এই খাবারগুলি খেলেই রক্তনালীতে জমে কোলেস্টেরল – Cholesterol Accumulates In Blood Vessels By Eating These Foods
কোলেস্টেরল শরীরে অনেক সমস্যাই তৈরি করে দেয়। এক্ষেত্রে Heart Attack, Stroke হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের হাতের কাছে থাকা কিছু খাবার এই সমস্যা বাড়াতে পারে। যেমন – চিজ, মাখন, ঘি থেকে দূরে থাকুন।
কোলেস্টেরল এক অসুখ। প্রচুর মানুষ এই রোগে এখন আক্রান্ত। তবে দেখা গিয়েছে যে এই রোগ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনও মাথা ব্যথা নেই। প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
এই চেনা খাবারগুলি খেলেই রক্তনালীতে জমে প্রাণঘাতী কোলেস্টেরল!
কোলেস্টেরল (Cholesterol) হল রক্তে থাকা মোমের মতো পদার্থ এই পদার্থটি শরীরে বেশি থাকলে তা রক্তনালীর ভিতরে গিয়ে জমে। এক্ষেত্রে যেই রক্তনালীর ভিতর কোলেস্টেরল (Cholesterol) জমে সেখানে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে একটু সচেতন আপনাকে থাকতেই হবে।
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ কোলেস্টেরলকে হেলাফেলা করেন। তবে দেখা গিয়েছে যে এই সমস্যা বাড়লে শরীরে তা গুরুতর আকার নেয়। তখন শরীর খারাপ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
মুশকিল হল, বেশিরভাগ মানুষ বছরে একবারও টেস্ট (Cholesterol Test) করেন না। তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যার ঝুঁকি বেশি। তবে সেটা একটা দিক। আজ আমরা জেনে নেব, কোন কোন খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে কোলেস্টেরল আসুন জানা যাক-
ডিমের কুসুম
মিত্রের কথায়, ডিম (Egg) খুব উপকারী একটা খাবার। তবে ডিম থেকেও সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে মূলত ডিমের কুসুম থেকে সমস্যা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ডিমের কুসুমের মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরল।
পাঠার মাংস
আসলে শুধু পাঠার মাংস নয়, যে কোনও রেডমিট (Red Meat) থেকেই সমস্যা হতে পারে বলে জানালেন ডা: মিত্র। তাঁর কথায়, রেডমিটের মধ্যে মাংসের পরিমাণ রয়েছে বেশি। তবে তা বাদ দিয়েও পাঠার মাংস শরীরে সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে মাংসে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফ্যাট।
কি খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে শরীরে
ফাস্টফুড
আমাদের হাতে এখন সময় খুবই কম। তাই বাইরের খাবারে মন দিয়েছি। এবার দেখা গিয়েছে যে ফাস্টফুডের (Fast Food) মতো বাইরের খাবার খেলে শরীরে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে এই খাবারে নুন, তেল, মশলা সবই থাকে বেশি।
কোলেস্টেরল কমাতে করবেন?
এই কয়েকটি খাবার থেকে দূরে থাকতে পারলেই সমস্যা অনেকটা কমানো সম্ভব। তবে সবথেকে বড় কথা হল আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
কোলেস্টেরল কমানোর উপায়
অ্যালোভেরা- প্রতিদিন খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ধনে- সারারাত ধরে জলে ধনেকে ভিজিয়ে রাখুন, সকালে উঠে তা পান করুন।
অঙ্কুরিত শস্য- অঙ্কুরিত শস্য হৃদয়ের জন্য ভালো এটা বলা ভুল হবে না। প্রতিদিন অঙ্কুরিত শস্য গ্রহন করলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে
ওটস- এক স্বাস্থ্যকর দিনের শুরু করুন প্রাতঃরাশে ওটস খেয়ে। ৬ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সকালে ওটস খেলে, এলডিএল ৫.৩% কমে।
ওয়াইন- যারা ওয়াইন খেতে ভালবাসেন তারা এই শখটা বজায় রাখুন। কারণ সপ্তাহে দুদিন অল্প পরিমাণ ওয়াইনস খেলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে।
গ্রিন ট্রি- কফির তুলনায় গ্রিন ট্রির মধ্যে ক্যাফিনের পরিমাণ কম থাকে। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরকে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন গ্রিন ট্রি পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
মাছ- যারা মাছ খায় তাদের পক্ষে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো সহজ হয়। আসলে আমাদের শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এমিনো অ্যাসিডের প্রয়োজন থাকে।
শরীরে শক্তির জোগান দেওয়া ছাড়াও ভিটামিন ডি, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায় মাছ এবং এগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
শুকনো ফল-আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, শুকনো ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে প্রচুর প্রোটিন ফাইবার এবং ভিটামিন-ই রয়েছে।
যোগব্যায়াম- যোগব্যায়াম করার জন্য ওজন বৃদ্ধির অপেক্ষা করবেন না। যোগব্যায়াম রক্তসঞ্চালনকে সঠিক রাখে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যে ব্যক্তি কোলেস্টেরলের সময় ভুগছেন তাদের সপ্তাহে পাঁচ দিন যোগব্যায়াম করা উচিৎ। জগিং, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো এবংঅ্যারোবিক্স করতে পারেন। আর কিছু না হলে রোজ অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ফ্যাট জাতীয় খাবার খাবেন না। যেসব খাবার থেকে পুষ্টি পাওয়া যায় সেই সব খাবার খেতে পারেন।
এই পোর্টফোলিও ডায়েটের চার সপ্তাহ পরে, ডাক্তাররা রোগীদের মোট কোলেস্টেরল ২৫ শতাংশ এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের ৩৩ শতাংশ হ্রাস পেতে দেখেছেন। এ ছাড়াও শুধুমাত্র ওটস খাওয়া গ্রুপে এলডিএল কোলেস্টেরলের ৯ শতাংশ হ্রাস পাওয়া গেছে।
Tags – Health Tips Health Care Cholesterol