আপনার কি ঠাণ্ডা লেগেছে? তাহলে দেখে নিন কি করবেন আর কি করবেন না! – Do You Have A Cold? So See What To Do And What Not To Do
ওয়েদার চেঞ্জ হওয়াতে সবারই ঠাণ্ডা লাগে। এই অসুখে অশান্তি লাগে সারাক্ষণ,, মাথা ব্যথা, গা ব্যথা, নাক বন্ধ, খুব ক্লান্ত লাগা লেগেই থাকে। আর নাক দিয়ে সমানে জল পড়তেই থাকে। কিছু মানুষ এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ অনেক দিন ধরে ভুগতে থাকে। আবার অন্য দিকে চলে যেতে পারে যেমন, সাইনাস, কানে ইনফেকশন, নিউমোনিয়া মতোন অসুখ।। যাইহোক নিজের যত্ন নিতে হবে। ঠাণ্ডা লাগলে কি করবেন আর কি করবেন না জেনে নিন…..
ঠাণ্ডা লাগলে করনীয় কি
যা করবেন আর যা করবেন না
ঠাণ্ডা লাগলে সম্ভব হলে কাজে বের না হওয়া ভালো। শিশুদেরও স্কুলে না পাঠানো ভালো। কারণ এটা বাকিদের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে।
ঠাণ্ডা সর্দি দূরে রাখার উপায়
ভারী ব্যায়াম করলে আপনার রোগ প্রতিরোগ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে অবস্থা আরো খারাপ বানিয়ে ফেলতে পারে। আর শরীরের আবস্থা যদি ভালো থাকে তাহলে ঠাণ্ডা লাগলেও হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
সর্দি হলে কি খাওয়া উচিৎ
জ্বর আসা মানে শরীর জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আপনি যখন জ্বর জ্বর অনুভব করবেন সাথে ঘামবেন তখন ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করতে পারেন। যদি গা ব্যথা থাকে তাহলে হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করে ফেলতে পারেন। তবে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে এই সময়।
এই সময় বেশি বেশি গরম তরল খাবার খাওয়া, জল পান করা, জুস খাওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া গরম জল ও লবণ দিয়ে গারগেল করা এবং প্রচুর বিশ্রাম নেওয়া।
ঠাণ্ডা লেগেছে? সর্দি-কাশি কমানোর উপায়
সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগায় দ্রুত সুস্থ হতে কী কী খাবেন –
স্যুপ
জ্বর, সর্দি-কাশিতে গরম স্যুপ দারুণ স্বস্তিদায়ক। গলাব্যথা হলেও আরাম পাবেন। বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মাও বাইরে বার করে দিতে স্যুপ ভরসাযোগ্য। ঠান্ডা লাগলে মুখের স্বাদও চলে যায়। মুখের স্বাদ ফেরাতে খেতে পারেন চিকেন স্যুপ।
রসুন
ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে রসুন অন্যতম দাওয়াই। শুধু সর্দি-কাশি রসুন অনের রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। ভিতর থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা রসুনের জুড়ি মেলা ভার। অনেকেরই গরম ভাতের সঙ্গে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস আছে।
সর্দিজ্বর হলে বা ঠান্ডা লাগলে কি করবেন
নারকেলের জল
জ্বর, কাশি হলে শরীর আর্দ্র রাখার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। এই সময় বেশি করে জল খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে জল খাওয়ার পাশাপাশি দ্রুত সুস্থ হতে খেতে পারেন ডাবের জল।
নাকে সর্দি জমা হলে ঝেড়ে ফেলে দিন। জমিয়ে রেখে নাক টেনে যাবেন না। তেমনি চেষ্টা করুন কফ উঠে আসলে ফেলে দেওয়া। অনেকে গিলে ফেলে যেটা করা উচিত নয়। হাঁচি কাশি দিলে সেটা ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয় আদা চা। ২ কাপ জলে কিছুটা আদার কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই গলার খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু হচ্ছে উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূরে রাখবে এবং সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যাও।
গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা লাগলে কাঁচা গাজর না খেয়ে সেদ্ধ করেই খাওয়া উচিত।
প্রচুর ফল আর দই রাখুন খাদ্যতালিকায়: দইয়ের প্রোবায়োটিক হজমশক্তি বাড়ায়, বাড়িয়ে তোলে প্রতিরোধ ক্ষমতা। আপেল, লেবু, বাতাবিলেবু, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, লঙ্কা রাখুন খাদ্যতালিকায়। এর ভিটামিন সি আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
Tags: Health Cold Cough Monsoon Food