Spread the love

ভুলভাল খাদ্যাভ্যাসের অজান্তেই বন্ধ হয়ে যাবে কিডনির কাজ – Kidney Function Will Stop Without Knowing Wrong Eating Habits

খারাপভাবে নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনি রোগের কারণ হতে পারে। অন্যান্য সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অ্যালকোহল ব্যবহারের ব্যাধি এবং হেপাটাইটিস সি ভাইরাস।


আপনার ডায়েট রুটিন কিডনির সমস্যা বা এই সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


IMG_20220813_232612-1660413382020 ভুলভাল খাদ্যাভ্যাসের অজান্তেই বন্ধ হয়ে যাবে কিডনির কাজ - Kidney Function Will Stop Without Knowing Wrong Eating Habits

কিডনির যত্নে যা করবেন


কিডনি কী করে? কিডনি হল মানবদেহের যোদ্ধা। এগুলি শরীর থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি রক্তে জল, লবণ এবং খনিজগুলির একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। যা সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

​ফ্রোজেন ফুড

প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন হিমায়িত খাবার এবং মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের বিকাশে অবদান রাখতে পারে। ভারী প্রক্রিয়াকরণ মানে আপনার খাবার চর্বি, চিনি বা সোডিয়াম দিয়ে লোড হতে পারে।


মেয়োনিজ

সালাদ বা স্যান্ডউইচের জন্য আপনার মেয়োনিজ আপনার স্বাস্থ্যকর ভেজ-প্যাকড খাবারের মান নষ্ট করতে পারে। মাত্র এক টেবিল চামচ মেয়োনিজে 103 ক্যালোরি থাকে। এছাড়াও, এই খাবের সাধারণত স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে।

আপনি যদি ফাস্ট ফুড চেইন থেকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা আলুর আকারে চিপসের মতো প্যাকেটজাত খাবার খান তবে আপনার মূল্যবান কিডনি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।


প্রক্রিয়াজাত মাংস

বেকন, সসেজ, হট ডগ এবং বার্গার প্যাটিসের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস আপনার কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিশাল ঝুঁকি।


কিডনির যত্ন


কিডনি ভালো রাখতে খুব বেশি নিয়ম মানার প্রয়োজন নেই। মাত্র ৫টি নিয়ম মেনে চললে সারা জীবন ভালো থাকবে আপনার কিডনি।


শরীরে পরিষ্কার রক্তপ্রবাহের পেছনে কিডনির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কিডনির ইলেক্ট্রোলাইট ও ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই কিডনি ভালো রাখতে পারলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসও ভালো তাকে।


কিডনিতে পাথরের সমস্যার কথা আপনার অবশ্যই শুনেছেন। এছাড়া কিডনির ইনফ্ল্যামেশন, রেনাল ফেইলুর, নেফরোটিক সিন্ড্রম ও সিস্টের সমস্যা হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।


পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ জল পান করুন


কিডনি সুস্থ রাখতে হলে বিশুদ্ধ জল পানের বিকল্প নেই। প্রচুর জল পান করুন। জল কিডনিকে সচল রাখতে ও কিডনির স্বাভাবিক কার্যকলাপে সাহায্য করে।


কোমল পানীয়, কফি, চা


আমরা কোমল পানীয়, কফি, চাসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। ক্যাফেইন তাৎক্ষণিকভাবে শারীরে ক্লান্তিভাব দূর করে। তবে জল স্বল্পতা তৈরি করে।


ধূমপান


ধূমপান একটি ভয়াবহ বদঅভ্যাস।ধূমপানের ফলে ফুসফুস ও ব্লাড ভ্যাসেলকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মনে রাখবেন ধূমপান শুধু নিজের জন্য না অন্যের জন্য ক্ষতিকর।তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।


পেইন কিলার


সামান্য ব্যথা হলেই পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন।


লবণ

খাওয়ার পাতে লবণ খান খুব? এ অভ্যাসে রাশ টানুন আজই। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীর থেকে বের করতে পারে না।


প্রস্রাব আটকে রাখা

সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করতে চান না, তাই বাইরে বেরোলে আটকে রাখেন প্রস্রাব? এমন অভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।


মাংস না খেয়ে মাছ-শাকসবজি খান। চর্বি কিডনির জন্য খুব ক্ষতিকারক। মাংসের ফাইবারও পরিমাণে বেশি হলে তা কিডনির ওপর চাপ ফেলে। তাই ঘন ঘন মাংস খাওয়ার প্রবণতা থাকলে তা কমান, খেলেও খুব পরিমাণ মেপে খান।


হাইড্রেটেড থাকা

কিডনিকে সুস্থ রাখতে প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে— শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা বা শরীরে পর্যাপ্ত তরল রাখা।


রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের কারণে আপনার কিডনির রোগ হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকেও কিডনির সমস্যা শুরু হতে পারে। তাই আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।


ব্যায়াম করা

ব্যায়াম শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।


অ্যালকোহল ত্যাগ

অ্যালকোহল কিডনির অনেক ক্ষতি করে। এটির কারণে অনেকের কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ারও ঘটনা ঘটে।


ধূমপান পরিহার করা

আমরা অনেকেই জানি যে কিডনি হার্টের ক্ষতি করে। কিন্তু এটি আমরা অনেকেই জানি না যে এটি কিডনিরও অনেক ক্ষতি করে। ধূমপান আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের রক্ত প্রবাহকে ধীর করে দেয়।



Tags – Life Style Health Tips Health Care

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *