চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বায়োটিন যুক্ত ৭ টি খাবার – 7 Foods With Biotin Will Help In Hair Growth
চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে বায়োটিন সমৃদ্ধ ৭ খাবার
চুল সহজে বাড়ছে না? চিন্তা করছেন কি করবেন?? তাহলে শুনুন ,চুলচর্চার পাশাপাশি খাদ্য তালিকার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার রাখলে দ্রুত বাড়বে চুল। বায়োটিন, জিঙ্ক ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এসব খাবার চুলের গোড়া মজবুত করতেও কার্যকর।
জেনে নিন কোন কোন খাবার কি পরিমাণে খেলে চুল লম্বা হবে তাড়াতাড়ি
ডিম:চুলের যত্নে ডিমের উপকারিতা সকলেরই জানা। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ বা ডিমের কুসুম। রুক্ষ চুল সিল্কি করতে, ঘন করতে দুটোই দারুণ উপকারী।
একটা ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ দই, আধ চা চামচ নারকেল তেল বা আমন্ড তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাক চুলে ভাল করে লাগান। দু’ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক লাগালে চুল নরম হবে। এবং অবশ্যই ডেইলি একটা করে ডিম খেতে হবে।
মুরগির মাংস:
মুরগির মাংস, দুধ, টক দইও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এগুলি নিয়মিত খেলেও চুলের বৃদ্ধির হার বাড়বে।দেশী মুরগীর মাংসও চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারী। এই মাংসের লিভারে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি-১২ আর ফোলিক অ্যাসিড। মুরগীর মাংস খেলে তবেই পাবেন এই পুষ্টিগুণ।পাঁঠার মাংসের লিভার চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি-১২ আর ফোলিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলি চুলের পাক ধরা ঠেকানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পুষ্টির যোগান দিতেও সাহায্য করে।
চুলের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই খাবার গুলি খেলেই হবে…
বাদাম: চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য আখরোটে, আমন্ড বা যে কোনও ধরনের বাদাম খুবই উপকারী। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, বাদামের পুষ্টিগুণ চুল পেকে যাওয়া বা ঝড়ে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। প্রয়োজনে বাদামের তেল মাথায় ব্যবহারও করতে পারেন। এতে চুলের গোড়া খুব শক্ত হয়।
সয়াবিন:
সয়াবিন বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনে অতিশয় পুষ্টিকর। এগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, ওজন কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। সয়াবিন ঘুমের গোলমাল রোধ করতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতেও ব্যবহৃত হতে পারে। সয়াবিন আরাঁধা অবস্থায় খেলে বিষাক্ত হয়। সয়াবিন খেলে এতে চুলের গোড়া খুব শক্ত হয়। দ্রুত চুল বাড়ে।
মিষ্টি আলু:
মিষ্টি আলু বায়োটিনের একটি দারুণ উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিন মিষ্টি আলু খেলে শরীরে বায়োটিনের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরে আয়রনের ঘাটতিও পূরণ হয়। হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে এবং পরিপাকতন্ত্র শক্তিশালী থাকে। ও চুলের বৃদ্ধি, চুল পড়া রোধ এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
মাশরুম:
পিৎজা বা নুডলসের টপিং হিসেবে ব্যবহৃত মাশরুমেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বায়োটিন থাকে। এছাড়াও মাশরুম ভিটামিন ডি, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।বায়োটিন শরীরে কেরাটিন নামক প্রোটিনের কাঠামো উন্নত করে এই মাশরুম। চুলকে সুস্থ, সুন্দর ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
ব্রকোলি
ব্রোকলির বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম যৌথ ও ভিটামিন সি প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃত, রোগ বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেলিনিয়াম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে বাধা দেয়।।লেবুর দ্বিগুণ ও আলুর সাত গুণ ভিটামিন সি ব্রোকলিতে। বলা হয়, যাঁদের ভিটামিন সি দরকার, তাঁরা অল্প করে হলেও ব্রোকলি প্রতিদিন খেতে পারেন। তাই চুল কে দ্রুত বারাতে অবশ্যই ব্রোকলি খান।
জেনে নিন আরও কিছু টিপস
তিন থেকে চার মাস পরপর চুলের আগা ছাঁটলে চুল দ্রুত বাড়বে।
প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি হেয়ার প্যাক সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ব্যবহার করবেন। চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।সপ্তাহে একবার তেল অবশ্যই ব্যবহার দিতে হবে।।