রোজ চুল ধোওয়া উচিত কি – Should I Wash My Hair Every Day
সপ্তাহে কতবার শ্যাম্পু করা যায়? প্রতিদিন করাটা কি খারাপ? প্রশ্ন মনে আসে আমাদের অনেকেরই , চিন্তা নেই আজ এইসব প্রশ্নের উত্তর পাবেন ।চুলে প্রতিদিন জল লাগানো অনুচিত। প্রতিদিন চুল ধুলে খুব দ্রুত প্রাণ হারায় চুল। এছাড়া চুল ফেটে যাওয়া ও ঝরে পড়ারও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এটি।
রোজ শ্যাম্পু তো করেন, কিন্তু সঠিক নিয়ম মানেন তো..
কি কি কারণে আমাদের চুল পরিষ্কার করার প্রয়োজন পরে –
রোজ স্নান করার সময় আমরা চুল ভেজাই। চুল ভেজালে চুলের ওপর কি কি প্রভাব পড়ে, এবং সেটা কিভাবে ভালো বা মন্দ, নিচে এক এক করে আলোচনা করছি।
পরিস্কার জল দিয়ে চুল ভেজালে বা ধুলে চুলের জন্য সেটা ভালো। এতে ঘাম, ধুলোবালি কিংবা অন্যান্য ময়লা থাকলে পরিস্কার হয়ে যায়, যা চুলের জন্য দরকারি। এজন্য চুলে জল দেবার সময় আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে চুলের গোড়া ও মাথার ত্বক ঘষে নিতে হবে।
কিন্তু রোজ রোজ চুল ভিজিয়ে যদি শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা চুল ও মাথার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সপ্তাহে ২ বারের বেশি শ্যাম্পু করা যাবে না।
প্রতিদিন চুল ধুয়ে তোয়েলা দিয়ে চাপ দিয়ে দিয়ে চুলের জল মুছে নিতে হবে। জোরে ঘষা দিয়ে চুল মোছা উচিত নয়। মাথার ত্বক মাসাজ করার সময় আঙুলের ডগার কোমল অংশ ব্যবহার করবেন। নখের আঁচড় পড়লে মাথার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
রোজ রোজ চুল ধুলে কি হয় জানেন
১. তেল: আমরা সবাই সপ্তাহে এক বা দুইদিন চুলে তেল দিই। এতে আমাদের চুলের গোঁড়া মজবুত হয়। আসলে চুলে নোংরা হওয়ার কারণ যে শুধুই মাথায় তেল দেওয়া তা কিন্তু নয়। আসলে একটা বয়সে আমাদের মাথার ত্বকের ভিতর থেকে তেল নিঃসরণ হতে থাকে, যা চুলের গোঁড়ায় আটকে থাকে। এই সময় চুলের গোঁড়া সহ চুল খুব ঘনঘন নোংরা হয়ে যায় এবং চুল পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
২.চুলের ধরন অনুযায়ী : যাদের চুল সোজা এবং পাতলা, তাদের চুল পরিষ্কার করার প্রয়োজন। এর কারণ সবথেকে বেশি তেল এবং নোংরা জমা হয় এই ধরণের চুলে। এমনকি খুব তাড়াতাড়ি চিটচিটে হয়ে যায় এই ধরণের চুল। অন্যদিকে যাদের চুলের গোছ বেশি এবং কোঁকড়ানো বা ঢেউ খেলানো, তাদের চুলে নোংরা এবং তেল সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে না। এছাড়াও, মাথার ত্বকের ভেতর থেকে যে তেল বার হয়, তা এই ধরণের চুলের জন্য খুবই ভাল।
ঘাম:
অনেকেই আছে, যারা প্রচণ্ড ঘামেন। আবার অনেকে আছেন যাদের ঘাম হওয়ার প্রবণতা খুবই কম। সেক্ষেত্রে যাদের ঘাম বেশি পরিমাণে হয়, তাদের চুল পরিষ্কার ঘন ঘন করতে হয়। ঘামের কারণে চুলের মধ্যে তেল বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে যায়। এর ফলে চুল আরও নোংরা হয়ে যায়।
শরীরের নোংড়া:
আমরা যখন ঘরের কাজ করি বা বাইরে বেরোই, সেই সময় ধুলো ময়লা আমাদের চুলের ভেতর এসে জমা হয়। যার ফলে তা অতিরিক্ত তেলের সঙ্গে মিশে গিয়ে আরও সমস্যার সৃষ্টি করে। এরফলে চুলের গোঁড়ায় বা সারা শরীরে অ্যালার্জিও হতে পারে।
খুশকি
আপনার চুলে কি খুশকি রয়েছে? এর কারণ হতে পারে আপনি স্নানের সময় প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন। এর ফলে, আপনার চুলের গোঁড়া শুষ্ক হয়ে ওঠে, চুলকানি হয় এবং শুকনো চামড়া চুলের গোঁড়া থেকে উঠতে থাকে। তাই বলে চুলে শ্যাম্পু দেওয়া একদম বন্ধ করে দেবেন না। এতে চুলের গোঁড়ায় নোংরা জমে যেতে পারে এবং এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
কিভাবে চুল পরিষ্কার করা যায়?
কিভাবে, কখন, কতবার, কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন, তা পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার ওপর। আপনার জীবনধারা, ত্বকের বৈশিষ্ট্য, পরিবেশ এগুলির ওপর নির্ভর করে আপনাকে চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। যদি মনে হয় চুল খুব বেশিবার ধোয়ার জন্য আপনার চুল এবং মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাহলে চুল ধোয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন।
চুলের ডগা কিভাবে পরিষ্কার করবেন?
চুলের ডগা হল, আপনার সবথেকে পুরনো চুল। তাই চুলের ডগা সবসময় যত্নের মধ্যে রাখা উচিত। চুলের গোড়ায় শ্যাম্পু করলেও, চুলের ডগাতে শ্যাম্পু আলাদা করে লাগাতে যাবেন না। এতে চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে। কন্ডিশনার চুলের জন্য খুবই দরকারি।
যাদের চুল সিল্কি বা স্ট্রেইট তারা একদিন পর পর ধুয়ে নেবেন চুল। কারণ এ ধরনের চুল খুব দ্রুত তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে একদিনের বেশি পানি না লাগালে চুপসে যায়।যারা কোঁকড়ানো চুলের অধিকারী, তারা সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার চুল ধুলেই যথেষ্ট।
Tags – Hair Tips Hair Care