চুল পড়ে মাথায় টাক হয়ে যাচ্ছে, জেনে নিন এর কারণ! ও তার প্রতিকার – Hair Fall And Baldness On The Head, Find Out The Reason! And His Remedy
চুল পড়া সমস্যা আমাদের সব চেয়ে বড় সমস্যা,, চিরুনি বা চুল শেম্পু করার সময় চুল পড়ে যায়। তবে টাক পড়া দেখা দিলে কেমন টা লাগেন বলুন তো? দূষণ, ধুলোবালি, ভুল খাদ্যাভ্যাস, খারাপ জীবনযাপন, রাসায়নিক পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার, মানসিক চাপ ইত্যাদি চুল পড়ার প্রধান কারণ হতে পারে।তবে বড় অংশে চুল পড়া শুরু হলে বা টাক পড়া দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, এগুলি চুল পড়া, খুশকি, দুর্বল চুল , ডগা ফেটে যাওয়া ইত্যাদী দেখা দেয়।
যেভাবে চুল পড়া বন্ধ করবেন
মাথায় টাক পড়া থেকে বাঁচতে চান? তাহলে ঘরেই বানান এই ওষুধ
এই ধরনের ডায়েট চুল পড়ার কারণ হতে পারে–
বিশেষজ্ঞদের মতে লাইফস্টাইল চুল পড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার চুল পড়া এবং পাতলা হওয়াকে প্রভাবিত করে। সাধারণত HFSC হল সেই প্রক্রিয়া যার মধ্যে আমাদের চুল ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়, কুমড়োর বীজের তেল প্রয়োগ করে দেখা গেছে যে মাথার ত্বকের চুলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এবং চুলের বৃদ্ধিও শুরু হয়েছে।
চুল পড়া বন্ধ করার আরও কয়েকটি উপায়
অয়েল ম্যাসাজ: অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল ম্যাসাজ করুন, এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে।
জল খেতে থাকুন: গরমে পর্যাপ্ত প্রচুর পরিমাণে জল খেতে থাকুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন: প্রোটিন, কার্ব এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার নিন।
ধুলোবালিযুক্ত জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন: ধুলোযুক্ত জায়গায় গেলে মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করবেন,, আপনি যখনই বাইরে যাবেন, চুল ঢেকে যান।
দিনের বেলা তেল লাগাবেন না: যদি বাড়ির বাইরে যেতেই হয়, তবে দিনের বেলা তেল দিবেন না। এতে তৈলাক্ত চুলে ধুলাবালি লেগে যাবে এবং চুল নষ্ট হবে।
পরিচর্যার জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নারকেলের দুধ। এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধি করবে।।এর মধ্যে কোন রাসায়নিক উপাদান না থাকার কারণে এটি চুলকে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে থাকে। এছাড়াও চুলে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে দ্রুত করে তোলে। এছাড়াও চুলকে পুষ্টি দেয়। মাথার ত্বক সুস্থ থাকলেই চুলের বৃদ্ধি ভালোভাবে হবে।
মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন বন্ধ করে চুলের গোড়াকে শক্ত করতে সাহায্য করে নিম। তেলের সাথে নিম পাতার রস মাথায় মাসাজ করলে মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি করে।।এছাড়াও মাথার ত্বকের ওপর নিম পাতা পেস্ট করে লাগালে তা মাথার ত্বকের ফুসকুড়ি, খুশকি, উকুনের সমস্যা, শুষ্ক ত্বক কিংবা অন্য কোন সমস্যা দূর হয়।।চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে অন্যতম একটি উপাদান হল ডিম। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে মসৃণ করে তোলে। ডিমের সাদা অংশটি তৈলাক্ত চুলের জন্যে ভালো।। ডিমের মধ্যে চুলের প্রয়োজনীয় প্রোটিন যেমন বায়োটিন, ভিটামিন এ এবং থাকায় চুলকে সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করে।
চুলের সমস্ত রকম আমলকি চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করে। এটি চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। অতিরিক্ত পরিমাণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে আমলা খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
খাদ্য তালিকায় রাখুন,,
১) খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ডিম মাছ মাংস এগুলি রাখবেন।
৩) মটরশুটি, সোয়াবিন, জাতীয় খাদ্যগুলি খাদ্য তালিকায় রাখবেন। এটি শরীরের ভেতর থেকে মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাবে এবং মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
৪) এছাড়াও অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলবেন। এটি চুলের বৃদ্ধিতে ক্ষতি করে।
৫) সবকিছুর সাথে দিনে ৪ থেকে ৫ লিটার জল খেতে হবে যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখবে। চুল ও দ্রুত বাড়বে।
Tags – Hair Tips , Hair Care