টক দই অনেক উপকারী,, ত্বক ও শরীরের যত্নে দারুন কাজে আসে। অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করেন না। তাদের রোজকার পাতে দই থাকে,, তাঁরা বিকল্প হিসাবে টক দইকে বেছে নিন…. টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান, উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। যেগুলি শরীরের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও ভিটামিন ক্যালশিয়াম, ফসফরাস সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজম শক্তিও উন্নত করে।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পাতে রাখুন টক দই
টক দই কখন খাওয়া ভালো?
প্রতিদিন সকালে এক কাপ দই খেলে হাড় মজবুত থাকে ,,,এটি শুধু হাড়কে মজবুত করে না, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতেও সাহায্য করে। লাঞ্চ করার পর টক দই খাওয়া ভালো। এমনকি সকালে রুটি বা পরোটার সঙ্গে টক দই খেতে পারেন। গরমকালে দই খেলে যে শুধু শরীর ঠান্ডাই থাকে তাই নয় এর পাশাপাশি খাবারও হজম হয়। রোজ এক বাটি curd খেলে শরীর ডিটক্স হয়ে যায়।
গরমে টক খাওয়ার নিয়ম
টক দইয়ে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি -২, ভিটামিন বি -১২, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে।দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যানসারের রোগীদের জন্য উপকারী। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে এক বাটি টক দই খেলে তা শরীরের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, খুব বেশি যেন খাওয়া হয়ে না যায়।
**প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দই খেয়ে ফেললে তা শরীরে অত্যাধিক ক্যালসিয়াম সৃষ্টির কারণ হতে পারে। যা স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়াতে পারে। মনে রাখবেন, মিষ্টি দইয়ের থেকে টক দই খাওয়া বেশি উপকারী।
গরমে টক দই কেনো খাওয়া উচিত
** ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে টক দই বেছে নিতে পারেন,, কারণ এতে ফ্যাট থাকে অনেক কম। যে কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। টক দই রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক।
** দইয়ে ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক ৷ তাই এটি পাকস্থলী জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ৷
** এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে ।।
** বাতের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পাবেন।
** যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন ৷ কারণ টক দই রক্ত শোধন করে ৷
আরোও পড়ুন,
5 Beauty Tips For Face|ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখার ৫ টিপস্