হারবাল হেয়ার অয়েল | চুল পড়া বন্ধ করতে এই তেল বানিয়ে নিন ঘরেই – Herbal Hair Oil Make This Oil At Home To Stop Hair Fall
আমি বাজারে পাওয়া কেমিকেলে ভরপুর প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পছন্দ করি না, তাই ঘরোয়া উপায়েই আমার স্কিন ও হেয়ার কেয়ার করার ট্রাই করি। আমার প্রোডাক্ট নিজেরই ঘরে তৈরি করে নেয়ার অভ্যাস। আজ শেয়ার করব আমার চুল পড়া বন্ধ করার তেলের রেসিপি। চলুন তবে জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন হারবাল হেয়ার অয়েল!
হারবাল হেয়ার অয়েল | চুল পড়া বন্ধের তেল বানিয়ে নিন ঘরেই
হারবাল হেয়ার অয়েল যেভাবে বানাবেন
সাধারণত কম করে প্রতিবার তৈরি করি, যাতে অল্প দিনে শেষ হয়। হারবাল অয়েল অনেক বেশি দিন রেখে ব্যবহার করা ঠিক না। চলুন প্রথমে দেখে নেই আমার অ্যান্টি হেয়ার ফল হারবাল অয়েল তৈরি করতে কী কী লাগছে!
হারবাল হেয়ার অয়েল বানানোর উপাদান
১) কোকোনাট অয়েল
২) এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
৩) ক্যাস্টর অয়েল
৪) ভিটামিন ই অয়েল
৫) অ্যাভোকাডো অয়েল
৬) জোজোবা অয়েল
৭) মেথি
৮ ) কারি পাতা
হারবাল তেল তৈরির সঠিক নিয়ম
এবার দেখুন কীভাবে তেলটা বানাবেন!
হারবাল হেয়ার অয়েল তৈরির নিয়ম
প্রথমে একটা মেটাল পাত্রে মেথি আর কালোজিরার ভাঙ্গা দানা নিয়ে নিন।
এবার এতে ভিটামিন ই তেল, রোজমেরি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল, জোজোবা অয়েল আর আমন্ড অয়েল ছাড়া সব তেল মিশিয়ে নিন।
এবার খুব অল্প আঁচে তেলের মিশ্রণটা গরম করুন। এরপর আবার অল্প আঁচে তেল গরম করতে থাকুন। বেশিক্ষণ রাখলে বা চুলার আঁচ বেশি হলে সব উপকরণ পুড়ে গিয়ে তেল নষ্ট হয়ে যাবে।
তেল গ্যাস থেকে নিচে নামিয়ে পুরো ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর একদম ঠাণ্ডা তেলে একে একে ভিটামিন ই তেল, জোজোবা অয়েল আর আমন্ড অয়েল আগের পরিমাণে মিশিয়ে নিন। এরপর রোজমেরি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল দিন।
এবার তেলটা না ছেঁকে সব কিছুসহ একটা কাঁচের বোতলে বা বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করুন।
এই তেলটা ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন হারবাল হেয়ার অয়েল?
ছোট পাত্রে আপনার চুলের পরিমাণ বুঝে তেল নিয়ে হালকা গরম করুন। ৫-১০ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে করে পুরো মাথায় আর চুলে তেল লাগান। তেলটা চুলে ৫-৬ ঘণ্টা বা সারারাত রাখুন। পরের দিন ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
আরেকটি তেল তৈরী করতে পারেন –
লেবুর রস খুশকি দূর করে। গরমকালে মাথা ঘেমে মাথার ত্বকের পোরস খুলে যায়, লেবুর রস খুলে যাওয়া সেসব পোরস বন্ধ করে চুল পড়া বন্ধ করে ।
গোলাপ ফুল ১টি।
জবা ফুল ৪ টি । চুল পড়া বন্ধ করে, চুল ঘন ও কালো করে ।
কারি পাতা ২০ গ্রাম। মাথার ত্বকের ইনফেকশন দূর করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২টি
নারিকেল তেল
যেভাবে বানাবেন:
গোলাপ ফুলের শুধু পাতাগুলো নেবেন। জবা ফুলের ডালটা ফেলে বাকি সব নেবেন। জবা ফুলের রেণু কখনোই ফেলবেন না। জবা ফুলের রেণু চুল গজাতে অনেক কার্যকরী। তেল, ভিটামিন ই, কর্পূর বাদে সকল উপকরণ পানির সাথে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে মিশ্রণটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেঁকে জুসটা বের করে নিন। এবার যে কড়াইতে তেল জ্বাল দিবেন সে কড়াইতে নারিকেল তেল এবং তিলের তেল ঢালুন এবং মেশান।
তেলের মাঝে জুস ঢালা হয়ে গেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুণ জুস তেলের নিচে জমা হওয়ার জন্য এবং তেলটা স্থির হওয়ার জন্য। এবার তেলসহ কড়াইটি খুব ধীরে চুলার উপর বসান।
অনেকে একটা কাজ করেন তেল জ্বাল দেয়ার সময় চামচ দিয়ে মিশ্রণটি বারবার নাড়ান। কিন্তু এ কাজ কখন-ই করা যাবে না। একদম অল্প আঁচে জ্বাল দেবেন, জ্বালটাকে বাড়ানো যাবে না। জুসগুলোর খাদ জমেছে। অর্থাৎ জুসের সমস্ত নির্যাসগুলো তেলের সাথে মিশে গিয়ে জুসের বাড়তি অংশ জমে উপরে চলে এসেছে।
এবার তেলের উপরে জমা খাদগুলো চামচ দিয়ে তুলে ফেলে দিন। তেলটাকে চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন।
এবার তেলের মাঝে কর্পূর দিয়ে দিন মেল্ট হবার জন্য। তেলটা ঠান্ডা হলে একটি পরিষ্কার বোতলে ঢালুন এবং তেলের মাঝে ভিটামিন ই ক্যাপ মেশান। ভিটামিন ই ক্যাপ কখনোই গরম থাকতে মেশাবেন না , এতে ভিটামিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। তারপর ঠাণ্ডা হলে মাথায় দিন ৫ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।।
যারা সাধারণত ঘরে হারবাল তেল তৈরি করেন তারা এবার এই পদ্ধতিটা অনুসরণ করুন পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন আশা করি।
Tags – Hair Tips Hair Care Herbal Hair Oil