গরমে বাচ্চাদের কি খাওয়ানো উচিৎ – What Should Children Eat In Summer
শিশুর পুষ্টিকর খাবার তালিকা
যা গরম পড়েছে এর মধ্যে বাচ্চারা অসুস্থ হওয়াটাই সাভাবিক ব্যাপার।। তার মধ্যে বাচ্চাদের স্কুল শুরু হয়ে গিয়েছে। স্কুল থেকে ফিরে বাচ্চা গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়,, এর মধ্যে ভরসা কেবল ঠান্ডা খাবার, ফলের রস। তাই এই সময় বাচ্চাদের কোন কোন খাবার খাওয়ালে সঠিকপুষ্টি বজায় থাকবে ও আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে জেনে নিন………..
গরমের এমন তীব্রতার কারণে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি আগ্রহ নেই কারও। পেট যেনো ভরাই থাকে।। খেতেই যেন ইচ্ছে করে না। বাচ্চাদের কী হাল একবার ভাবুন! গরমে বাচ্চারা কী খাবে, খাবারের ধরনটাই বা কেমন হওয়া উচিত এইসব নিয়ে বাবা-মায়েদের উদ্বেগের শেষ নেই। এই সময় বাচ্চাদের বেশি করে ফল খাওয়ানো উচিত। সেই সঙ্গে শিশুর রোজের ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি, তাতে করে সন্তানের দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
শিশু স্বাস্থ্য সমস্যা ও সমাধান
প্রথমত ওদের যতটা সম্ভব পাতলা সুতির পোশাক পড়িয়ে রাখবেন।। গরমে খানিকটা স্বস্তি পাবে। তার সঙ্গে কিছু সময় অন্তর জল খাওয়াতে হবে। শিশুরা জল তৃষ্ণার কথা বলতে পারে না। কিন্তু শরীরে জলের চাহিদা থাকে। যদি দেখেন শিশু খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, মাথা ঘুরছে সে ক্ষেত্রে সারা দিনে জলে সামান্য নুন-চিনি গুলে খাওয়ানো যেতে পারে। ডাবের জল দিতে পারে। এই সময় একদম তেল-মশলার খাবার বাচ্চাকে দিবেন না।
শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি
এই গরমে বাচ্চারা কিছুই খেতে চায় না। ফলত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময়ে শিশুর খাদ্যতালিকায় হালকা, পুষ্টিকর এবং টাটকা খাবার থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে নরম খিচুড়ি বা সবজির স্যুপ দিতে পারেন।
এই সময় শুধু ঘরে তৈরি খাবারই বাচ্চাদের খাওয়ান।গরমকালে বাইরের কেনা খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। বাচ্চারা পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করছে কিনা সেদিকেও নজর রাখুন।
রোজের ডায়েটে থাকুক শসাও। চাইলে ফলের রসও খাওয়াতে পারেন। আর ভুলেও বাচ্চাদের কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়াবেন না যেন!
আরও পড়ুন,
এই গরমে বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে কী খাওয়াবেন
রুটিন মেনে চলা : গরমের এই সময় সঠিক পুষ্টি ও ক্যালরির চাহিদা বজায় রাখার লক্ষ্যে সঠিক সময় মেনে খেতে হবে। সকাল ৯ – ১০ টার মধ্যে সকালের খাবার খেতে হবে। দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে দুপুরের খাবার খেতে হবে। বিকাল ও শোয়ার আগে শিশুকে হালকা খাবার, বিশেষ করে তরল খাবার দিতে হবে।
সহজে হজমযোগ্য খাবার : শিশুরা প্রচুর ছোটাছুটি ও দৌড়াদৌড়ি করে। ফলে অতিরিক্ত শারীরিক শ্রমের পর যে কোনো ভারি খাবার শিশুদের হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। এমনকি বমি বমি ভাবের সৃষ্টি করে। তাই অতিরিক্ত তেলের খাবার, ভাজাপোড়া খাবার শিশুদের দেয়া উচিত নয়। পুডিং, সিদ্ধ নুডলস, নরম ভাত, মাছ, মুরগির মাংস, নরম সুজি, ঘরে তৈরি ফলের জুস ইত্যাদি খাওয়াতে পারলে ভালো।
গরমে শিশুকে সুস্থ রাখার টিপস
দুধের বিকল্প খাবার : দুধ শিশুদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি খাবার, যা ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের বড় একটি উৎস। তাই গরমের সময় দুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে জোর না করে ঘরে তৈরি লাচ্ছি, মিল্কশেক ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে।