Spread the love

ইউরিক অ্যাসিড এর অভাবে পায়ের গাঁটের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? রোজকার ডায়েটে রাখুন এই ফল গুলি – Suffering From Ankle Pain Due To Lack Of Uric Acid? Include These Fruits In Your Daily Diet

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খাওয়া দাওয়ার পরিমান অনেক কমে যায়,, আসলে খাবার হজমের সময় ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটি মূত্রের স্বাভাবিক উপাদান, তবে মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন বা ওজন বাড়লে কখনও কখনও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় । তাই আপনার ডায়েটে এই ফলগুলি রাখলে তা সহজেই বের করে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।


IMG_20220622_114053-1655878279568 ইউরিক অ্যাসিড এর অভাবে পায়ের গাঁটের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? রোজকার ডায়েটে রাখুন এই ফল গুলি - Suffering From Ankle Pain Due To Lack Of Uric Acid? Include These Fruits In Your Daily Diet

পায়ের গাঁটে অসহ্য ব্যথা? শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ফলগুলি খান


এবং যাঁরা প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ-মাংস খান, তাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাবার ঝুঁকি বেশি। মদ্যপান ও কার্বোনেটেড কোলা জাতীয় ঠাণ্ডা খাবার বেশি খেলেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। স্বাভাবিকের থেকে বেশি ওজন হলেও ঝুঁকি থাকে। ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, কিডনির অসুখ থাকলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে।


অ্যাসিড বা গাঁটের ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে দিন কাটান অনেকেই। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ফলে হাইপারুরিসেমিয়া হতে পারে, যার ফলে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল তৈরি হতে পারে, যা জয়েন্টগুলিতে জমা হয় এবং গাউট হতে পারে। কখনও কখনও এগুলি কিডনিতে গিয়ে পাথর তৈরি করতে পারে।ইউরিক অ্যাসিড রক্তে পাওয়া কোলেস্টেরলের মতো বর্জ্য বা নোংরা পদার্থ। এটি তৈরি হয় যখন শরীরে পিউরিন নামক রাসায়নিক ভেঙ্গে যায়। অ্যাসিড ক্রিস্টালের আকার নেয়। এটি গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ ডেকে আনে। যদিও ইউরিক অ্যাসিডের জন্য অনেক ওষুধ এবং চিকিৎসা পাওয়া যায়, তবে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু ফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

ইউরিক অ্যাসিডের জন্য যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? কি খাবার খাবেন


অ্যাভোকাডো: আপনি যদি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো অন্তর্ভুক্ত করুন আজ থেকেই। এটি এমনই একটি সুপারফুড, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস। অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে, যা একটি প্রদাহ বিরোধী, যা গাউট ফ্লেয়ার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।


চেরি খান: চেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় গাঢ় বেগুনি-লাল রঙের হয়।এই ছোট ফলটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

আঙুর, কমলা, আনারস এবং স্ট্রবেরির মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায় এবং গাউটের ঝুঁকি প্রতিরোধে সাহায্য করে।


কলা

যদি আপনার উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে গাউট হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিন একটি কলা খেলে আপনার রক্তে ইউরিক অ্যাসিড কম হতে পারে, যা আপনার গাউট আক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে। কলায় স্বাভাবিকভাবেই পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে।

আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার রক্ত প্রবাহে ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে এবং আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করে।


স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কার্যকরী বলে বিবেচিত হয় এবং এগুলি ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিককরণ এবং জয়েন্টগুলিতে এটি জমাকে হওয়া প্রতিরোধ করে। এগুলি প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন।


এক গ্লাস জলের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলেও ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে।


দুগ্ধজাত দ্রব্যের পরিবর্তে, আপনার ডায়েটে সয়া দুধ, টফু ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন।


নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন, যাতে স্থূলতা এবং মানসিক চাপের সমস্যা এড়ানো যায়।


কী কী খাবার বন্ধ করতে হবে


চিনি বা কর্ন সিরাপ দেওয়া খাবার একেবারে বন্ধ করা উচিত। কোলা জাতীয় পানীয়, রং দেওয়া জেলি, জ্যাম, সিরাপ, কৌট বন্দি ফ্রুট জ্যুস খাওয়া চলবে না। স্মোকড ও ক্যানড ফুড খাওয়া চলবে না। আচার, চানাচুর, নোনা মাছ খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। পালং শাক, বিনস, বরবটি, রাজমা খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। তবে রান্না করা শিম, কড়াইশুঁটি, ঢ্যাঁড়স বা টোম্যাটো খেলে কোনও সমস্যা হয় না, পালং শাক, পুঁই শাক, মুসুর ডাল, বিউলি ডাল, মাটন, সমুদ্রের মাছ খাওয়া মানা। মাছ, চিকেন বা ডিম খাওয়া যায়। তবে সব বেশি নয়, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেলে মূত্রনালীতে ইউরিক অ্যাসিড জমে স্টোন তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।




Tags – Health Tips

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *