Benefits Of Eating Curry Leaves: কারি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
কারিপাতা বা মিঠা নিম:
কারিপাতা ভারত ( বিশেষত দক্ষিণ ভারতে) ও শ্রীলঙ্কায় প্রাপ্ত, মূলত রান্নার মশলার অন্যতম উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়,, এটি এক ধরণের গাছের পাতা।। ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন তরকারিতে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয় বলে একে কারিপাতা (Curry) বলে। এই পাতার গন্ধের জন্য বিখ্যাত।
Benefits Of Eating Curry Leaves For Hair
স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী কারি পাতা:
ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান কারি পাতায় পাওয়া যায়, যা শরীরের নানাভাবে উপকারে কাজ করে।
উপকারসমূহ:
কারি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই।
পিত্তজনিত বমির প্রতিকার হিসাবে কারিপাতা ব্যবহার হতে পারে।
Benefits Of Eating Curry Leaves On Empty Stomach
কারি পাতা চুলের রঙের উন্নতিতে সাহায্য করে। চুলের তেলে কয়েকটি কারি পাতা যোগ করে তারপর তেল ফুটিয়ে নিয়ে এটি লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
কারি পাতা দৃষ্টিশক্তি উন্নতিতে সহায়ক হয়। চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে।
চোখের জন্য ভাল
কারি পাতা খেলে রাতকানা বা চোখ সম্পর্কিত আরও অনেক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়।।
কারি পাতা ডায়রিয়ার জন্য ভাল প্রতিকার। কারি পাতায় কার্বজোল আলকালয়েড থাকে যা ডায়রিয়ার চিকিৎসায় প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।
Benefits Of Eating Curry Leaves For Skin
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার:
চুলের জন্য এই পাতাবাটা, দই ও মেথিবাটার মিশ্রণ বানিয়ে লাগানো যেতে পারে। চুল পড়ার হাত থেকে মুক্তি দেয় কারিপাতা। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কারি পাতা খাওয়ার নিয়ম
কারিপাতা বেটে বা তেলে গরম করে মাথার তালুতে হালকা করে মাসাজ করলে তা পুষ্টি পায়। কারিপাতা বাটা এবং দইয়ের মিশ্রণ চুলে মাখলে দারুণ কন্ডিশনারের কাজ দেয়।
– কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস রয়েছে। যা আপনার চুলকে ভালো রাখে ও চুলের গোড়া মজবুত করে। এছাড়াও কারি পাতায় আছে প্রোটিন ও বেটা ক্যারোটিন। এই ধরনের উপাদান চুলে পুষ্টি যোগান দেয়। তাই চুল খুব সহজেই পাতলা হয়ে যায় না।
মেথি, আমলকির সঙ্গে কারি পাতা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুল আরও ঘন করে। চুল পড়ার হার কমায়। কারি পাতায় আছে ভিটামিন বি।
আরোও পড়ুন,