বড়দিনে খ্রিস্টানদের খাবার – Christian Food At Christmas
গ্রিক ভাষায় এক্স কথাটির অর্থ হল Christ। তাই খ্রিস্টের সংক্ষিপ্ত শব্দ হিসেবে ধরা হয় এই ‘X-Mas’ আবার এই দিনটিকে বড়দিন বলার ভৌগলিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। কারণ ২৩ ডিসেম্বর থেকে দিন ক্রমশ বড় এবং রাত ছোট হতে থাকে, তাই ‘বড়দিন’, বলা হয়।। আলোর রোশনাই, সান্তাক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি-তে সেজে ওঠে মহানগরের আনাচ-কানাচ। কেক, গিফটের সম্ভারে বদলে যায় দিনের মাহাত্ম্যও। শহরে আজকের দিনেই মেরির কোলে জন্ম হয় ।।
বড়দিনে কেমন খাবার তৈরি হয়
অরেলিয়ান নামের এক রোমান রাজা ২৫ ডিসেম্বর এই দিনে বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও শুরু করেছিলেন,, “ বড়দিনের খাবার বলতে গেলেই মনে আসবে নানা মুখরোচক খাবারের কথা। তবে বিশেষ খাবার বলতে কেক, জিঞ্জার ব্রেড আর ল্যাম্ব রোস্ট, আস্ত মুরগী বা টার্কির রোস্ট, মোড়কে চকলেট, ফ্রুট টার্ট, নানা রকম জুস ইত্যাদী এইদিন খাওয়া হয়।।।
সারা বিশ্ব এসব খাবার দিয়েই বড়দিন পালন করে।।
বড়দিনের বিশেষ খাবার
তবে বাংলাদেশে এই চিত্রটা একদম ভিন্ন। বড়দিনের উৎসবের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী খাবারের হিসেবে পিঠা দারুণভাবে মিশেছে।। বাংলাদেশে প্রতিটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়িতে পিঠা আবশ্যক। ঢাকার মানুষেরা কেক বেছে নেন। তবে পিঠাই মূল খাবার। তার সঙ্গে পোলাউ মাংস মাস্ট।।
তাদের কোনও আত্মীয় স্বজন বাড়িতে এলে ডাক ঈদের মতো পোলাউ, মাংস, রোস্ট, রান্না করা হয়। সঙ্গে থাকে কেক ও পিঠা।
বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের মধ্যে বড়দিনের উল্লেখযোগ্য খাবার নানা ধরনের পিঠা। ঘরে অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশীদেরও উপহার হিসেবে দেয়া হয় এই পিঠা।
বড়দিনের খাবার এর নাম
অতিথিদের আপ্যায়নের ফাঁকে ফাঁকে রিচিলের সাথে কথা হয় বড়দিনের খাবার দাবার আর নানা ধরনের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে।
সকালের নাস্তার পর পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে গির্জায় যান প্রার্থনা করতে। প্রার্থনা শেষে গির্জায় রান্না করা খাবার সবার সাথে বসে খান। এর মধ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার ও বিরিয়ানি।।
Tags – Christian Food