এখনও সময় আছে চুলের ঠিকঠাক দেখভাল করুণ – There Is Still Time To Take Good Care Of Your Hair
একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের মাথায় ভরপুর চুল ঘন আর লম্বা চুল ছিলো।। কিনতু এখন আর সেই সময় টা নেই,,, কারণ আজকাল আমরা এতটাই আর্টিফিশিয়াল সবকিছু করে থাকি চুলের সাথে এবং চুলের সাথে নানা কালার বিভিন্ন অত্যাচার করে থাকি এর জন্য আমাদের চুল সহজে ড্যামেজ হয়ে যায়,, আর ড্যামেজ হওয়া মানে চুল ঝরে যাবেই।। তবে ঘন, কালো লম্বা চুল আজও সব মেয়ের প্রথম পছন্দ।
রাতের বেলায় চুলের যত্নের প্রয়োজন।। শোওয়ার আগে ত্বক বা চুলের যত্ন নেওয়া একেবারেই আবশ্যিক। বাউন্সি বা সিল্কি বা চকচকে, কোঁকড়ানো- যে কোনও ধরনের চুলের জন্য সবচেয়ে সেরা সময় হল রাতের বেলা। ঘুমের আগে যে যে জরুরি টিপস নেওয়া দরকার, তা জেনে নিন এখানে……
প্রতিদিনই নিজের অজান্তে এমন কিছু ভুল করে ফেলি যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়তে থাকে। যেমন ভিজে চুল আঁচড়ান।
চুলের নানা সমস্যা নিয়েই কম বেশি সবাই জর্জরিত। কারও চুলের ধরন রুক্ষ আবার অযত্নে কারণেও সমস্যা বাড়ে। যেমন, চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। দূষণের কারণেও চুলের সমস্যা বাড়ে।
নতুন চুল গজানোর উপায়
চুল প্রাকৃতিক নিয়মেই পড়ে। আবার সেই স্থানে নতুন চুলও গজায়। দিনে ৫০-১০০টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক বিষয়।। কিন্তু তার জায়গায় যদি নতুন করে চুল না গজায়, তখন চিন্তা হওয়াই স্বাভাবিক।
ভিজে চুল আঁচড়ানো
এই ভুলটা জীবনের কোনও না কোনও সময়ে আমরা সবাই হয়তো করেছি। কিন্তু এই ভুলে কিন্তু মাথা থেকে চুল উঠে আসতে পারে। ভিজে অবস্থায় চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে থাকে। সেই সময়ে আঁচড়াতে গেলে চুলে টান পড়ে। ফলে গোড়া থেকেই উঠে আসে মুঠো মুঠো।
অতিরিক্ত হেয়ার টুল ব্যবহার
এই শীতকালে যত কম হেয়ার টুল ব্যবহার করাই যায়, ততই ভালো। কারণ, অতিরিক্ত হেয়ার টুল ব্যবহারে চুল আরও বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
তাই যত কম পারেন, চুল ব্লো ড্রাই করুন। হেয়ার স্ট্রেটনার বা কার্লিং আয়রন ব্যবহারের আগে বারবার ভাবুন। খুব প্রয়োজন না পড়লে ব্যবহার করবেন না।
পেঁয়াজের রস: প্রথমে পেঁয়াজ থেঁতো করে তার জুস বের করে নিতে হবে। এবার সেটা লাগাতে হবে চুলে। শুধু পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে ভালো। বেশি গন্ধ লাগলে তার সঙ্গে নারকেল তেল এবং লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া যায়।
চুলের যত্ন নিবেন যেভাবে
এই ভুলটিও অনেকে করেন
শ্যাম্পু করার সময়ে অনেকেই ভুল করেন। কারণ, আমাদের মধ্যে অনেকেই শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়মটি জানেন না। ফলে, অতিরিক্ত পরিমাণে শ্যাম্পু চুলে দিনের পর দিন লাগালে তার ফল তো দেখতেই পাবেন। প্রথমে হাতের তালুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্যাম্পু নিন।
তার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে তা স্ক্যাল্পে লাগান। শ্যাম্পুর কাজ আপনার স্ক্যাল্প পরিষ্কার করা। তাই সেই মতোই ব্যবহার করুন।
চুলের নিয়মিত যত্ন প্রয়োজন। যেমন, শ্যাম্পু করাও প্রয়োজন, একইভাবে স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করাও প্রয়োজন। নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল হাতের তালুতে নিয়ে তা স্ক্যাল্পে মালিশ করে নিন। চুলের গোড়াতেও তেল মালিশ করতে ভুলবেন না। এক থেকে দেড় ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল নিয়ে তা স্ক্যাল্পে মালিশ করে নিন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। চুল পড়া কমবে।
চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়
ডিম:ডিমে প্রোটিন এবং সালফার আছে। এই দুটি উপাদানই চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করবে। শুধু তাই নয় চুলকে ঘনও করবে। একটা ডিম ফেটিয়ে তাতে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেটা লাগাতে হবে চুলে। শুকোনোর জন্য ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নেওয়া যায়।
ক্যাস্টর অয়েল:১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ভাল করে চুলের গোড়া এবং মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। তারপর মাসাজ করতে হবে হালকা হাতে। কম করে ১ ঘণ্টা রাখার পর শ্যাম্পু করে নেওয়া যায়। ক্যাস্টর অয়েলে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এগুলো চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে।
মেথি:চুল ঘন করতে মেথি অপরিহার্য। আগের দিন রাতে মেথি জলে ভিজিয়ে দিতে হবে। পরের দিন মেথি দানা পিষে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেটা চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।।।।
Tags – চুলের যত্ন,, হেয়ার টিপস্