৩০ দিনেই গলে যাবে কোলেস্টেরল, নিয়মিত খেতে হবে এই পানীয় – Cholesterol Will Melt In 30 Days, This Drink Should Be Consumed Regularly
হাই-কোলেস্টেরল শরীরে বহু রোগের কারণ। এর আধিক্যের কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো প্রোগের শিকার হতে পারেন।
হাই-কোলেস্টেরল শরীরে বহু রোগের কারণ।
এর আধিক্যের কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো প্রাণঘাতী রোগের শিকার হতে পারেন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ ও মহিলাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে শুরু করে। সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা ভয়ঙ্কর রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই ঘরোয়া টোটকা!
কোলেস্টেরল হল এক ধরনের ফ্যাট জাতীয় পদার্থ, যা মূলত রক্তে এবং শরীরের কোষে উপস্থিত থাকে। এটি কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গ তৈরির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া কোলেস্টেরল হরমোন, ভিটামিন-ডি এবং পিত্ত রস তৈরির ক্ষেত্রেও অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে, ধমনীতে ফ্যাট জমতে শুরু করে, যার ফলে হার্টে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন পানীয় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
এই পানীয় গুলি নিয়মিত খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল
টমেটোর জুস
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন বর্তমান, যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া, টমেটোতে নিয়াসিন এবং কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী ফাইবারও বর্তমান।
কোকো ড্রিঙ্কস
কোকোতে ফ্ল্যাভানল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান, যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কোকো হল ডার্ক চকোলেটের প্রধান উপাদান, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সহায়তা করে।
সয়া মিল্ক
সয়া মিল্কে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা কম থাকে। তাই সাধারণ দুধের পরিবর্তে নিয়মিত সয়া দুধের সেবন, শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে।
ওট মিল্ক
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে, ওট মিল্ক অত্যন্ত উপকারি। এতে বিটা-গ্লুক্যান নামক পদার্থ বর্তমান। এটি পিত্ত লবণের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে এবং অন্ত্রের মধ্যে জেলের মতো স্তর তৈরি করে, যা কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
বেরি স্মুদি
বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের উৎস, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক, যেমন – স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, ব্লুবেরি এবং ব্ল্যাকবেরি। প্রতিদিন লো ফ্যাট দুধের সাথে, এক মুঠো বেরি দিয়ে তৈরি শেক পান করলে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে।
সাইট্রাস ফলের রস
সাইট্রাস ফলের রস দুর্দান্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-বুস্টার হিসেবে কাজ করে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখার সাথে সাথে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতেও অত্যন্ত সহায়ক।
বিটের রস
বিট হল গাছের মূল। যা স্যালাড হিসেবে খান অনেকে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতেও ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন বিটের রস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই রস খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে না।
করলার রস
করলা অনেকেরই অপছন্দের সবজি। করলায় রয়েছে বিবিধ পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই রয়েছে। ত্বক উজ্জ্বল করার জন্যও অনেকে খান করলার রস।
লাউয়ের রস
লাউঘণ্ট খাননি এমন বাঙালি নেই। লাউয়ের মধ্যে জল থাকে প্রায় ৯৮%। হজম সংক্রান্ত সমস্যা সারাতে লাউ খুবই সহায়ক। লাউয়ের রস খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। শরীরে কোলেস্টেরলও কমায়।
অ্যালোভেরার রস
অ্যালোভেরার রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। খেতে একটু তেতো মনে হলেও অ্যালোভেরার জুস অনেক রোগ সারাতে সক্ষম। ফেস জেল, ফেস ওয়াশ, অ্যালোভেরা প্যাকেজ জুস তৈরি করতে ব্যবহার করে অ্যালোভেরা ব্যবহার করছে বহুজাতিক সংস্থাগুলি।
TAGS:
CHOLESTEROL
HIGH CHOLESTEROL
HIGH CHOLESTEROL CONTROL
WHAT CAUSES HIGH CHOLESTEROL
CHOLESTEROL CONTROL JUICE
কোলেস্টেরল
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রস