Spread the love

পুজোর আগে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার দারুন উপায় – A Great Way To Shed Excess Body Fat Before Puja

আর কয়েক দিন পরেই দুর্গাপুজো। উৎসবের আগের এই দিনগুলিতে নিজে দের ঠিকঠাক রাখার চলছে প্রস্তুতি। নতুন পোশাক কেনা, চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া। সেই সঙ্গে চলে ওজন কমানোর চেষ্টা। পুজোর ভিড়ে নজর কাড়তে কে না চায়। আর যাদের অতিরিক্ত মেদ তারা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে অনেকেই ইতিমধ্যে জিমে যাওয়া শুরু করেছেন। বাড়িতেও চেষ্টার খামতি রাখছেন না। খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এমনকি, বাইরের খাবারদাবারও কম খাচ্ছেন। অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করছেন।



IMG_20220829_205007-1661786416406 পুজোর আগে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার দারুন উপায় - A Great Way To Shed Excess Body Fat Before Puja

পুজোর আগেই ঝরিয়ে ফেলুন পেটের মেদ

আকর্ষণীয় পোশাকের মাঝে বাঁধ সাধছে একটি ছোট ভুঁড়ি কিংবা শাড়ির উপর দিয়ে বেরিয়ে আসছে পেটের মেদ, এমনটা কারওই পছন্দ নয়। সব সময় চেহারা সৌন্দর্যের পথ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই কারণেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া সকলে। সারা বছর খাবার খাওয়া চলে হিসেব কষে। সঙ্গে চলে কঠিন এক্সারসাইজ। এই সব করলেই যে এক ঝটকায় অনেকটা ওজন কমে তা নয়। আর রইল এক বিশেষ কৌশলের হদিশ।


পুজোর আগে তাড়াতাড়ি রোগা হতে গিয়ে অনেক সময়ে কেউ কেউ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তাতে হিতে বিপরীতই হয়। রোগা হওয়া সহজ নয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে তা অসম্ভবও নয়।

সাবুর খিচুড়ি

কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ সাবু শরীরের বাড়তি মেদ অনায়াসে ঝরিয়ে ফেলতে পারে। রোগা হতে চাইলে রাতের খাবারে সাবুর খিচুড়ি আদর্শ খাবার হতে পারে। কী ভাবে বানাবেন? কড়াইয়ে সামান্য তেল গরম করে তাতে বাদাম, কারিপাতা, কাঁচা লঙ্কা, আলু সিদ্ধ, অল্প হলুদ এবং আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা সাবুদানা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে গরম জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। আপনার ইচ্ছা মত সব্জি দিয়ে তৈরী করতে পারেন।


পুজোর আগে পেটের মেদ ঝরাতে চান? দ্রুত ফল পেতে এই ভাবে করুন শরীরচর্চা


রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। তবে তা হবে অবশ্যই হালকা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে আপনার রাতের খাওয়া শেষ করুন। ভারী খাবার রাতের বেলা একেবারেই খাওয়া যাবে না।


খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটুন। যারা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার সময় পান না। তারা এই কাজটি করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করবে।

খাবারের তালিকায় রাখুন ফল। বিশেষ করে মৌসুমী ফল বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। শাকসবজির পাশাপাশি বাদাম, কুমড়ার বীজ, মৌসুমী ফল খান। গ্রীষ্মের এই সময়টাতে প্রচুর ফল পাওয়া যায়। যা আপনার ক্ষিদে মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষন পেট ভরিয়ে রাখবে।

মুগ ডালের স্যুপ

ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুষ্টিগুণে ভরপুর মুগ ডাল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর। রাতের খাবারে বানিয়ে নিতেই পারেন মুগ ডালের স্যুপ।

পেঁপের স্যালাড


মেদ ঝরাতে পেঁপে খুব কার্যকার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজমের গোলমাল, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা প্রতিরোধেও পেঁপে উপকারী। রাতের খাবারে রাখতেই পারেন পেঁপের স্যালাড।

পাতলা করে কাটা পেঁপে, গাজর, পুদিনা পাতা, অল্প ভিনিগার, সয়া সস্‌, ম্যাপেল সিরাপ, পেঁয়াজ কুচি এবং অল্প কাঁচা লঙ্কা কুচি একসঙ্গে মিশিয়ে এই স্যালাডটি তৈরি করে নিন।

যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাদের প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ২টি করে ব্যায়াম করা উচিত। এই ব্যায়ামের জন্য আপনার কোনও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। এবং যে কেউ যে কোন বয়সে এই ব্যায়াম করতে পারে। আপনিও যদি ওজন কমাতে চান তবে এর জন্য পুশ আপ বা প্রেস আপ এবং স্কোয়াট ব্যায়াম করা উচিত। এই ব্যায়ামগুলো ঘরে বসেই করা যায় সহজেই।”

সঠিক খাদ্যগ্রহণ করতে হবে ওজন কমাতে চাইল। অনেকেই মনে করেন কম খেলে ওজন কমে। এই ধারণা একেবারে ভুল। এই সময় এমন খাবার খান যা শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ করবে। খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-সহ একাধিক উপাদান। এই ধরনের খাবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। আর এই সময় পরিমাণ মতো খাবার খাবেন। তবেই উপকার পাবেন।

দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে চিনি। চিনি শুধু ওজন বৃদ্ধি করে এমন নয়, সঙ্গে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। ওজন কমাতে চাইলে আগে বাদ দিন চিনি।


কোল্ড ড্রিংক্স খাবেন না ভুলেও। যে কোনও মিষ্টি পানীয় বাদ দিন ওজন কমাতে চাইলে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাছাড়া, ফুড কালার ব্যবহার করা হয়, এই সকল পানীয় তৈরিতে।


দিনে এক বাটি স্যালাড:প্রতিদিনের ডায়েটে এক বাটি স্যালাড রাখতে হবে। এটা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। শরীর ফাইবার পুরোপুরি হজম করে না, তাই শরীরের নেট ক্যালোরির পরিমাণ বাড়বে না। এছাড়াও স্যালাডে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি রয়েছে যা শরীরের সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।


ফাইবার যুক্ত খাবার:আঁশযুক্ত খাবার ওজন কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করতে পারে কারণ এগুলো সহজে হজম হয় না।


বাড়ির খাবার:ওজন কমাতে বাড়ির খাবার সবচেয়ে ভালো। এতে প্রক্রিয়াজাত খাবার তো থাকেই না, ক্ষতিকর তেল মশলাও এড়িয়ে চলা হয়। তাছাড়া ওজন কমানোর প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে খাবার তৈরি করা যায়।

Tags :Weight Loss Durga Puja 2022 Food Health

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *