পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে যা করবেন – What To Do To Keep Lungs Clean And Healthy
অনেক ভুল জীবন যাপনে শরীরে প্রবেশ করছে বিষ। নষ্ট হচ্ছে আমাদের ফুসফুস। এই অঙ্গটিকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত কাশি, স্টিম থেরাপির মাধ্যমে এই বিষ প্রাকৃতিক উপায়েই বের করা সম্ভব। আসুন জানা যাক সেই সম্পর্কে।
ফুসফুস পরিষ্কার রাখার উপায়
আমাদের শরীরের একটি অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস। এটির মাধ্যমেই আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকি।
বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন এবং বেশি ধুলাবালি যুক্ত রাস্তায় বা স্থানে চলাচল করেন, তাদের ফুসফুস আরও বেশি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৪৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তাই এ ঝুঁকি এড়াতে আমাদের ফুসফুসকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
আর শরীরের বাকি অংশকে সুস্থ রাখার জন্য ফুসফুসের স্বাস্থ্য বজায় রাখাও অপরিহার্য। তাই আজ বলবো কি কি উপায়ে পরিষ্কার রাখতে পারবেন ফুসফুস—
১. একটি চেয়ারে বসে পড়ুন।
২. পেটের কাছে নিজের হাত ভাঁজ করে নিন।
৩. নাক দিয়ে ধীর ধীরে শ্বাস নিন।
৪. এবার সামনের দিকে ঝুকে পেটের মধ্যে হাত রেখে শ্বাস ছাড়ুন।
৫. শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই-তিনবার কাশুন। মুখ খোলা থাকবে।
৬. এরপর ফের শ্বাস নিন। এভাবেই কয়েকবার করতে পারেন। বেরিয়ে আসবে কফ।
ফুসফুস ভালো রাখতে যা করবেন
ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলে মানসিক ও শারীরিক লাভ মেলে। এমনকী ফুসফুস ভালো থাকতে পারে। আসলে এক্সারসাইজ মাসলকে ভালো রাখতে পারে। দেখা গিয়েছে এক্সারসাইজ করার সময় ব্রিদিং রেট বেড়ে যায়।
এক্ষেত্রে আদা হতে পারে দারুণ উপকারী খাদ্য। এই খাদ্যের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ। এই খাদ্য পারে আপনার ফুসফুস থেকে খারাপ পদার্থ বের করে দিতে পারে।
রসুনও এক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী এক খাবার। এই খাবারটির মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন। এই অ্যালিসিন ব্যাকটেরিয়া নাশ করতে পারে। এমনকী অ্যাজমার ক্ষেত্রেও কার্যকরী এই খাবার।
এক্ষেত্রে হলুদের মতো মশলাও কিন্তু শরীর ভালো রাখতে পারে। আসলে এই খাবারে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ। তাই ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারে এই মশলা।
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করেও ফুসফুসকে অনেকটা পরিষ্কার করতে পারা যায়। এর জন্য আপনাকে সোজা হয়ে শুয়ে এবং কোমরের নিচের দিকে বালিশ নিতে হবে, যাতে বুক একটু নিচের দিকে থাকে। পরে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে ও মুখ দিয়ে ছাড়তে হবে।
গ্রিন টি
গ্রিন টিতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আর এ যৌগগুলো ফুসফুসের টিস্যুকে ধোঁয়া ইনহেলেশনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকেও রক্ষা করতে পারে।
প্রদাহ বিরোধী খাবার
শ্বাসনালিতে প্রদাহ হলে তা শ্বাস-প্রশ্বাসকে কঠিন করে তুলে বুক ভারি ভাব এবং জমাট বোধ করার মতো সমস্যা করাতে পারে। এ জন্য প্রদাহবিরোধী খাবার হিসেবে হলুদ, বিভিন্ন শাক, চেরি ফল, ব্লুবেরি, জলপাই, আখরোট, মটরশুটি, মসুর ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন।
মধু: কাশি কমাতে মধু খেতে পারেন। ফুসফুসে জমা শ্লেষ্মা দূর করতে মধু সাহায্য করে। কুসুম গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির প্রকোপ কমে। মধুতে রয়েছে জীবাণুনাশক উপাদানসমূহ, যা সংক্রমণ রোধ করে।
গাজর: গাজরের রস শুধু ফুসফুস নয়, শরীরের নানা দূষিত পদার্থকেও বাইরে বের করে দেয়। প্রতিদিন অল্প করে গাজরের রস খেলে শরীর অনেক চাঙা থাকে।
Tags – Keep Lungs Clean And Healthy Health Tips Health Care