Spread the love

শরীর ফিট করার খাবার – Body Fit Food


শরীর কে ফিট রাখতে চাইলে আপনাকে খাওয়ার ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। খুব তেলেভাজা খতে ভালবাসেন কি? তাহলে এই অভ্যাস একটু কাটাতে হবে সুস্থ থাকতে হলে। ফাস্ট ফুড ও ডিপ ফ্রায়েড ফুড একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।

শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখার বিভিন্ন উপায়ের কথা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বহুবার বলে থাকেন।


শরীরকে তাজা রাখতে ব্যায়াম করার কথা প্রায় সমস্ত ডায়েটেশিয়ানই বলে থাকেন। দেখে নিন কোন কোন ধরনের খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিলে কমে যায় ইনফ্লেমেশনের সমস্যা।


IMG_20220731_225849-1659288539267 শরীর ফিট করার খাবার - Body Fit Food

শরীর ফিট রাখতে যা খাবেন


ইচ্ছে থাকলেও, সফ্ট ড্রিঙ্ক বা ফ্রুট জুস যেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি জাতীয় উপাদান থাকে, তা এড়িয়ে চলা ভাল। গোল্ডেন সিরাপ, কর্ন সিরাপ, ফ্র্ুকটোজ জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভাল।

তেল বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতিকর। বহু প্রসেসড ফুডে থাকে তেল। পলিআনস্যাচুরেটেড তেল যেমন তুলা, আঙ্গুরের বীজ, কুসুম, ভুট্টা এবং সূর্যমুখী তেল এড়িয়ে চলা ভাল।

দুধ জাতীয় খাবার


বেশি দুধ, মাখন, দই, খাওয়া ঠিক নয়। এছাড়াও ক্রিম সস জাতীয় খাবার অত্যধিক খাওয়া উচিত নয়। সেই জায়গায় নারকেল বা আমন্ডের দুধ সেবন করতে পারেন। এছাড়াও যাঁদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁরা ইয়োগহার্ট খেতে পারেন।


রেড মিট


রেড মিট থেকে দূরে থাকা ভাল। সেক্ষেত্রে বাজরজাত সসেজ বা সালামি শরীরে নতুন করে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ধরনের মাংস খাওয়ার জন্য সঠিক সাইজ ও মাংসের সঠিক অংশ বেছে নিতে হবে। প্রসেসড মিট কোনও অংশেই স্বাস্থ্যকর নয়।


মদ


মদ্যপান শরীরের পক্ষে নানান দিক থেকে ক্ষতি করে। ওয়াইন, বিয়ার থেকে দূরে থাকা স্বাস্থ্যকর। সেই জায়গায়, তেষ্টা মেটাতে জল খাওয়া কার্যকরী ফল দেয়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেট, চেরি কার্যকরী ফল দেয়

রুটি জাতীয় খাবার কি এড়াতে হবে?


ভাত, রুটি, নুডলস পাস্তা, বিস্কিট, পেস্ট্রি থেকে অল্প অল্প করে দূরত্ব বজায় রাখতে পারাটা ভাল অভ্যাস! বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গায় খুব অল্প দানাশস্য দিয়ে তৈরি সামগ্রী বাজার থেকে কিনতে পারেন।



ফিট থাকতে গেলে আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় যে খাবার গুলি থাকা আবশ্যক


জল

আমরা প্রায়শই ভুলে যাই যে আমাদের শরীরের প্রায় 70 শতাংশই জল, তাই জল আমাদের খাদ্যতালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হওয়া উচিত। জল বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যজাতীয় কোনও সমস্যায় ভুগবেন না, পেট পরিষ্কার থাকবে।



IMG_20220731_225839-1659288539616 শরীর ফিট করার খাবার - Body Fit Food


শরীরকে শক্তিশালী করতে বা শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বীজ জাতীয় খাবারের তুলনা হয় না। যে কোনও বীজ জাতীয় খাবারই শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। ব্লাড সুগারের মতো রোগকে প্রতিরোধ করতে বীজ জাতীয় খাবার খুব উপকার দেয়।


