হাইপার টেনশনের সমস্যা খাদ্যতালিকায় রাখুন এই বিশেষ খাবার – Keep This Special Food In The Diet For HyperTension Problem
অফিসের চিন্তা, আর্থিক জটিলতা, মূল্য বৃদ্ধি, পারিবারিক সমস্যার কারণে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। আর এই দুশ্চিন্তার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। এই কারণে যেমন ডায়াবেটিস, প্রেসার, হার্টের রোগ দেখা দেয়। তেমনই দেখা দেয় হাইপার টেনশনের সমস্যা।
খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি বিশেষ খাবার, নিয়ন্ত্রণে থাকবে হাইপার টেনশনের সমস্যা
সময় থাকতে নিয়ন্ত্রণে আনুন হাইপার টেনশনের সমস্যা। খাদ্যতালিকায় রাখুন এই কয়টি খাবার। মিলবে সমস্যা থেকে মুক্তি।
দেখে নিন কী কী খাবেন-
অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে হাইপার টেনশন বা অতিরিক্ত টেনশন করা কোনও রোগ কিনা??
বাস্তবিক, এটিকে কোন রোগ বলা চলে না। তবে অতিরিক্ত টেনশনে মানুষের শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এর মধ্যে হার্টের রোগ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মত দিক রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের সাথে হাইপার টেনশনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। হাইপার টেনশনের উপসর্গ হিসেবে দেখা যায় মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, বমির মত সমস্যা।
হাইপার টেনশনের সমস্যা দুর করার উপায়
রক্তচাপ কমানোর পৃথিবীতে কঠিনতম কাজ বলে মনে হলেও যোগাসনের মত একাধিক পদ্ধতি মেনে চলা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, তেল ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খেয়াল রাখতে হবে, মাঝেমধ্যেই মাথা ঘোরে কি না বা বুক ধড়ফড় করছে কি না। অনেকের আবার মাথাব্যথা হয় সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর। এবং তা ঘণ্টা দুয়েক থাকে। কারও আবার অল্পতেই ক্লান্তি আসে। কখনও মনঃসংযোগের অভাব ঘটে।
অন্য কারণও আছে
কিডনি বা এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ডের সমস্যা থাকলেও রক্তচাপ বেড়ে যায়। সঠিক চিকিৎসায় তা ধরাও পড়ে যায়। এমনও দেখা যায় ‘কোয়ার্কটেশন অফ এওরেটা’, ‘পরফাইরিয়া’, ‘হাইপার ক্যালসিমিয়া’-র মতো অসুখেও রক্তচাপ বেড়ে যায়।
চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা মিটে গেলেও ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। কারণ এই সমস্যা পুরোপুরি কাটে না। ওষুধেই নিয়ন্ত্রিত থাকে। অনেকে ভুল করেন, সমস্যা মিটে গিয়েছে ভেবে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন।
নিয়ন্ত্রণে রাখতে
লাইফ স্টাইল বদলাতে হবে। বাইরের খাবার যত কম খাওয়া যায়, তত ভাল। যতটুকু পেটে ধরে ততটুকুই খাওয়া ভাল, তার বেশি নয়। কোলেস্টেরল বাড়ে এমন সব খাবার না খাওয়াই ভাল। সকাল হোক বা সন্ধে, দিনে অন্তত ২ কিলোমিটার হাঁটুন। তেল জাতীয় খাবার কম খান।
নিয়মিত খান সবুজ সবজি। পালং শাক, লেটুস পাতার মতো সবুজ শাক খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে থাকে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো খেলে শরীর থাকবে সুস্থ।
খেতে পারেন কলা। রোজ একটি করে কলা খেকে দূর হবে হাইপারটেনশনের সমস্যা। কলাতে আছে প্রচুর পটাসিয়াম। যা রক্তচাপ রাখে নিয়ন্ত্রণে। এটি খেলে অনেক্ষণ পেট ভর্তি লাগে। তাই নিয়মিত খেতে পারেন কলা।
খেতে পারেন বিট। বিটে আছে নাইট্রিক অক্সাইড। যা রক্তনালীগুলো খুলতে ও প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। রোদ খাদ্যতালিকায় রাখুন বিট। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট নয়– রোজকার ডায়েট থেকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট একেবারেই কমিয়ে ফেলতে হবে। ৬ শতাংশের বেশি একেবারেই খাওয়া যাবে না।
ফাস্ট ফুড কম খান- রোজকার তালিকা থেকে যেমন নুনের পরিমাণ কম করতে হবে তেমনই কিন্তু ফাস্টফুড খাওয়াও বন্ধ করতে হবে। যে কোনও ফাস্ট ফুডের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ নুন আর চিনি। যা আমাদের রক্তচাপের উপর প্রভাব ফেলে। শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমা হলে রক্তচাপও বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এরকম খাবারই কিন্তু সব সময় খাওয়ার চেষ্টা করুন। শাক-সবজি, ফল, লেবু, বাদাম, গোটা শস্য, বিভিন্ন বীজ, ভেষজ খাবার, মাছ, মুরগির মাংস এসব রাখুন রোজকার ডায়েটে। অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি খাবাকর খেতে পারলে সবথেকে ভাল। রেড মিট কিন্তু একেবারেই খাওয়া চলবে না. ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন- অতিরিক্ত ওজন বা ওবেসিটি জনিত সমস্যা থাকলেও কিন্তু সেখান থেকে আসে এই উচিচরক্তচাপ জনিত সমস্যা। নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে একাধিক সমস্যা আসে। আর তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকুন।
লো ফ্যাট মিল্ক– দুধে পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফরাস,ক্যালশিয়াম ইত্যাদি থাকে। কিন্তু চেষ্টা করুন লো ফ্যাট মিল্ক খাওয়ার। ব্রিটিস জার্নাল অফ নিউট্রিশন বলছে, ফুল ফ্যাট মিল্কে পামিটিক অ্যাসিড থাকে যা রক্তের ভেসেলকে ব্লক করে দেয়। তাই লো ফ্যাট মিল্ক বা কম ফ্যাট যুক্ত দুধ খান।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ড্রিঙ্ক– এতে পটাশিয়াম থাকে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এর গ্লাস হালকা গরম জলে একটু মধু ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে তা খালি পেটে খান। উপকার পাবেন।
মেথি ভেজানো জল- এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে । নিয়মিত এই পানীয় পান করলে তাই সহজেই কমানো যায় রক্তচাপ। রাতে জলে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই জল পান করুন।
TAGS
Hyper tension
High blood pressure
Health tips
Drinks
স্বাস্থ্য় খবর