ডায়াবিটিস রোগী দের কি পান করা উচিত – What Should Diabetics Drink
ডায়াবিটিস হলে খাওয়া নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকতে হয়। সাধারণত মানুষ জানে যে মিষ্টি খাবার ক্ষতিকর। আর আপনি যদি টাইপ ২ ডায়াবিটিস রোগী হন তবে সোডা, কোল্ড ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, মিষ্টি চা এমনকি ফলের রসের মতো জিনিস আপনি খেতে পারবেন না। তবে ডায়েটে এই পানীয় রাখলে তেমন কোনও অসুবিধা হবে না। দেখে নিন সেগুলি কী কী
সুগারের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই পানীয় গুলি
যেহেতু ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, তাই আপনি যদি জুস পান করতে চান তবে আপনি এর পরিবর্তে সবজির রস বেছে নিতে পারেন।
ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্রকলি, শসা, টমেটোর রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আপনি যদি চায়ের পাগল হোন, সেক্ষেত্রে আপনি সবুজ, কালো, সাদা চা থেকে বেছে নিতে পারেন। গ্রিন টি স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। গ্রিন টি প্রতিদিনের ব্যবহার আপনার টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
চিনি ছাড়া হার্বাল চা কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তাপ ও আর্দ্রতায় অস্থির হয়ে পড়ছেন, আপনি যদি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর কিছু পান করতে চান, তবে আপনি ঘরেই চিনিমুক্ত লেমনেড তৈরি করতে পারেন। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটি আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে বাধা দেয়।
ডায়াবেটিস রোগী কী পান করবেন
দেশি টক-মিষ্টি ফল কামরাঙ্গা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কামরাঙ্গায় আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
স্ত্রবেরিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার। এই ফল হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি স্ট্রবেরিতে কার্বোহাইড্রেইডের পরিমাণ খুব কম, যা ব্লাড সুগারকে স্থিতিশীল রাখে।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হল পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ আছে, যা সুগার রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।
প্রাকৃতিকভাবে তৈরি যেকোনো ফলের জুস আপনি খেতে পারবেন। তবে এতে কোনো চিনি মেশানো যাব না।
স্যুপে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে এবং এটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদুও। পাতলা করে করা করা চিকেন স্যুপ বা সবজি স্যুপ আপনার ডায়বেটিস থাকলেও উপকারী হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার
খেজুর: বাদামি বা খয়েরি রঙের সুন্দর একটি ফল খেজুর। খেজুরের মিষ্টি স্বাদের কারণে অনেকেই ভেবে থাকেন, ডায়াবেটিক রোগীদের এটা খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু প্রচুর ফাইবারযুক্ত খেজুর আসলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওষুধ হিসেবে কাজ করে খেজুর।
তিসি : এটি একধরনের বীজ, যার ইংরেজি নাম ফ্লেক্সসিড। আমরা এটাকে তিসি হিসেবেই চিনে থাকি। তিসিবীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই বীজ খুবই কার্যকর।
দুধ : ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর ভালো উৎস দুধ। আর সেজন্য দুধ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারী খাবার।
তুলসী : ঔষধি গাছ তুলসীকে বলা হয় ডায়াবেটিস রোগের ইনসুলিন । তুলসীপাতা বিবিধভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খালি পেটে তুলসীপাতার রস পান করলে রক্তে কোজের মাত্রা কমে যায়।
মটরশুঁটি : হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে মটরশুঁটি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মটরশুঁটি রক্তে গ্লকোজের কোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।