পাকস্থলী ও খাদ্যনালী কেন ফুটো হয়? এতে কি করণীয় জেনে নিন – Why Is The Stomach And Esophagus Leaking? Find Out What To Do With It
হঠাৎ পেটে তীব্র ব্যথা এবং সব কাজকর্ম ফেলে মাটিতে পড়ে যাওয়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।
কোথায় কোথায় পারফোরেশন বা ফুটা হয় :
(১) পাকস্থলী (স্টমাক) (২) ডিওডিনাম, (৩) ক্ষুদ্র অন্ত্রের জেজুনাম বা আইলিয়াম-এ (৪) বৃহদন্ত্রের সিকাম, কোলন ও রেকটাম-এ (৫) ইসোফেগাসে অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্রের যেকোনো অংশে পারফোরেশন হতে পারে।
পাকস্থলী ও খাদ্যনালী ফুটো হওয়ার কারণ
খাদ্যনালীর বা পাকস্থলীর পারফোরেশনের কারণগুলো কী কী?
(১) খাদ্যনালীর বা পাকস্থলীর পারফোরেশন অত্যন্ত কমন একটি জটিলতা যেমন- গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডিনাল আলসার পারফোরেশন।
(২)টাইফয়েড আলসার পারফোরেশন ক্ষুদ্র অন্ত্রের আইলিয়াম এ টাইফয়েড জ্বরের পর হতে পারে।
(৩) খাদ্যনালীর টিবি, টিউমার বা ক্যান্সারেও পারফোরেশন হতে পারে।
খাদ্যনালীর পারফোরেশন বা ফুটা হওয়ার লক্ষণ কী কী?
(ক) পেটে হঠাৎ তীব্র ব্যথা (খ) সব পেটে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া এবং পেট শক্ত হয়ে যাওয়া (গ) রোগী নড়াচড়া, হাঁচি, কাশি দিলেও পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় (ঘ) রোগী একদম নড়াচড়া করবে না। একবারে স্থিরভাবে বিছানায় শুয়ে থাকবে, (ঙ) পায়খানা বন্ধ হয়ে যাওয়া,
পাকস্থলী ও খাদ্যনালী সুস্থ রাখার উপায়
খাদ্যনালীর পারফোরেশন হলে করণীয় :
(১) অপারেশনই হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা। অপারেশনের মাধ্যমে খাদ্যনালীর ফুটা বন্ধ করতে হবে এবং পেটে জমে থাকা এসিড খাদ্য, পানি মল ওয়াশ করতে হবে (২) রোগীকে মুখে কিছু খাওয়ানো যাবে না, (৩) জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
খাদ্যনালীর পারফোরেশন অপারেশন না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
(১) খাদ্যনালীর ফুটা দিয়ে বের হয়ে আসা খাবার এনজাইম এসিড মল ইত্যাদি পেটে জমা হয়ে ইনফেকশন এবং এবসেস ইত্যাদি হতে পারে।
(২) এমনকি সেপটিক শকে রোগী মারাও যেতে পারে।
তাই এই রোগটি হলে জরুরি ভিত্তিতে অবশ্যই শৈল্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
পেটের/পাকস্থলীর/ক্ষুদ্রান্তের আলসার কী
পাকস্থলীর আলসার হলো একধরনের ঘা যা পাকস্থলীর ভিতরের আবরণ,
উপরের ক্ষুদ্রান্ত অথবা খাদ্যনালীতে সৃষ্টি হয়ে থাকে। পাকস্থলীর আলসারের ,সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পেট ব্যথা।
পেটের/পাকস্থলীর ক্ষুদ্রান্ত্র আলসার হয়েছে কি করে বুঝবেন
রোগের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হলো তীব্র ব্যথা।
নাভি থেকে শুরু করে বুকের হাড় পর্যন্ত এই ব্যথা অনুভূত হয়।
ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
পাকস্থলী খালি থাকলে ব্যথা আরো বেশি অনুভূত হয়।
খাবার খেলে বা এসিডের ওষুধ খাওয়ার ফলে সাময়িকভাবে ব্যথার উপশম হয়।
অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গ
লাল অথবা কালো রংয়ের রক্ত বমি।
পায়খানার সাথে গাঢ় রংয়ের রক্ত যাওয়া অথবা পায়খানার রং কালো অথবা আলকাতরার রংয়ের মতো হওয়া।
বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।
প্পেটের/পাকস্থলীর/ক্ষুদ্রান্তের আলসার কেন হয়?
উত্তর.একধরনের জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাক্টার) এই রোগের কারণ। এছাড়া খাবারে অতিরিক্ত তেল,মসলার ব্যবহার, নিয়মিত ব্যথার ওষুধ সেবন,অতিরিক্ত চাপ এবং ধূমপান করলেও পাকস্থলীর আলসার হতে পারে।
পাকস্থলীর আলসার থেকে কি ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে?
পাকস্থলীর আলসার থেকে যে ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে তা হলো: পাকস্থলী/ক্ষুদ্রান্ত ফুটো হয়ে যাওয়া ও তার থেকে পেটের ভিতরে সংক্রমণ হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
পাকস্থলীর আলসার কাদের বেশী হয়?
১.অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বা বেশী বেশী ব্যথা কমানোর ঔষধ খান,২.অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খান,৩.ধূমপান করেন, নেশা জাতীয় জিনিস সেবন করেন, তারা পাকস্থলীর আলসারের সমস্যায় বেশী ভুগে থাকেন।
Tags – Health Tips Health Care Stomach And Esophagus Leaking