মেয়ে দের ফিটনেস ধরে রাখার উপায় – Ways To Maintain Fitness For Girls
আজকাল কার দিনে ফিট থাকাটা একান্তই আবশ্যক। শরীর সুস্থ ও রোগহীন না হলে কোনও কাজটাই মন দিয়ে করা সম্ভব নয়। আর সে জন্য সঠিক বিশ্রাম নেওয়া, স্ট্রেস থেকে দূরে থাকা, ব্যায়াম করার পাশাপাশি নিয়মমাফিক খাওয়াদাওয়াও করতে হবে।
জানতে চান, যাঁরা ফিট, তাঁদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কোন কোন উপাদান থাকাটা মাস্ট?যাঁরা ওজন কমানোর বা এক জায়গায় ওজন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরও একটু বেশি পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত, কারণ প্রোটিন বেশিক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
জল
আমরা প্রায়শই ভুলে যাই যে আমাদের শরীরের প্রায় 70 শতাংশই জল, তাই জল আমাদের খাদ্যতালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হওয়া উচিত। পূর্ণবয়স্ক মানুষ স্বচ্ছন্দে দিনে পাঁচ লিটার জল খেতে পারেন।
পর্যাপ্ত প্রোটিন
আপনি কী ধরনের জীবনযাত্রা নির্বাহ করেন, তার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হবে রোজ ঠিক কতটা প্রোটিন আপনার দরকার। যাঁরা হেভি ওয়েট নিয়ে ওয়ার্কআউট করেন, তাঁদের প্রোটিন একটু বেশি লাগে। যাঁরা ওজন কমানোর বা এক জায়গায় ওজন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরও একটু বেশি পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত, কারণ প্রোটিন বেশিক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। আমিষ প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ, চিকেন খেতে পারেন।
জটিল কার্বোহাইড্রেট
ভাত-রুটি খাদ্যতালিকা থেকে একেবারে বাদ দেওয়ার দরকার নেই, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খান। খেতে পারেন ওটসও, ওটসে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি প্রোটিনও পাবেন। কার্বোহাইড্রেটের খুব ভালো উৎস হচ্ছে ফল। সমস্ত মরশুমি ফল খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন, তাতে রোজের পাতে নানা রঙের সমাহারও দেখতে পাবেন।
রাফেজ
আপনাকে রাফেজ জোগাবে শাকসবজি। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, রাতের খাবার – সবেতেই কিছু না কিছু সবজি যেন থাকে তা দেখবেন। ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সমস্ত মরশুমি সবজি ও শাকপাতা খাওয়া যায়। এমনকী আলুও বাদ দেওয়ার দরকার নেই। তবে একগাদা তেল-মশলা দিয়ে রান্না করবেন না, তাতে আনাজের পুষ্টিগুণ থাকে না।
একজন মানুষকেই তখনই ফিট বলা যায় যখন তার শরীর ও মন- দুটোই সুস্থ থাকে । আর তার জন্য মেনে চলা দরকার কিছু নিয়মকানুন , যত্ন নিতে হয় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর ।
মেয়েদের ফিট রাখার টিপস্
হৃৎপিণ্ড বা হার্ট এর যত্নঃ
প্রতিদিন অন্তত ১০/১৫টি পুশ আপ বা বুকডন হৃৎপিণ্ডর কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলবে । হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন প্রতিবেলায় বিভিন্ন রংয়ের ফল ও সবজি এবং যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার, , আপেল ও আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, ডাল এবং ডিমের হলুদ অংশ খাওয়া খুব দরকার, এগুলোই আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ সবল রাখে ।
কিডনির যত্নঃ
প্রথম কথা হলো, অতিরিক্ত লবণ কিডনির ক্ষতি করে। তাই লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত । মূলত ডায়াবেটিস থেকেই কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস রোধ করতে তাই ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন। আবার খেলাধুলা, হাঁটাচলা, ব্যায়াম ইত্যাদি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং কিডনীকে ভালো রাখে ।
পেটের দিকে খেয়াল রাখুনঃ
আমাদের শরীরের গ্রহণ করা খাবারগুলো সহজপাচ্য বস্তুতে পরিণত করে পেটের ভেতরে অবস্থিত অন্ত্র। সেখানে সমস্যা দেখা দিলে সবই এলোমেলো হয়ে যায় তাই শরীরকে ফিট রাখতে হলে অবশ্যই পেট ঠিক রাখতে হবে। তাই হাঁটাচলা, শষ্যদানা, বিচি, সাদা দই, শাকসবজি, ফলমূল ও সুষম খাবার গ্রহণ খুবই দরকার। ।
নিয়মিত শরীরচর্চাঃ
সকালে বা বিকালে নূন্যতম আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করতে হবে , এ ছাড়া শারীরিকভাবে সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়।
সুস্থ যৌনজীবনঃ
সুস্থ যৌনজীবন একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের ফিট থাকার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান । আজকালকার ব্যস্ত জীবনে অতিরিক্ত মানসিক চাপে অনেকের এনার্জি থাকে না তথা যৌনজীবন ব্যহত হয় ।
পুরোনো অভ্যাস পরিবর্তনঃ
সুস্বাস্থ্য ও ফিগারের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম প্রয়োজন। তাই রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে তার এক থেকে দুই ঘন্টা পর ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হবে এবং এই দুইটা অভ্যাসই শরীরকে দারুণ ফিট রাখে ।
দুধ খাওয়া – প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ার অভ্যেস করুণ । এক গ্লাস দুধে আপনি ভরপুর ক্যালসিয়াম পাবেন এমন কি দুধ আমাদের শরীর স্বাস্থ্য কে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে এছাড়াও ঘুম না হওয়া শরীরে ক্লান্ত বা দূর করতেও এক গ্লাস দুধের অপারেশন গুরুত্ব রয়েছে তাই আর ছটফট না করে রাতের সবার আগে এক গ্লাস দুধ খেয়ে শুবেন।
নিজেকে ফিট রাখার কৌশল
নিজের মনের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া – খাবার, জল, ঘুমের পর যে বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হয় তা হল, নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া। অনেকেই আছেন পারিপার্শ্বিকের চাপে নিজের মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখে। ভালো লাগা, খারাপ লাগাকে দাবিয়ে রেখে ভেতরে ভেতরে গুমরে থাকে।
পোষ্য রাখা যেতে পারে – আবেরিস্টওয়াইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক ডা. রিস থেচারের মতে, জিম যাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে যদি পোষ্য কুকুর থাকে তা হলে খুবই উপকার হয়।