পেঁয়াজ- মাটির নিচে যে সমস্ত সব্জিগুলি জন্মায় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা প্রভৃতি। এই সমস্ত খাবার যে শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় তা নয়। পেঁয়াজ রসুন খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।


মাশরুমকে সুপারফুড বলা হয়। এর কারণ, মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ভিটামিন। চিকিত্‌সকেরাও মাশরুম খেতে বলেন। ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে মাশরুম খুবই উপকারী।


বেরি- শরীরে এনার্জি বাড়ানোর জন্য বেরী সবথেকে উপযোগী ফল। স্ট্রবেরী, ব্লুবেরী এছাড়া এই জাতীয় যে কোনও ফলই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে।


ফ্যাট, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসে ভরা থাকে বাদাম। তাই বাদাম খেলে আমাদের শরীরের যাবতীয় সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ওজন মেনটেন করতে এবং ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করতে বাদাম খুব কাজে দেয়।

যাঁরা হেভি ওয়েট নিয়ে ওয়ার্কআউট করেন, তাঁদের প্রোটিন একটু বেশি লাগে। যাঁরা ওজন কমানোর বা এক জায়গায় ওজন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরও একটু বেশি পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত, কারণ প্রোটিন বেশিক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। আমিষ প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ, চিকেন খেতে পারেন। নিরামিষ প্রোটিনের মধ্যে আদর্শ হচ্ছে ডাল, ছোলা, রাজমা, সোয়াবিন, দুধ, দই, ছানা। খুব ভালো মানের প্রোটিন খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন।


ভাত-রুটি খাদ্যতালিকা থেকে একেবারে বাদ দেওয়ার দরকার নেই, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খান। খেতে পারেন ওটসও, ওটসে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি প্রোটিনও পাবেন। কার্বোহাইড্রেটের খুব ভালো উৎস হচ্ছে ফল। রঙিন ফল-সবজি আপনাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের জোগানও দেবে। জটিল কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে শরীরের বেশি পরিশ্রম হয়।

আপনাকে রাফেজ জোগাবে শাকসবজি। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, রাতের খাবার – সবেতেই কিছু না কিছু সবজি যেন থাকে তা দেখবেন। ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সমস্ত মরশুমি সবজি ও শাকপাতা খাওয়া যায়।


ভালো মানের ফ্যাট

বাদাম, অ্যাভাকাডো, মাঠাযুক্ত দুধ, মাখন, ভালো মানের ঘি, নন-রিফাইন্ড তেল সবই আপনাকে ভালো ফ্যাটের জোগান দেবে। ফ্যাট খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলাটা কোনও কাজের কথা নয়।

ঠিক করে নিন যে সারা দিনে তিন-চার চাচামচের বেশি চিনি বা তেল শরীরে ঢোকাবেন না – কারণ শহরে আমরা যে ধরনের কাজ করি, তাতে এর চেয়ে বেশি দরকার পড়ে না।


. ময়দা, চিনি, ভাত সব কিছুই শরীর খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে গ্লকোজে পরিণত করে। এই ধরনের খাবার যত বেশি খাবেন, রক্তে চিনির মাত্রা তত বাড়বে।

ফল আর শাকসবজি খান বেশি করে। দামি কিছু লাগবে না, আপনি ঢেঁড়শ, উচ্ছে, করলা, পেঁপে, লাউয়ের উপরেই ভরসা রাখতে পারেন। অল্প তেলে রান্না করা শাক, কিছু সেদ্ধ আনাজ খাওয়া উচিত রোজ।


. ডাল, অঙ্কুরিত ছোলা-মটর, ডিম, ছানা, দই ইত্যাদি অল্প অল্প করে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে ভালো হয়। তাতে আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।




Tags – Fitness Food Health Tips Health Care

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *