সপ্তাহে কতদিন চুলে পেঁয়াজ এর রস দিবেন – How Many Times A Week Will You Apply Onion Juice To Your Hair
চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আসলে একেকজনের চুল পড়ার কারণও কিন্তু ভিন্ন। কথায় আছে নারীর সৌন্দর্য চুলে এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল নারীর অহংকারের অন্যতম বিষয়। পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন হেয়ারকাট, স্ট্রেটনিং, কার্লিং, কালার ব্যবহার করে চুলকে অস্থায়ী ভাবে ভিন্নরূপ দেওয়া হয়। কিন্তু হলে কী হবে, এতে চুল তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা, মসৃণতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে শুরু হয় চুল পড়া, আগাফাটা, খুশকি, চুলের গোড়া আলগা হওয়া ইত্যাদি। তার থেকেই তাঁদের ঘিরে ধরে দুশ্চিন্তা ও হতাশা।
পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া
কিন্তু হতাশা কোনো সমাধান না। তাই সমাধানের জন্য ব্যবহার করা যায় এমন বহু টিপ রয়েছে। তার মধ্যে এমন অনেক কিছুই আছে যেগুলি রোজকার জীবনে আমরা ব্যবহার করে থেকি। তার মধ্যেই একটি পেঁয়াজ।
পেঁয়াজের রস টাকের সমস্যার সমাধান করতে পারে। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এর মাধ্যমে সুফল পেয়েছেন অনেকেই।
চুল উঠে গিয়ে যে অংশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে রাখুন।
দিনে দু’বার করে লাগান।
তা হলেই সমস্যা থেকে মু্ক্তি মিলবে
চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করেন অনেকেই। চুল পড়া বন্ধের এটি একটি কার্যকরী দাওয়াই। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেমন পেঁয়াজের হাজারও উপকারিতা আছে ঠিক চুলের ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ খুব উপকারী।
চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চুল ঘন করার ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ দুর্দান্ত কার্যকরী। পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। জেনে নিন চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন?
পেঁয়াজের রস কি সত্যি চুল পড়া কমায়?
>> পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পের যে কোনো সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য পেঁয়াজে অল্প জল মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর তুলা ভিজিয়ে পেঁয়াজের রস মাথার স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। একদিন পরপর এই টোটকা ব্যবহার করুন।
>> পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেলও মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চুলে। নারকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মেশালে এর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।
>>খুশকির সমস্যা থাকলে, মিশ্রণটিতে ৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েলও মেশাতে পারেন। এরপর মিশ্রণটি ভালো করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর আধাঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
>> অলিভ অয়েল ও পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন খুশকির সমস্যা সমাধানে। তাছাড়া অলিভ অয়েল, চুল ও মাথার ত্বককে কন্ডিশনিং করতেও সহায়তা করে। পেঁয়াজের রস চুলকে দ্রুত বড় করে।
>> প্রথমে তিন টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস ও দেড় টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। দুই ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটিও একদিন পরপর করতে পারেন।
>> ক্যাস্টর অয়েল ও পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে চুল বড় হয়। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। প্রথমে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
>> ডিম ও পেঁয়াজের হেয়ারমাস্ক চুলের পুষ্টি সরবরাহ করে। পাশাপাশি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি তৈরি করতে প্রথমে একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস, একটি ডিম ও ২-৩ ফোঁটা রোজমেরি কিংবা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন।
পেঁয়াজে রয়েছে প্রদাহ রোধ করতে পারার ক্ষমতা। গরমে মাথায় চুলকানি দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। মাথার স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে গেলেও পেঁয়াজের রস কাজে আসে।
পেঁয়াজ ছেঁচে রস বার করে নিন।
তার পরে তিন চা চামচ রসের সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন এই মিশ্রণ।
এছাড়া এই উপায়েও পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন।