রোজের খাবারকে পুষ্টিকর করে তুলুন – Make Everyday Food Nutritious
আমরা যেসব ফল বা শাকসবজি খেয়ে থাকি প্রত্যেকটিতেই কিছু না কিছু পুষ্টি রয়েছে। পুষ্টিগুণ ছাড়া খাবার হয় না। কিন্তু কিছু খাবারে পুষ্টির পরিমাণ এত বেশি থাকে যে, যেসব খাবারকে সুপারফুড হিসেবে ধরা হয়। আর আজকের পরিস্থিতিতে কম ইমিউনিটি মানেই ভাইরাল ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়বে।, “খাবারে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন সি আর প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখতে হবে, তবেই বাড়বে আপনার প্রতিরোধক্ষমতা।”
রোজের খাবারকে পুষ্টিকর করে তোলার টিপস
প্রোটিনের সেরা উৎস হিসেবে আস্থা রাখতে পারেন চিকেন, ডিম, ডাল আর মাছে। বরফের পুরোনো মাছ নয়, খুঁজুন টাটকা মাছ। তা না পেলে ডিম বা চিকেনই ভালো। সবজি দিয়ে মাছের ঝোল বা চিকেন স্টু খুব ভালো ও পুষ্টিকর রান্না। যাঁরা নিরামিষ পছন্দ করেন, তাঁরা ডালে সবজি দিন। খুব ভালো করে ধুয়ে শাকপাতা খাওয়া যায়। দুধ, দই বা ছানাও চলবে। ছানার ডালনা বা ছোলার ডাল দিয়ে লুচিও চলতে পারে এক-আধদিন।
ছাতুর শরবত, ছোলা সেদ্ধ-মুড়ি, শসা বা পেয়ারা জাতীয় ফল রাখুন বিকেলের খিদে মেটানোর জন্য। এমন খাবার খান, যাতে বাড়তি নুন, মিষ্টি, তেল নেই। প্যাকেটজাত খাবার বন্ধ, বদলে ফল খেতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার
পুষ্টিকর কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. অ্যালমন্ড ও আখরোট: ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস অ্যালমন্ড ও আখরোট এই দুটি বাদাম সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার।
২. আতাফল: সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় আতাফল রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এতে রয়েছে চিনি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এবং পটাসিয়াম।
৩. বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক কই বা পোয়া মাছ, চিতল বা ফ্ল্যাট ফিশ, বিভিন্ন ধরনের স্যামন মাছ সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। এসব মাছ তাদের পুষ্টিগুণের জন্য এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
৪. চিয়া সিড বা তিসি বীজ: গত কিছু বছর ধরে অন্যতম সর্বাধিক জনপ্রিয় পুষ্টিকর সুপারফুড হলো চিয়া বীজ।
৫. মিষ্টি কুমড়া ও বীজ: আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস মিষ্টি কুমড়া ও এর বীজ। মিষ্টি কুমড়া কাঁচা কিংবা পাকা উভয় ক্ষেত্রেই পুষ্টিগুণে ভরপুর।
৬. ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারি খনিজ।
৭. মটরশুটি ও বরবটি: মটরশুটিতে প্রোটিন, উচ্চমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, মিনারেল এবং দ্রবনীয় ভিটামিন রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শিমের বিচির কথাও উঠে এসেছে এই তালিকায়।
৮. বাঁধাকপি: সব ধরনের বাঁধাকপিই পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে লাল বাধাকপিতে পুষ্টিগুণ একটু বেশি।
৯. হিমায়িত পালংশাক: হিমায়িত পালংশাক পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়া রোধ করে এবং ধরে রাখে। হিমায়িত পালংশাকে ম্যাগনেসিয়াম, ফলেট, ভিটামিন এ, বেটা ক্যারোটিন, জিজ্যানথিন থাকে।
১০. লঙ্কা: এতে বিভিন্ন ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল- ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ থাকে। সেই সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফেনেরিক উপাদান।
১১. পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতার উপাদান হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
১২. টমেটো: কাঁচা এবং পাকা- দুই ধরনের টমেটোই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।
এছাড়া সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় আরো রয়েছে আদা, মিষ্টি আলু, শুকনো খেজুর, গাজর, কচুশাক, ব্রকলি, ফুলকপি, কমলা এবং কমলা জাতীয় ফল এ।
Tags – Everyday Food Nutritious Health Tips Health Care Food