শীতকালে চুলকে হেলদি রাখার টিপস্ – Tips To Keep Your Hair Healthy In Winter
আমরা তো সবাই জানি গরমকালের থেকে শীতকালে চুলের এক্সট্রা যত্ন নিতে হয়। কারণ শীতকালে এমনিতেই চুল পড়ার সমস্যা খুশকি হওয়া নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য আমাদের চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন আগে থেকেই,,নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে হেয়ার প্যাক লাগান। কিন্তু তাও সমস্যা হচ্ছে চুলে? এর কারন হল, চুলের যত্ন ঠিক ভাবে নিচ্ছেন না! চুল ভালো রাখার কিছু বেসিক টিপস আছে। আজ শেয়ার করলাম, চুল ভালো রাখার বেসিক কিছু টিপস…………
চুল ধোবেন সবসময় ঠাণ্ডা জলে। গরমজল চুলের জন্য একদমই ভালো না। এটা চুলের ময়েশ্চার ছিনিয়ে নেয়। চুল করে দেয় শুষ্ক রুক্ষ।
ব্যবহার করুণ সালফেট ও পারাবিন ফ্রী শ্যাম্পু
বেশীরভাগ শ্যাম্পুতেই পারাবিন ও সালফেট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই দুটো ক্যামিকাল চুলের জন্য একদমই ভালনা।
শ্যাম্পু করুণ স্কাল্পে
শ্যাম্পু করার প্রধান উদ্দেশ্য হল স্কাল্পকে পরিষ্কার করা। তাই শ্যাম্পু শুধু স্কাল্পে করুণ। চুলে শ্যাম্পু বেশী ঘষলে চুল শুকিয়ে যায়। তাই শ্যাম্পু স্কাল্পে বেশী ঘষুন। চুলের লেন্থে বেশী শ্যাম্পু দেওয়ার দরকারই পড়ে না। স্কাল্পে অনেকেই বেশ জোরে জোরে শ্যাম্পু ঘসেন। জোরে ঘসার মানে বেশী পরিষ্কার হচ্ছে, এটা একদমই ভুল ধারনা। বরং চুলের গোঁড়ায় জোরে ঘষলে, চুল উঠে যাবার সম্ভবনাই বেশী।
শীতকালে চুলের হারানো জেল্লা ফিরে পেতে যা করবেন
শীতকালে চুলের যত্ন
সপ্তাহে দু থেকে তিনদিনের বেশী শ্যাম্পু একদম নয়। রোজ শ্যাম্পু করলে, চুল শুকিয়ে রুক্ষ হয়ে যাবে।
চুলকে কন্ডিশনিং করুণ তেল দিয়ে
হেলদি চুলের প্রথম শর্ত চুলকে কন্ডিশনিং করা। আর চুলকে কন্ডিশনিং করার একটা ভীষণ ভালো উপায় হল, তেল মাসাজ করা। স্নান করার অন্তত দুঘণ্টা আগে, স্কাল্পে ভালো করে তেল মাসাজ করুণ।
শীতে চুল সুস্থ রাখার ঘরোয়া উপায়
কন্ডিশনিং এর আগে চুল মুছে নিন
এটা শুনতে একটু অন্যরকম লাগলেও, শুকনো চুলে কন্ডিশনার তাড়াতাড়ি কাজ করে। মানে, শ্যাম্পু করে চুল মুছে নিয়ে কন্ডিশনার লাগালে, কন্ডিশনার চুলে আরও বেশী ভালো ভাবে কাজ করতে পারে।শ্যাম্পুর পর খুব বেশী কন্ডিশনার লাগানোর দরকার নেই। যতটা দরকার ঠিক ততটাই লাগ।
স্কাল্পে কন্ডিশনার নয়
কন্ডিশনার শুধু চুলে লাগাবার জন্য। স্কাল্পে কিন্তু কখনোই একে অ্যাপ্লাই করা উচিত নয়।
খুব বেশী হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট একদম নয়
চুলে খুব বেশী হেয়ার জেল, স্প্রে ব্যবহার না করাই ভালো। বাজারের এইসব হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট ক্যামিকালের ব্যবহার হয় সেটাতো জানেনই। আর এইসব ক্যামিকাল আপনার কোমল চুলের জন্য ভালো নয়।
তোয়ালে ব্যবহার করুন আলতোভাবে
অনেকেই চুলকে মোছার সময় খুব চাপ প্রয়োগ করে চুল মুছে থাকে। এতে বারবার ঘর্ষণের ফলে চুল তার সুস্থতা হারিয়ে ফেলে তাই চুল মোছার সময় যতটা সম্ভব আলতোভাবে তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।
শীতে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার টিপস্
আঁটসাঁট বেণী নয়
ঘুমানোর আগে শক্ত করে বেণী না করাই ভালো। এতে চুল একসাথে থাকবে কিন্তু টানটানে থাকবেনা ফলে ভেঙে যাওয়ার সুযোগ কম।
ভালো বালিশের কভার ব্যবহার করুন
কটন এর কাপড় রুক্ষ হয় যা থেকে তৈরী বালিশের কভারে ঘুমালে চুল ভেঙে যাওয়া একটি দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে যেতে পারে।তাই তা পরিহার করে পাতলা কাপড়ের কভার ব্যবহার করা উচিত।
তেল দিন নিয়মিত
চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহারে শক্ত হয় চুলের গোড়া তবে তা যেন আবার অতিরিক্ত না হয়ে যায়। অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে তা মুছে ফেলতে ব্যবহার করতে হবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু যা চুলের জন্য ভালো নয়।
শীতে চুল ঝরা বাড়ছে? জানুন কী করবেন, কী করবেন না
ভিজে চুল কখনওই আঁচড়াবেন না। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়।
হট অয়েল মাসাজ
চুলের পরিপূর্ণ পুষ্টি যোগাতে অয়েল মাসাজের বিকল্প নেই। আজকাল কোকোনাট অয়েল ছাড়াও বাজারে আমলা অয়েল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যায়।
চুল নিয়মিত ব্রাশ করুন
চুল নিয়মিত ব্রাশ করা প্রয়োজন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
নিয়ম করে দিনে ২-৩ বার হেয়ার ব্রাশ করা চুলের জন্য উপকারী, রাতে ঘুমানোর আগে চুল ব্রাশ করুন।
চুলে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন
চুল ভালো রাখার জন্য ধরন বুঝে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। চুল শুষ্ক বা মিশ্র হলে ১০ থেকে ১৫ দিন পরপর, আর তৈলাক্ত হলে ১২ দিন পরপর চুলে প্যাক লাগান।
শীতে চুলের সাধারণ কিছু সমস্যা ও তার সমাধান
স্বাস্থ্যকর খাবার
আপনার স্বাস্থ্য আপনার চুলে প্রতিফলিত হয়। আপনি স্বাস্থ্যকর থাকলে, ভাল থাকবে চুল। তাই সুন্দর চুল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আবশ্যক।আর তাই আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন, লোহা এবং প্রোটিন এর মত পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ করুন।
বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় শাক-সবজি চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে, এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
সুন্দর চুলের জন্য যে খুব ব্যয়বহুল লাইফস্টাইল অথবা প্রোডাক্টস ব্যবহার করতে হয় এমনটা কখনই নয়। শুধু প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যা আর প্রয়োজন সঠিক পুষ্টির। বুজলেন……….!!!!
Tags – Hair Tips Hair Care