Spread the love

অনিয়মিত রক্তস্রাব হচ্ছে! কী করবেন – Having Irregular Bleeding! What To Do


ঋতুস্রাব বা রক্তস্রাব নারীর শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বৃদ্ধা বাদে প্রাপ্তবয়স্ক সব নারীই ঋতুস্রাব সমস্যায় ভোগেন।

শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে৷

মাসিক রক্তস্রাব নারীদের একটি সাধারণ ঘটনা। তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে পরবর্তী পিরিয়ডের প্রথমদিন পর্যন্ত গড় সময় ২৮ দিন হওয়া উচিত। তবে বিভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে এই চক্র কম বা বেশি হতে পারে।


IMG_20220730_210410-1659195262732 অনিয়মিত রক্তস্রাব হচ্ছে! কী করবেন - Having Irregular Bleeding! What To Do

অনিয়মিত রক্তস্রাব কেন হয়, কী করবেন

তাই পিরিয়ড চলাকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। এজন্য বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যা প্রাকৃতিকভাবে নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধে সাহায্য করতে পারে। এগুলো হলো-

আইস প্যাক: পিরিয়ড চলাকালে একটি আইস প্যাক তলপেটে আনুমানিক ১০ মিনিট রেখে দিন। বিশেষ করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সময় দিনে কয়েকবার এটা করুন। এটা রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখবে।


আয়রন সাপ্লিমেন্ট: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, আয়রনের অভাবে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।



অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় জেরবার? জেনে নিন মুক্তির উপায়.


দারুচিনি চা: পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে এক কাপ গরম দারুচিনি চা নিন। অল্প অল্প চুমুক দিয়ে ধীরে ধীরে চা পান করুন। এটা জরায়ু থেকে রক্তপ্রবাহকে দূরে রাখে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

পার্সলে: পিরিয়ড ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে নারীরা দুটি প্রধান সমস্যায় ভুগেন। একটি হচ্ছে প্রদাহজনিত সমস্যা, অন্যটি আয়রনের ঘাটতি। পার্সলে একটি জাদুকরী খাবার, যা এই দুটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায় পার্সলেতে প্রচুর পরিমাণ আয়রণ থাকে, যা রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।


অনিয়মিত রক্তস্রাব কী


হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে।


আসুন জেনে নিই নারীদের অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয়?


১. জরায়ুতে মায়োমা বা টিউমার থাকার কারণে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় খুব বেশি ব্লিডিং ও ব্যথা হয়ে থাকে৷


২. ডিম্বাশয় বা ওভারিতে ‘সিস্ট’ হওয়ার কারণেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে৷ সিস্ট হয়ে থাকে নানা আকারের। এগুলোর ভেতরে রক্ত ও জলের মতো পদার্থ থাকে।

৩. যোনির আশপাশের নরম ত্বকে এবং জরায়ুর প্রবেশপথেও ছোট ছোট শক্ত ফুসকুড়ির মতো হয়ে থাকে৷


৪. জন্মনিয়ন্ত্রক পিল পিরিয়ডের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি মাসিক চক্রকে হালকা করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পিরিয়ড সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়।

৫.হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ হতে পারে। স্বল্পসময়ের মধ্যে ওজন বাড়লে তা শরীরের হরমোনের স্বাভাবিক কাজকর্মকে প্রভাবিত করতে পারে।

যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে


অনিয়মিত রক্তস্রাবের কারণে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া ও মাতৃত্বের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এ নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে করলেও গর্ভধারণ করতে পারেন না। তাদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। অনিয়মিত মাসিক অবস্থায় সন্তান আসা কঠিন। কেননা অনিয়মিত মাসিক মানে তার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু ফুটছে না। তাই সন্তান নিতে হলে ওষুধ দিয়ে মাসিক নিয়মিত করতে হবে।

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার লক্ষণসমূহ

আসুন লক্ষণগুলো জেনে নেই-


১) মাসে ২/৩ বার মাসিক বা ঋতুস্রাব হতে পারে


২) এক নাগাড়ে অনেকদিন ধরে চলতে পারে


৩) শুরু হওয়ার ১/২ দিন পরই শেষ হয়ে যায় এবং কয়েকদিন পর আবার শুরু হয়


৪) প্রতি ১ অথবা ২ ঘন্টায় কাপড় বা স্যানিটারি ন্যাপকিন একাধিক বার বদলালে


৫) আগে নিয়মিত হলেও এখন লক্ষ্যনীয়ভাবে অনিয়মিত হলে

আপনার করণীয়


১) নিয়মিত আপনার পিরিয়ড শুরুর দিনটির হিসাব রাখুন। ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখতে পারেন।


২) কতদিন পর্যন্ত থাকে, তার হিসাব রাখুন।


৩) কতগুলো প্যাড পরিবর্তন করতে হয়, তার হিসাব রাখুন।


৪) কোন শারীরিক দুর্বলতা বা অন্য কোন সমস্যা হলে তা চিকিৎসককে জানান।


৫) অতিরিক্ত রক্তপাত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম করতে হবে।




Tags – Health Tips Health Care Having Irregular Bleeding!


By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *