Spread the love

এই গরমে নিমিষেই দূর হবে ক্লান্তি – Fatigue Will Disappear Instantly In This Summer


এই গরমে অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক চাপ, টেনশনের ফলে ক্লান্তি যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। অফিসের কাজের পর বিছানা ছাড়তে এমনকী, চোখ খুলতেই কষ্ট হয়। ক্লান্তির সেই রেশ থাকে দিনভর। ফলে সারাদিনের কাজেও মনসংযোগে ঘাটতি হয়।


আবার এই ক্লান্তির কারণেই দেখা দিতে পারে ডায়বেটিস, থায়রয়েড, আর্থারাইটিস এমনকী

হার্টের সমস্যাও।

রোদের তাপ ক্রমশ বাড়ছে এদিকে এই গরমের দিনে আমাদের থাকতে হয় সারাদিন ব্যস্ত। তার দিন শুরু হয় সেই সকাল ৮টা থেকে। এই রোদের মধ্যে অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। শুধু সে একাই নয়, পড়াশোনা ও খেলাধুলা করে ক্লান্ত হয় তার আদরের বাচ্চাটিও। কারণ, গরমে সারাদিনে আমাদের শরীর থেকে ঘামের সাথে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান বের হয়ে যায়। দিন শেষে সকল ক্লান্তি দূর করতে আপনি সাথে রাখতে পারেন গ্লুকোম্যাক্স-ডি!


গরমে সারা দিন ক্লান্ত লাগছে? কী করে এই ক্লান্তি কমাবেন

প্রচুর জল খান-শরীর সুস্থ রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। ডিহাইড্রেশন শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। মনসংযোগ নষ্ট নয়। তাই সারাদিন জল খান, নিজেকে সতেজ রাখুন।

সময় মতো ঘুমোতে যান-সারাদিন কাজের পর রাতে স্বস্তির ঘুম প্রয়োজন। বেশি রাত জাগলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়। ফলে অবধারিত ভাবে ঘাড়ে, গা, হাত-পায়ে ব্যাথা, ক্লান্তির সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান, পারলে প্রতিদিন একই সময় ঘুমোতে যান। শরীরের ঘড়ি ঠিক থাকলে ক্লান্তি কেটে যাবে।

অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন-শরীরের ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ ক্লান্তি, অবসাদ, স্ট্রেস। এর থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে গুরুতর সমস্যা। তাই ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চা করে ওজন কমিয়ে ফেলুন।


গ্লুকোজঃ

আমরা জানি যে আমাদের দেহের শক্তির উৎস হলো কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। কিন্তু আমারা প্রতিদিন ভাত, রুটি বা অন্যান্য খাদ্য থেকে যে শর্করা পাই, তা শর্করার জটিল অবস্থা। এই জটিল শর্করা দেহের ভিতরে কাজ করতে তাকে আগে সরল শর্করায় ভাঙতে হয়। এর পরেই তা দেহ সচলে প্রয়োজনীয় কার্য-সম্পাদন করতে পারে।



ক্লান্তি দূর করার সহজ উপায়


দই

দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্য়াগনেশিয়াম যা খাবার থেকে এনার্জি বের করে শরীরে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। গরমে সুস্থ থাকতে দইয়ের চেয়ে ভালো খাবার আর কিছু নেই।

আম

মরশুমি ফলের মধ্যে এই সময়ে সবচেয়ে সহজলভ্য হল আম। আমে থেকে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স শরীরকে গরম থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ রাখে।


তরমুজ

তরমুজের প্রায় পুরোটাই জুড়ে রয়েছে জল। এতে থাকা জলজ উপাদান ও ভিটামিন সি শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচায়।


1606307652_5fbe4f4495738_watermelon-1659973980284 এই গরমে নিমিষেই দূর হবে ক্লান্তি - Fatigue Will Disappear Instantly In This Summer



লেবুর শরবত


গরমে পান করুন লেবুপানির শরবত। ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ লেবুর শরবত খুবই উপকারী। পুষ্টিগুণে ভরপুর, সেই সঙ্গে দেহের পানির চাহিদাও পূরণ হবে।


cghe54rtgsfg-1659973979981 এই গরমে নিমিষেই দূর হবে ক্লান্তি - Fatigue Will Disappear Instantly In This Summer



ডাবের জল


শরীরের বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু করে ডাবের জল। হজমে সমস্যা থাকলে এ সময় খেতে পারেন ডাবের জল। সকালে ঘুম থেকে উঠে ডাবের জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।


ei-samay-1659973979673 এই গরমে নিমিষেই দূর হবে ক্লান্তি - Fatigue Will Disappear Instantly In This Summer


আনারসের জুস


আনারস ভিটামিন এ, বি ও সির একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ব্রোমেলেইন, বিটা-ক্যারোটিন, মিনারেল, শর্করা, ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন ও সহজপাচ্য ফ্যাট খুবই অল্প পরিমাণে।



%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8-1659973979379 এই গরমে নিমিষেই দূর হবে ক্লান্তি - Fatigue Will Disappear Instantly In This Summer


আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকায় এবং এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম হওয়ায় এই ফল ওজন কমাতে সহায়ক। এটি রুচিবর্ধক ফল। তাই মুখে রুচি না পেলে আনারস খান।

ফসফরাসঃ

ক্যালসিয়ামের মতো ফসফরাসও আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অনেকেই হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় প্রাধান্য দেয় শুধু ক্যালসিয়ামকেই। কিন্তু ফসফরাসও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এই দু’টি উপাদানের মূলত ভারসাম্য থাকলেই আমাদের দেহের হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকবে। হাড়ের সমস্যা অস্টিওপোরোসিস রোধে ফসফরাস ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন-ডি এর সাথে একত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ফসফরাস দেহের সঠিক স্নায়বিক, মানসিক ও হরমোনাল প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এক্ষেত্রে গ্লুকোম্যাক্স-ডি থেকে আপনি দেহে ফসফরাসের চাহিদা মেটাতে পারেন।


ভিটামিন-ডি

ভিটামিন-ডি এর আলোচনায় প্রথম যে বিষয়টি উল্লেখ করতে হয়, তা হলো রিকেটস রোগ। আমাদের বাচ্চাদের ভিটামিন-ডি এর অভাব হলে এই রিকেটস রোগ হয়ে হয়ে থাকে। তাছাড়া ভিটামিন-ডি ক্যালসিয়াম শোষনে সহায়তা করে। দেহে অবস্থিত আয়রন, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামকে দ্রবীভূত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-ডি দরকার।

প্রতিদিনকার কর্ম-ব্যস্ত জীবনকে উপভোগ করতে আপনাকে সচল রাখতে যে সকল উপাদান প্রয়োজন, তার সবই পাবেন গ্লুকোম্যক্স-ডি-তে! তাই গরমকে ভয় না পেয়ে, গ্লুকোম্যাক্স-ডি খেয়ে, সারাদিনের ক্লান্তি দূর করুন নিমিষেই ও ফিট থাকুন সবসময়।



Tags – Health Tips Health Care Instantly In This Summer Food

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *