মরশুম বদলাচ্ছে, নিজেকে সুস্থ রাখুন – Seasons Are Changing, Keep Yourself Healthy
ঋতুবদলের জন্যে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে আগে থেকেই । দিনেরবেলা বাইরে ঘুরলে গরম লাগে বটে, ঘরের মধ্যে এসির ঘেরাটোপ ছাড়াও দিব্যি থাকা যায়। আজকাল বয়স নয়, সুগার, প্রেশার, দেহের নানান জায়গায় ব্যথা এই সমস্ত রোগগুলি শরীরে বাসা বাঁধে অনেক ক্ষেত্রেই জীবনযাপনের ধরনের কারণে। তাই কম বয়স থেকে বেশি বয়স সকলের মধ্যেই এই সব রোগ নিয়ে খুবই সমস্যা থেকে যায়।
নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
তবে শুধু এই রোগ নয়। যে কোনো রকম রোগই যাতে প্রাথমিক ভাবে ঠেকানো যায়, শরীরস্বাস্থ্য ভালো থাকে তার জন্য জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করা যেতে পারে। তার জন্য রয়েছে কয়েকটি স্বাস্থ্য সম্মত টিপস, তাতে করে সুস্থ জীবন যেমন লাভ করা যায়,
শরীরের কথা শুনুন: আপনি স্নান করবেন কিনা, করলে দিনে ক’বার করবেন, ঠান্ডা জলে করবেন, না ঈষদুষ্ণ জলে শিফট করার সময় এসে গিয়েছে তা নির্ধারণ করবে এক এবং একমাত্র আপনার শরীর। যা করলে নিশ্চিন্ত আরাম পাচ্ছেন, কেবলমাত্র সেটিই আপনার জন্য আদর্শ। স্নানের পর অবশ্যই একেবারে শুকনো করে গা-মাথা মুছে নেবেন।
নিজেকে সুস্থ রাখুন ঘরোয়া টোটকায়
খাওয়াদাওয়া: মরশুমি ফল, শাক-সবজি খাওয়ার উপর জোর দিন। বাজারে এই সময়ে তাজা আপেল-ন্যাশপাতি মিলছে। তা অতি অবশ্যই খান। খেতে হবে লেবু, আমলকীর মতো টক ফলও। ভিটামিন সি যেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করুন।
আদা-কাঁচা হলুদ-গোলমরিচের অনুপান: আপনার রোজের চায়ে আদা যোগ করতে পারেন। সেই সঙ্গে আদা, কাঁচা হলুদ আর গোলমরিচ বেশ করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে গরম থাকতে থাকতে চায়ের মতো পান করুন দিনে দু’বার।
চা: সাদা, কালো, সবুজ – সব ধরনের চায়েই কেটচিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে তা ঠান্ডা লাগার হাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে সক্ষম। তবে চিনি, দুধ দিয়ে কড়া করে ফোটানো চায়ে আপনি সেই সুবিধে পাবেন না।
দুধ: ইমিউন সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলে দুধ। তাই অল্প হলুদ বা দারচিনি মেশানো দুধ রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়। দুধের ভিটামিন ডির প্রভাবে সুস্থ থাকবেন ঋতু পরিবর্তনের সময়েও।
মাছ-মাংস: সামুদ্রিক মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের যে কোনও প্রদাহকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই অতি অবশ্যই মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি ইত্যাদি খান। খেতে পারেন মুরগি বা টার্কির মতো সাদা মাংসও।
ডার্ক চকোলেট: খাঁটি কোকোর পলিফেনল বাড়ায় আপনার ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে একগাদা চিনি মেশানো চকোলেটে কিন্তু এই গুণগুলি মিলবে না মোটেই।
সারা দিন উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেমন দরকার, তেমনই দরকার পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করাও। কারণ পানীয় জল শুধু যে তেষ্টা মেটায় তাই নয়, শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে, শরীরের অন্তরীণ জলের চাহিদা পূরণ করে সঙ্গে আরও একাধিক কাজ করে গোটা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে জল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সময়ের বড়ো অভাব। ফলে ঘুমের সময় কাটছাঁট কম বেশি সকলেরই হয়। তবে একটা কথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেমালুম আমরা ভুলে যাই যে, শরীর একটি যন্ত্রের মতো। তাই তাকে যেমন কাজ করানো যায়, তেমনই দরকার তার বিশ্রামও। তার থেকেও বেশি ঘুম শুধু শরীরকে বিশ্রাম দেয় না। বিশ্রাম দেয় মাথাকেও। ফলে এই বিশ্রাম শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। তাই প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন রাতে কম পক্ষে আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক।
এছাড়াও –
দৈনিক ১৫ মিনিট বাইসাইকেল চালানোর অভ্যাস করুন।
লিফটকে ‘না’ বলে সিঁড়ি বেঁয়ে উপরে উঠুন।
ফোনে কথা বলুন হেঁটে হেঁটে।
গান ছেড়ে মন খুলে নাচুন মিনিট পনেরো।
বসে থাকার অভ্যাসটা বাদ দিয়ে দিন।
দৈনিক পান করুন কমপক্ষে দুই কাপ গ্রিন-টি।
নিজের কাজগুলো নিজেই করুন রোজ। যেমন কাপড় ধোয়া, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি।
খাবার খান সময় নিয়ে, ভালোমতো চিবিয়ে খান।
কোমল পানীয় পান করা একেবারেই বাদ দিন।
ভালোমতো ঘুমান।
স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপন করুন।
মন খুলে হাসুন, আনন্দ করুন। কেবল হেসেই মিনিটে ১.৩ ক্যালোরি পোড়ানো যায়। মনে রাখবেন, বিষণœতা মানুষকে দ্রুত মোটা বানিয়ে ফেলে।
Tags – Health Tips Health Care Fitness