প্যানক্রিয়াটাইটিস কি ? এর লক্ষণ, সমাধান কি – What Is Pancreatitis? Symptoms, What Is The Solution
পেটে অল্প অল্প ব্যথাকে আমরা অনেক সময় গুরুত্ব দিই না বা গ্যাস-অ্যাসিডিটি বলে গ্যাস এর ওষুধ খেয়ে চালিয়ে দেই। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে চলতে থাকা পেটের ব্যথাকে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এই ব্যথা প্যানক্রিয়াটাইটিসের কারণে হতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিস কী, লক্ষণ কী
প্যানক্রিয়াটাইটিস কি?
এক কথায় ইনফ্ল্যামেশন অফ দ্য প্যানক্রিয়াস। অর্থাৎ অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহপাচক,এনজাইম এবং হরমোন প্যানক্রিয়াস থেকে নিঃসৃত হয়। পাচক এনজাইম প্যানক্রিয়াসের ভিতরের স্তরকে হানি পৌঁছায় এবং প্রদাহের সৃষ্টি করে, এই প্যাথোলজিকাল অবস্থাকে প্যানক্রিয়াটাইটিস বলে।
এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?
তীব্র পেটের উপরিভাগে এবং পিঠে ব্যথা।
পেট ফুলে যাওয়া।
বমি ভাব।
দ্রুত হৃদস্পন্দন।
বমি হওয়া।
জ্বর।
ডায়েরিয়া।
ওজন কমে যাওয়া।
শ্বাসের অভাব।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
পিঠে ব্যথা হয়।
প্যানক্রিয়াটাইটিসের সাধারণ কারণগুলি হলো :
মদ্যপান।
গলব্লাডারে পাথর।
অগ্নাশয়ের বংশগত সমস্যা।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
পেটে আঘাত পাওয়া।
প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার।
ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস চিকিৎসা
অনেক সময় তিন থেকে পাঁচদিনের মাথায় রােগীর আচার-আচরণে কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ে। প্যানক্রিয়াটাইটিসের প্রভাবে শরীরের বাকি অর্গানগুলিতে কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এর ফল কতটা মারাত্মক হবে। একাধিক রক্তপরীক্ষা করে বােঝা যায় অগ্ন্যাশয় ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত।
এই রােগের চিকিৎসা ? ১) আলােচিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তপরীক্ষা করাতে হবে।। ২) প্যানক্রিয়াস কতটা ইনফ্লেমড় বা প্যানক্রিয়াসের আশপাশে কোনও ফ্লুইড জমছে কিনা। দেখতে আলট্রাসােনােগ্রাফি করতে হতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিসের প্রথম চিকিৎসা হল ফ্লুইড দেওয়া। রােগের গুরুত্ব বুঝে ইনট্রাভেনাস ফ্লুইড দিতে হয় প্রচুর পরিমাণে। ফ্লুইডের সাহায্যে ইনফ্ল্যামেশন কমানাে যায়। প্রয়ােজনে পাঁচ-ছ লিটার ফ্লুইড দিতে হতে পারে। এ ছাড়া অ্যান্টিবায়ােটিক দিতে হতে পারে।পরিস্থিতি জটিল হলে রেডিওলজিক্যাল ইন্টারভেনশন করতে হতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিস প্রতিরােধ করতে হলে সবার আগে অ্যালকোহল সেবন এবং ধূমপান বন্ধ করতে হবে। গলব্লাডার স্টোনের সমস্যা যদি একবার হয়ে থাকে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউএসজি-তে সেটিও বােঝা যায়। সুস্থ জীবনযাত্রা, নিয়মিত শরীরচর্চা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যতালিকায় ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং প্রতিদিনের খাবারের অভ্যাসের দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়ােজন। বেশি ঝাল মশলা যুক্ত খাওয়া চলবে না।
Tags – Health Tips Health Care