জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা কবে?
এই বছর জগন্নাথ রথযাত্রা ২০২৩ শুরু হবে ২০ জুন রাত ১০ : ০৪ এ এবং রথযাত্রা ২১ জুন রাত ০৭ : ০৯ এ শেষ হবে।
পৌরাণিক বিশ্বাস রথযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ভক্তরা সৌভাগ্য হন,,,ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় যেমন বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এই সমস্ত জায়গায় বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। তাছাড়া উড়িষ্যার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত।
Rathyatra 2023 Date And Time : রথযাত্রাতে যে তিনটি রথ ব্যবহার করা হয়, সেটির ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম হলো নান্দী ঘোষ, বলরামের রথের নাম হল তালধবজ এবং সুভদ্র রথের নাম হলো দর্পদলন। জগন্নাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। সমস্ত নগর ঘোরার পর গুন্ডিচা মন্দিরে যায়। এখানে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা সাত দিনের জন্য বিশ্রাম করেন। পুরাণ মতে, এখানেই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার প্রতিমা নির্মাণ করেন।
পুরীর রথ কবে?
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয় রথযাত্রা। ওডিশার পুরী শহরে এই উত্সব পালিত হয়। আগামী ২০ জুন ২০২৩-এ পালিত হবে এই বছরের রথযাত্রা।
রথ যাত্রার রথের বিশেষত্ব ২০২৩
জগন্নাথ দেবের রথের নাম হলো নান্দী ঘোষ, বলরামের রথের নাম হল তালধবজ এবং সুভদ্র রথের নাম হলো দর্পদলন। এই তিনটি রথের উচ্চতা, রঙ এবং আকৃতি সবকিছুই কিন্তু আলাদা আলাদা।
জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ।।।এছাড়া জগন্নাথ দেবের রথে যে চাকা আছে সেটি ১৮ টি চাকা, বলরামের রথের চাকা ১৬ টি, জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২ টি চাকা।
পুরীর রথযাত্রা (Puri Rath Yatra)
জগন্নথধাম পুরী ঘিরে প্রচলিত রয়েছে একাধিক কাহিনি। রথ দেখার জন্য প্রতি বছর ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থী। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, কোনও ব্যক্তি যদি রথযাত্রায় পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে অংশ নেন, তাহলে জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত হয়ে উঠতে পারেন তিনি। এছাড়াও রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়।
রথযাত্রার তাৎপর্য
পৌরাণিক ঘটনা অনুসারে এটা সবাই বিশ্বাস করে যে, এই উৎসব শুরু হয়েছিল যখন ভগবান জগন্নাথের বোন সুভদ্রা পুরী অর্থাৎ উড়িষ্যা রাজ্যে অবস্থিত একটি জায়গা দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ভগবান জগন্নাথ এবং ভগবান বলরাম ও সুভদ্রার সাথে এই উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। সেই থেকে হিন্দু ধর্মে এই দিন অনুসারে প্রতিবছর জগন্নাথ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। আট দিনের মধ্যে দেবতারা অর্থাৎ ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা গুন্ডিচা মন্দির থেকে চলে যান এবং এই সময়টিকে বলা হয় বহুদা যাত্রা।
রথযাত্রা উৎসব কেন পালন করা হয়
ভগবান কৃষ্ণ এবং বলরামের মামা কংস তাদের হত্যা করার জন্য মথুরায় আমন্ত্রণ জানান। তিনি অক্রুরকে রথসহ গোকুলে পাঠালেন। শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম রথে বসে মথুরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। প্রস্থানের এই দিনটিকে ভক্তরা রথযাত্রা হিসেবে পালন করেন।
রথযাত্রা কাহিনী
পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রার পেছনের গল্প
রথযাত্রা কাহিনী হলো একটি অপরিহার্য যাত্রা বা উদ্দেশ্যবহন যাত্রা সম্পর্কিত কাহিনী। এই কাহিনীগুলো বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রথার সাথে সংযোগ রাখে এবং সাধারণত যাত্রীদের ধার্মিক জ্ঞান ও সম্পর্কে উৎসাহিত করে। রথযাত্রা কাহিনীর বহুটা উদাহরণ আছে, তারমধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো হিন্দুদের জাগো যাত্রা রথযাত্রা। এই কাহিনীটি হিন্দু ধর্মের পৌরাণিক গ্রন্থ ‘মহাভারত’ এর একটি অংশ ও বিভিন্ন পুরাণ সংক্রান্ত রথযাত্রা বিষয়ক লীলার উপর ভিত্তি করে।
এই সমস্ত রথ নিম কাঠ দিয়ে তৈরি, একে দারু বলা হয়। ভালো ও শুভ নিম কাঠ দিয়ে রথ নির্মিত হয়। নিম কাঠ নির্বাচনের দায়িত্ব রয়েছে জগন্নাথ মন্দিরের এক সমিতির ওপর।
রথ তৈরির সময় কোনও ধরনের পেরেক বা কাঁটার ব্যবহার করা হয় না।
তিনটি রথ তৈরি হয়ে গেলে ছর পহনরা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এ সময় পুরীর রাজা পালকী করে এখানে আসেন।
উল্টো রথ
গুন্ডিচা মন্দির যেটা জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি হিসেবে বিখ্যাত, সেই জায়গায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে এই রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। সাত দিন মাসির বাড়ি থেকে পোড়া পিঠে খেয়ে আবার বাড়ির পথে রওনা হওয়ার এই যাত্রাকে উল্টো রথ বলে জানা যায়।
Read More,
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment