মাত্র কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেন আপনার হার্ট থাকবে ফিট – Just Follow A Few Rules And Your Heart Will Be Fit
সুস্থ থাকার মূল মন্ত্র কি জানেন!? হল হার্টকে ভালো রাখা, হার্ট সুস্থ রাখতে ঠিক কী কী করা উচিৎ! আমরা অনেকেই শরীর নিয়ে খুব একটা ভাবি না, অনেকেই আছেন যাঁদের দিনটা কেটে যাওয়া নিয়ে কথা, কিন্তু নিজের অজান্তেই শরীরে যে কী ভয়ানক রোগ বাসা বাঁধছে, তার খেয়াল কেউ রাখে না।
সময় থাকতে হার্টের প্রতি নজর দিন, মাত্র কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেন আপনার হার্ট থাকবে ফিট আর ফাইন
কয়েকটি টিপস মেনেই হার্টকে ভালো রাখার চেষ্টা করন।
সবচেয়ে খারাপ চর্বি হলো ট্রান্স ফ্যাট। এজাঙ্কফুড, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, কুইক স্ন্যাকস এবং বেকারি আইটেম থেকে দূরে থাকুন ।
খুব বেশি দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকাটা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি ১৪৭ গুণ বেড়ে যায়। আর হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায় ৯০%।
নিজে ধূমপান না করলেও আপনার আশে-পাশের লোকজন যদি ধূমপান করেন এবং তাদের ফোকা সিগারেটের ধোঁয়া আপনার দেহে প্রবেশ করে তাহলে আপনার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০% বেড়ে যায়।
যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের নানা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়; যার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকও রয়েছে।
প্রতিদিন ফল, সবজি, শুকনো ফল, বাদাম এবং বীজজাতীয় খাবার খান। সকল প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন, কুকি, পরিশোধিত ময়দায় তৈরি পাউরুটি এবং পাস্তা খাওয়া বাদ দিন।
রসুন: শরীরের কোলেস্টেরল দূর করে রসুন। খালি পেটে এক কোয়া রসুন হার্টের পক্ষে দারুণ উপকারী।
আমন্ড: মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আমন্ড হার্টের জন্য উপকারী।
হার্ট কে সুস্থ রাখার উপায়
তৈলাক্ত মাছ: তেলওয়ালা মাছেও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটিও হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী।
হলুদ: কাঁচা হলুদের উপকারিতার কথা আমরা সবাই জানি। এটি হার্টের জন্যও বেশ উপকারী। তাই হার্ট ভালো রাখতে কাঁচা হলুদ খান।
কলা: রক্তচাপ কমাতে কলা কাজে লাগে। এতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত কলা খান।
ওটস: ওটস বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। হাই ফাইবার থাকে ওটসে। এটি হার্টের উপকারে লাগে।
সবুজ শাক-সবজি: হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন কে খুবই প্রয়োজন। তার সেরা উপায় সবুজ শাক-সবজি খাওয়া। এতে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ব্যায়াম: শারীরিক কসরত রোজ করা প্রয়োজন। অন্তত সিঁড়ি ভাঙা, সাঁতার, হাঁটা খুবই প্রয়োজন।
স্ট্রেস কমান: দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন। ইতিবাচক ভাবতে শুরু করুন। ভালো ভালো বিষয় ভাবার প্র্যাকটিস করুন।
বিশ্রাম নিন
দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে পরিমিত বিশ্রাম নিন। মানে, স্রেফ কিছুই করবেন না, কোনো চাপ নেওয়ার দরকার নেই। বিশ্রাম হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। তাই মাঝেমধ্যে কাজ ফেলে উঠে দাঁড়ান। বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করুন। সাংসারিক কিংবা অফিসের কাজ ভুলে যান। স্রেফ নিজের জন্য বিশ্রাম নিন। সেটা শুয়ে-বসে যেকোনোভাবে। বিশ্রাম নেওয়ার পর দেখবেন ভীষণ ফুরফুরে লাগছে।
ওজন কমান
ওজন কমাতে ক্যালরির হিসাব করছেন, ব্যায়াম করছেন কিন্তু তারপরও কমছে না কিছুতেই। আপনি কি স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন? স্বাস্থ্যকর খাবার আর ক্যালরিযুক্ত খাবার কিন্তু এক নয়। পুষ্টিকর খাবার খান এবং ক্যালরি খরচ ও গ্রহণে ভারসাম্য আনুন। তরল খাবার খেতে পারেন। শাকসবজি থাকুক প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এ ছাড়া শারীরিক পরিশ্রম করুন।
শেষে বলবো –
ইতিবাচক মনোভাব ও চাপ কমান
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে মানসিক প্রশান্তির বিকল্প নেই। কিন্তু কর্মক্ষেত্র, সমাজ কিংবা পরিবার থেকে মানুষ নানাভাবে চাপে থাকে। এসব চাপ যেমন মোকাবিলা করতে হবে, তেমনি বুদ্ধি করে কমাতেও হবে। প্রতিদিনের কাজের চাপ শেষে নিজের জন্য আলাদা করে একটু সময় বের করুন। পছন্দের গান শুনতে পারেন কিংবা বই পড়তে পারেন। কোনো কারণে মনে কষ্ট পেলে তা বন্ধু কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিন। এ ধরনের অভ্যাস হৃদ্রোগ ডেকে আনে। সবচেয়ে ভালো হয় পরিবার কিংবা কর্মক্ষেত্রে চমৎকার সামাজিক বন্ধন গড়ে তোলা।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে মানসিক চাপ কমানো এবং চারপাশের মানুষের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তোলাও জরুরি।
Tags – Health Tips Health Care