শীতে রোজ ঘি খাওয়ার দারুণ উপকারিতা – Great Benefits Of Consuming Daily Ghee In Winter
বাঙালির ঘি-এর প্রতি একটু বেশিই ভালোবাসা।। গরম ভাতে ঘি হলে আর কিছুই লাগে না। ঘি যেমন খেতে টেস্টি,, তার সাথে ঘি-তে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা।
রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘি-এর তুলনা নেই। স্বাদ ছাড়াও ঘি-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।প্রাচীনকাল থেকে ঘি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আসুন জানা যাক বছরের এই সময়কালে ঘি খেলে কী কী উপকার মিলবে –
শীতে ঘি-এর উপকারিতা
ঘি ত্বক, স্মৃতিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এর রয়েছে আরও একাধিক গুণ।
শরীর গরম রাখে
শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য ঘি খুব ভাল বলে মনে করা হয়। নিয়মিত পাতে সামান্য ঘি নিলে, তা শরীরকে তরতাজা রাখে।
হজমের জন্য উপকারী
ঘি-তে অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। যা, হজমের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
কাশি ও সর্দি নিরাময়
ঘি-তে রয়েছে প্রদাহরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য যা, কাশি এবং সর্দি নিরাময়ে উপকারী।
শীতে কেন ঘি খাবেন? জেনে নিন
ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে
ঘি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ঘি-তে এমন কিছু চর্বি থাকে যা ত্বককে নরম করতে সাহায্য করে।
হরমোনের ভারসাম্য
দেশি ঘি-তে থাকে ভিটামিন এ, ভিটানি এ২, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই। ফলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে সক্ষম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে ঘি-তে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের ঘি খাওয়া উচিত
কত পরিমাণে ঘি খাওয়া উচিত
নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। হৃদরোগ বা স্থূলতার সমস্যা থাকলে, বিষয়টা কিছুটসা আলাদা। প্রতিদিন সাধারণত ১০ থেকে ১৫ গ্রাম ফ্যাট খাওয়া উচিত।
ঘি এর উপকারীতা
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ঘি ত্বকের অকাল বার্ধক্যে রোধ করে। ত্বককে করে তোলে সজীব। এ ছাড়াও, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও ঘি বেশ উপকারী।
শীতকাল পড়তেই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকেই। তাদের জন্য ঘি হতে পারে মহৌষধি। রাতে শোয়ার আগে ঘি নিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। সহজেই উপকার পাবেন।
এছাড়াও ঘিয়ে রয়েছে নানাবিধ উপকার, যেমন-
গ্যাস ও হজমের সমস্যা দূর করে, চোখের জ্যেতি বাড়ায়, খিদে বাড়াতে সাহায্য করে, মানসিক উদ্বেগ ও চাপ কমায়, যেকোনও রকম ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে দিতে সাহায্য করে।।।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : ঘি-এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের উপস্থিত ফ্রি রেডিক্যালদের ক্ষতি করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। এতে কোষের বিন্যাসে পরিবর্তন আসে।
ত্বকের যত্ন : ঘি-এর মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এ উপাদানটি নিস্তেজ এবং শুষ্ক ত্বকের পুষ্টি জোগাতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ত্বকের কোষগুলিকে হাইড্রেট করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
শীতকালে গরম গরম ভাজাভুজি বা তেলতেলে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে হজমে সমস্যা হয় অনেকের। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় অহরহ। এ সমস্যাটি দূর করতে ঘি কার্যকরী।
Tags – Health Tips
Life Style