। ফ্যাট মানেই যে তা খারাপ, ব্যাপারটি এমন নয়। তেলে সাধারণত স্যাচুরেটেড, মনো-আনস্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, এখন আপনাকে জানতে হবে যে কোন তেল সবচেয়ে ভালো….
Best Cooking Oil For Heart
১/ কাচ্চি ঘানি তেল–সুস্থ্য থাকতে হলে কাচ্চি ঘানি তেল ব্যবহার করুন। এটি তৈরিতে কোনো তাপমাত্রা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না। ফলে পুষ্টির প্রায় সবটাই রয়ে যায়। সরিষার তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২/ অলিভ অয়েল—অন্যতম স্বাস্থ্যকর তেল হলো অলিভ অয়েল। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রান্না করা ভালো কারণ এটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। এই তেল প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত হয় না, ফলে এর গুণমান অটুট থাকে। এতে থাকে পর্যাপ্ত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কিছু পরিমাণ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য খুব উপকারী।
৩/ নারিকেল তেল–নারিকেল তেলে থাকে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাটকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে ধরা হয়। তবে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোতে অল্প ব্যবহার করে কোলেস্টেরল কমানো যেতে পারে। বাইরের দেশে এই নারকোল তেল দিয়েই রান্না করে।।
Best Oil For Cooking
৪/ তিলের তেল: তিলের বীজ থেকে প্রাপ্ত তেলে কোনও কার্বোহাইড্রেট নেই। এটি ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ। এটি আলঝাইমার রোগ, ক্যানসার এবং ছানি প্রতিরোধ করে। যে তেলে ক্যালোরি বেশি থাকে, তা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৫/ সূর্যমুখী তেল–ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল হলো সূর্যমুখী। সূর্যমুখী তেলে থাকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি শরীরে সৃষ্ট প্রদাহ কমাতে কাজ করে।
Read More,
5 Health Benefits Of Jaggery: গুড় খাওয়ার ৫ উপকারিতা