মন ভরে ডিম খান ‘এই স্বাদে – Eat Eggs To Your Heart’s Content with This Taste
অমলেট করতে গেলে সবার আগে প্যানে দিতে হবে অল্প তেল কিংবা এক চামচ মাখন। তারপর ডিম, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ কুঁচি। চড়বড়িয়ে ফুলে উঠবে ডিম। সুগন্ধে ভরে উঠবে রান্নাঘর। আসলে ওজন কমাতে চাইলে তেল, মাখন যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে তাঁদের জন্যই রইল এই তেল ছাড়া অমলেট রান্নার রেসিপি।
সব ডিমেই যে একই পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তা নয়। বড় মাপের ডিমে প্রায় ৯০ ক্যালোরি থাকে। যেখানে মাঝারি বা ছোট মাপের ডিমে ক্যালোরির মাত্রা হয় প্রায় ৭০। তাই ডিম খেলেই শরীরে ক্যালোরি মাত্রা বৃদ্ধি পাবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।
মন ভরে ডিম খান ‘এইভাবে’! ওজন কমাতে এর চেয়ে ভালো কিছু নেই
ডিম সেদ্ধও স্বাদে অনন্য: ডিম সেদ্ধ করা সবচেয়ে সহজ। হাই প্রোটিন, ক্যালোরি কম। তাই যাঁরা ওজন কমাতে ডায়েট করছেন প্রাতরাশে তাঁদের ডিম সেদ্ধ খেতেই হবে। একঘেয়ে লাগলে ডিম সেদ্ধতে সামান্য পেঁয়াজ, ধনেপাতা, অরিগানো এবং চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে দিলেই জিভের স্বাদ বদল।
ডিমের পোচ: ডিমের সাদা অংশের ভিতর দিয়ে বেরিয়ে আসছে সোনালি কুসুম। তেল ছাড়াই ডিমের পোচ রান্না করা যায়। তবে হ্যাঁ, নিখুঁত ডিমের পোচ বানানোর জন্য অভ্যাস দরকার। জলখাবারে একটা ডিমের পোচ খেয়ে পেট না ভরতেও পারে। তাই এর সঙ্গে রুটি বা পাউরুটি খাওয়া যায়।
ডিমের পোচ রান্নার করতে চাইলে কুসুম ফাটালে চলবে না। একটা পাত্রে জল ফুটিয়ে তাতে নুন এবং ভিনিগার দিতে হবে। কুসুম-সহ ফাটানো ডিমটা টুপ করে ছেড়ে দিতে হবে জলে।
ডিমের ভুনা:
প্রতিদিন সকালে পাঁউরুটির সঙ্গে ডিমের ভুজিয়ে না খেলে মন ভরে না। এদিকে ভাবছেন এমন খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বাড়বে কিনা? তাহলে বলবো, নিশ্চিন্তে ডিমের ভুজিয়ে খেতে থাকুন। এমন খাবারের সঙ্গে ওজন বাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ এক প্লেট ডিমের ভুজ্জিতে ৯০-১০০ ক্যালোরি থাকে। এই পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করার পর বাকি দিনে আর বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাবেন না।
এক ফোঁটা তেল বা মাখনের টুকরো ছাড়াই বানানো যায় সুস্বাদু অমলেট। এ জন্য গরম জলে সামান্য ভিনিগার দিতে হবে। তারপর স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে ডিম ফাটিয়ে দিতে হবে জলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যাবে ডিমগুলো একটা স্তর তৈরি করছে এবং ফুটন্ত জলে ভাসছে।
ওজন কমাতে ডায়েট ডিম দারুন কাজ করে, তাই মন ভরে ডিম খান ‘এইভাবে’
সাধারণত ডিমের কুসুমে ৫৫ ক্যালোরি থাকে, যেখানে সাদা অংশ খেলে শরীরে মাত্র ১৭ ক্যালোরির প্রবেশ ঘটে। প্রসঙ্গত, ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, আর সাদা অংশে থাকে ভিটামিন এবং খনিজ। তাই তো পুরো ডিম থুতে হবে। শুধু কুসুম বা সাদা অংশ খে কিন্তু পুষ্টির অভাব দেখা দেবে।
শরীরল গঠনে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা যে কতটা তা নিশ্চয় কারও অজানা নেই। এই বিশেষ ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিডটি মাছের পাশাপাশি ডিমেও প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই তো যাদের মাছ খেতে ইচ্ছা করে না, তাদের প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত। এমনটা করলে কথায় কথায় শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
ডিম খেলে কী কোলেস্টেরল বাড়ে:
একেবারেই না। একথা ঠিক যে ডিমে কোলেস্টেরল রয়েছে, কিন্তু তা ভাল কোলেস্টেরল, যা শরীরের গঠনে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, ভাল কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ই, ডি এবং কে।
Tags – Eat Eggs To Your Heart’s Content with This Taste Egg Boil Haelth Tips