Spread the love

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা জেনে নিন কিছুই লক্ষণ দেখে – Find Out If Fatty Liver Is Affected By Any Symptoms

ফ্যাটি লিভার রোগটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ঘরে ঘরে, বিশেষ করে বাঙালি ছেলে মেয়ে দের।। বহু মানুষ নিয়মিত এই রোগে ভুগে থাকেন।তবে এই রোগ নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে তেমন কোনও সচেতনতা নেই। তাই মাঝে মাঝেই এই রোগে আক্রান্ত রোগী অসুখ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকের কাছে যান। তবে এই রোগটিকে এতটাও হালকা নিলে চলবে না। কারণ এর থেকে অনেক গুরুতর রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।


IMG_20220622_115255-1655878999422 ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা জেনে নিন কিছুই লক্ষণ দেখে - Find Out If Fatty Liver Is Affected By Any Symptoms

এই কয়টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে দেখা দেয় এমন সমস্যা


লিভারে বেশি ফ্যাট থাকে। এবার লিভারে ফ্যাট জমলে লিভার প্রথমে নিজের কাজ কম করে। তারপর ধীরে ধীরে ফ্যাটের অস্তরণ বাড়লে লিভারে প্রদাহ হয়। এই সমস্যা থেকে লিভার সিরোসিস ক্যানসারের আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।


তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায় বলে জানালেন যে আপনার ফ্যাটি লিভার হয়েছে,


১. পেট ভার


২. গ্যাসের মতো অনুভব হওয়া


৩. হজম ঠিকমতো না হওয়া


৪. কিছু ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা হতে পারে ইত্যাদি।


IMG_20220622_115307-1655878999771 ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা জেনে নিন কিছুই লক্ষণ দেখে - Find Out If Fatty Liver Is Affected By Any Symptoms

এই লক্ষণগুলি জানান দেবে আপনি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কি না


৫. ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ত্বক অস্বাভাবিক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও ত্বকে ছোপ ধরা বা গলার কাছের ত্বকের স্বাভাবিক রং পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।


৬.পেট খারাপ না হওয়া সত্ত্বেও অকারণে মাঝে মধ্যেই পেটে ব্যথা হলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার হতে পারে।


৭. ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় শরীরের পেশী ক্ষয় হতে থাকে। এর সঙ্গেই হাতের শিরা জেগে ওঠা বা বেরিয়ে আসা, চেহারায় বয়স্ক ভাব লক্ষ্য করলে লিভার পরীক্ষা করিয়ে নিন।


৮.বেশির ভাগ লিভারের অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ ডিহাইড্রেশন, পেট খালি লাগা বা ঘন ঘন তেষ্টা পাওয়া। এই লক্ষণগুলি খেয়াল করলেই লিভার পরীক্ষা করিয়ে নিন।


খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অনেক সময় তার হাত ধরেই ফ্যাটি লিভার হানা দেয়। খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বাড়তে থাকে,চেহারায় মেদ জমছে, আর তার সঙ্গে ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে পরবেন সামান্য পরিশ্রমেই যদি অতিরিক্ত ক্লান্তি আসে তবে সতর্ক হোন। ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেই সচেতন হোন। যে কোনও বয়সেই ভুঁড়ি বাড়লে সচেতন হোন। ভুঁড়ি বাড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু ফ্যাটি লিভারও। তাই এমন হলে আগেই ফ্যাটি লিভারের একটা পরীক্ষা করিয়ে নিন।


এই রোগ থাকলে ট্রান্স ফ্যাট যেমন চিপস, বাইরের খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে। পাশাপাশি খাওয়া যাবে না ঘি, মাখন, ডালডার মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট। খেতে হবে বাড়ির কম তেলে রান্না করা খাবার। এছাড়া আপনাকে অবশ্যই ফল, শাক, সবজি রাখতে হবে পাতে। তবেই সমস্যা এড়ানো যাবে। নইলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।


এই রোগের ক্ষেত্রে ওজন কমানো হল মস্ত বড় অস্ত্র। এক্ষেত্রে ওজন যতটা দ্রুত সম্ভব কমান। দিনে অন্তত ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। পাশাপাশি আপনাকে ঠিকমতো ঘুমাতে হবে। অন্তত ৭ঘণ্টার বেশি ঘুম লাগবে, ব্যস এইটুকু করতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়া সম্ভব।

**পোস্টটি মাথায় রাখবেন আপনার ভালোর জন্যই বলা, এই পোস্টটি শুধু পড়ে, বাজারে গিয়ে এক প্লেট মম চাওমিন খেয়ে আসবেন না যেনো, তাহলে আপনার এই জীবনে কোনদিনও ভুঁড়ি কমবে না তাই এই পোষ্টটি অবশ্যই মাথায় রাখুন আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে ধন্যবাদ।।।।




Tags – Health Tips

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *