Spread the love

দিনে কতগুলি খেজুর খাওয়া উচিত কোলেস্টেরল কমাতে গেলে – How Many Dates Should Be Eaten In A Day To Reduce Cholesterol

তেল-মশলা খেয়ে কোলেস্টেরল দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। হার্ট নিয়ে চিন্তা করছেন সবসময়। ভাল কোলেস্টেরলই বাঁচার উপায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। কী খেলে তৈরি হয় ভাল কোলেস্টেরল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।জাঙ্কফুডের রমরমা। তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেয়ে বাড়ছে বিপদ। কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক। হার্টের সুস্থতা ও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত। চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনীর দেওয়ালে জমাট বেঁধে প্লাক তৈরি করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে, দেখা দেয় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। যেমন হাই ব্লাড প্রেশার, হার্টের নানা রোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক।


খেজুর খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল, কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি


খেজুরকে অনেক সময়ই চিনির বিকল্প হিসাবে মনে করা হয়। বলা হয় ৩০ গ্রাম খেজুরের মধ্যে রয়েছে ৯০ ক্যালোরি।

সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল আছে। একটি লো ডেনসিটি লাইপো প্রোটিন অর্থাত্‍ এলডিএল এবং অন্যটি হাইডেনসিটি লাইপো প্রোটিন অর্থাত্‍ এইচডিএল। এলডিএল ধমনীর দেওয়ালে ক্ষতিকর প্লাক তৈরিতে সাহায্য করে, তাই একে খারাপ কোলেস্টেরল বলে। আর এইচডিএল ধমনীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় এলডিএল কোলেস্টেরলকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। তাই একে ভাল কোলেস্টেরল বলে।

খেজুর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে একাধিক অসুখের জ্বালা কমে যেতে পারে। খেজুরে রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ।


খেজুর খেলে দূর হয় ক্লান্তি। খেজুরে থাকা ভিটামিন বি ও ভিটামিন বি সিক্স মস্তিষ্ককে উর্বর করে।


কোলেস্টেরলের কমতি ঘটাতেও খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। কারণ খেজুর হল কোলেস্টেরল মুক্ত। খেজুর খেলে আর্টারি পরিচ্ছন্ন রাখতে সুবিধা হয়। বলা হয়, পশু প্রোটিনে যে সমস্যা রয়েছে কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে, তা নেই খেজুরে।


স্নেহজাতীয় পদার্থ যাতে হার্টের ক্ষতি না করে তার দেখভাল করে খেজুর। খুব অল্প পরিমাণে দিনে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা কোলেস্টেরলের রোগীদের উপকার দিয়ে থাকে।


প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা


শুকনো সোয়া প্রোডাক্ট, মটরশুঁটি জাতীয় খাবার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। শিমজাতীয় খাবার, ওয়ালনাট, জলপাইয়ের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

– সব ধরনের সবজি ও ফল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত যেসব সবজিতে ভিটামিন C ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, সেগুলো বেশি করে খেতে হবে।

যেমন কমলালেবু, আঙুর, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল। এ ছাড়া বাঁধাকপি, ব্রকোলিও ভিটামিন C-র ভাল উত্স। কুমড়ো, কাঠবাদাম, গাজর ইত্যাদির মধ্যে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন।


রসুন, পেঁয়াজ শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় ও হার্টকে ভাল রাখে।

রুটি, গম, ভুট্টা, ওটমিলসে রয়েছে হাই সলিউবল ফাইবার। এই খাবারগুলো শরীরে ভাল কোলেস্টেরল তৈরি করে।

সপ্তাহে ৩দিন অথবা তার বেশি মাছ খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কম থাকে। হাই ব্লাড প্রেশার ও হার্টের রোগে মাছ খুব উপকারি। এতে হাই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা


আপনি কি জানেন যে খেজুর কোলেস্টেরল মুক্ত এবং এতে খুব কম চর্বি থাকে? প্রতিদিনের খাবারে অল্প করে খেজুর রাখুন। এটি আপনাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করবে।


প্রোটিনের উৎস


আপনি যদি সহজে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে চান তবে খেজুর খেতে পারেন। খেজুর প্রোটিনের একটি শক্তিশালী উৎস যা আমাদের ফিট থাকতে সাহায্য করে।



IMG_20220720_195810-1658327301317 দিনে কতগুলি খেজুর খাওয়া উচিত কোলেস্টেরল কমাতে গেলে - How Many Dates Should Be Eaten In A Day To Reduce Cholesterol

ভিটামিন সমৃদ্ধ


খেজুরে থাকে ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ৩, বি ৫, এ ১ এবং সি। এটি আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপশি আপনার শক্তির মাত্রায়ও একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে।


হাড় ভালো রাখে


হাড় ভালো রাখা জরুরি। কারণ হাড়ের সমস্যা দেখা দিলে তা সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। আপনি যদি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান তবে নিয়মিত খেজুর খেতে শুরু করুন। এটি হাড় ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। খেজুরে আছে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা এবং ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের হাড়কে সুস্থ রাখতে।


স্নায়ুতন্ত্রকে ঠিক রাখে


খেজুরে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এই উপাদান।



Tags – Health Tips Health Care

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *